অতিরিক্ত ধূমপানে করোনাভাইরাস এর মৃত্যুর কারণ!
বর্তমানে আমাদের দেশে বিদেশ ফেরত প্রত্যেকটি মানুষকেই ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ থাকতে হচ্ছে। কাউকে আবার ‘আইসোলেশন’-এও রাখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের অনেকের কাছেই ‘আইসোলেশন’, ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বা ‘কোয়ারেন্টাইন’— এই শব্দগুলির প্রকৃত অর্থ অজানা। এর ফলে মানুষ আরো বৃদ্ধি সমৃদ্ধ হচ্ছে,অনেকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে নিজেদের কি লুকিয়ে রেখেছে। এতে আর সমাজের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সবাইকে উচিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।বিশেষ করে নিজের ঘর ছাড়া অযথায় বাইরে বের হবেন না। গ্রামগঞ্জে অনেকেই মানছেনা কথাগুলো।নিজের ক্ষতি টাও করছে সাথে সাথে অন্য লোক হতে করছে তারা। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এদিকে নজর দেয়া উচিত বলে মনে করছে অনেকেই। তবে দেশেই বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই ভাইরাস কে প্রতিরোধ করার। কিন্তু তার মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছে। তাই যতক্ষণ না এই ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা যে নিয়মগুলি অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে, সেগুলি মেনে চলা উচিত সকলেরই।অন্যদিকে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৩৬ জন। তথ্য বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনা-আক্রান্তদের মধ্যে, বিশেষ করে এই ভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে যাঁদের, তাঁরা বেশির ভাগই পুরুষ। মহিলা ও শিশুদের তুলনায় করোনায় মৃতদের বেশির ভাগই পুরুষ। ‘চাইনিজ সেন্টার্স অব ডিজিজ কন্ট্রোল’-এর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই তথ্যই দিয়েছে বিবিসি। এক্ষেত্রে ৪৪ হাজার রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তথ্যে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাসে যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে ২.৮ শতাংশ পুরুষ, মহিলা ১.৭ শতাংশ আর শিশু ০.২ শতাংশ। এছাড়া ১৫ শতাংশ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বয়স্ক মানুষরা।চিকিৎসকরা এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন আক্রান্তদের লাইফ স্টাইলের পার্থক্যকেই। চিকিৎসকদের দাবি, বাইরে বেরনো এবং ঘন ঘন ধূমপানের অভ্যাসই এর অনতম্য কারণ। এই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ফুসফুসেই বেশি হয়। তাই যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁদের দুর্বল ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। ফলে এই ভাইরাসের হানায় ধূমপায়ীদের মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। এক্ষেত্রে মহিলাদের ধূমপানের সংখ্যা যেহেতু মাত্র ৩ শতাংশ তাই মহিলাদের অ্যান্টিবডি তাড়াতাড়ি তৈরি হয় আর শিশুদের যেহেতু বাড়তি যত্ন নেওয়া হয়, তাই তাদেরও সহজেই বাঁচানো যায়।