করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে বাংলার পুলিশের সাফল্য অর্জন।
ভারতবর্ষে প্রায় দুশো বছর রাজত্ব করেছিল ব্রিটিশ সরকার।ব্রিটিশ কে ভারত বর্ষ থেকে তাড়ানোর জন্য বহু ভারতবাসী বীর সৈনিক আত্মা বলিদান দিয়েছিল।বাংলা তথা ভারতবর্ষের বীর সৈনিক রা স্বদেশী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল তার জন্য, সেই থেকে অস্ত্রশস্ত্র ভারতবর্ষের আম জনতার হাতে। ব্রিটিশ পুলিশ পারিনি অস্ত্রকে প্রতিরোধ করার। সেখান থেকে আজও অস্ত্রশস্ত্র জনগণের হাতে রয়েছে।অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মানুষের উপরে অপকর্ম করছে যারা তাদেরকে আমরা দুষ্কৃতী বলে আখ্যা দিচ্ছে। আর এই দুষ্কৃতীরা আজ ভারতবর্ষের বুকে রাজত্ব করছে, এমনই অভিযোগ বহুদিনের।রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন তো দূরের কথা ভারতবর্ষের পুলিশ প্রশাসন আজও দুষ্কৃতীদের নিস্তেজ করতে পারিনি সেই ভাবে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ সাফল্যতা আমরা জেনেছি বহু পত্রপত্রিকায় পড়ে।সাধারণ মানুষের জন্য যে সব ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে অভিযোগপত্রের হিসেব রাখা, ভাড়াটিয়া, পরিচারক, গাড়ির চালকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি ছাড়াও গণেশ পুজো, অস্ত্রের লাইসেন্স — এমন প্রায় ২৭টি সার্ভিস অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহু রাজ্য এসএমএস সার্ভিস শুরু করেছে। যার মাধ্যমে অভিযোগকারীকে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর অভিযোগের নম্বর, এমনকি তদন্তকারী অফিসারের নামও। তামিলনাড়ু পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃতদের সম্পূর্ণ তথ্য আপলোড করার ব্যবস্থা করেছে যাতে বিমা সংক্রান্ত দাবিদাওয়া দ্রুত মেটানো যায়। এতেই শেষ নয়। ময়দানে নেমে কাজ করা তদন্তকারীদের সাহায্য করার জন্য তেলেঙ্গানা পুলিশ ‘টিএস-কপ’, গুজরাট পুলিশ ‘পকেট কপ’ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশ ‘ক্রাইম কন্ট্রোল’ অ্যাপ চালু করেছে।
বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য তামিলনাড়ু পুলিশ সাক্ষীদের আদালতে হাজির থাকার জন্য এসএমএস পদ্ধতি শুরু করেছে। আবার অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা পুলিশ গুগলের মতো ‘এন্টারপ্রাইজ সার্চ’ তৈরি করেছে। বাড়ির নিরাপত্তা ঠিক রাখতে ‘লকড হাউস মনিটরিং সিস্টেম’ এবং সম্পত্তির সঠিক হিসেব রাখতে প্রপার্টি আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারিং সিস্টেমও জনপ্রিয় হয়েছে অন্ধ্রে। ডিজির লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেশ কয়েকটি রাজ্য ‘ডায়নামিক রিপোর্ট’ এবং ‘ড্যাশ বোর্ড’ পদ্ধতি শুরু করেছে যাতে তদন্তের অগ্রগতি এবং গ্রেপ্তারির খবরও সিসিটিএনএস পদ্ধতিতে তাড়াতাড়ি জানা যায়। ওই রাজ্যগুলির এই ব্যবস্থা সংযুক্ত করা রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের ড্যাশ বোর্ডের সঙ্গে। ফলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সব তথ্য জানতে পারছে। তবে অন্যান্য রাজ্যের থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটাই এগিয়ে।পুলিশকে সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে বহু নজির রয়েছে বাংলাতে। বিগত দিনের কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে দেখছে কলকাতা পুলিশ৷ শহরের পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, “প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও পুলিশকর্মীদের চেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে৷ গত চার বছরে অনেক নতুন থানা তৈরি হয়েছে৷ মানুষ সহজে অভিযোগ জানাতে পারছে৷ আমরাও ব্যবস্থা নিতে পারছি৷” এছাড়া গড়ে উঠেছে মহিলা থানা৷ উৎসবের সময় পুলিশ রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে তোলে সহায়তা বুথ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে পুলিশ দফতরের ভার৷ এটাকে তাঁর সাফল্য হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই কলকাতাকে নিরাপদ করা গিয়েছে৷ যদিও এনসিবির রিপোর্টকে রাজ্য প্রশাসনের সাফল্য হিসেবে দেখতে চাইছে না বিরোধীরা৷ তবে যে যা বলুক না কেন ব্রিটিশ আমল থেকে শাসকদলের পুলিশকে ব্যবহার করছে তাদের নিজেদের মতো করে।পুলিশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করছে একশ্রেণীর নেতা-মন্ত্রীরা, পুলিশ তার নিজের ভূমিকা সঠিক পালন করতে পারছে না এ যুগে। বাংলায় বহু পুলিশ অফিসার আছে, যারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করে চলেছে আজও। যাদের কথা না লিখলে লেখাটা হয়তো অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যেমন সিনিয়র আইপিএস সুরজিৎ পুরকায়স্থ, আইপিএস অজয় রানাডে, আইপিএস সঞ্জয় মুখার্জী, আইপিএস মুকেশ, আইপিএস সুখেন্দু হীরা, আইপিএস অংশুমান সাহা, আইপিএস কঙ্কন প্রসাদ বারুই, আইপিএস শ্যাম সিং, রশিদ খান, ইন্দ্রজিত বাসু ও তরুণ হালদার। এছাড়া অনেকেই রয়েছেন।বারাইপুর পুলিশ জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কাজ করে চলেছেন দুই আইপিএস রশিদ মনির খান ও ইন্দ্রজিৎ বাসু।দিনের পর দিন যেভাবে অস্ত্র কারখানার হদিশ সহ একাধিক ব্যক্তিকে অস্ত্র সমেত হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে, এরকম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা বিগত দিনের পুলিশ অফিসার কে দেখা যায়নি।তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশ সুপার অজয় রানাডে যখন ছিলেন তখন ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে বহু কাজ করেছিলেন তার নজির আজও রয়েছে ! একদিকে নোবেল করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজ্যের মানুষ যেভাবে আতঙ্কিত, অন্যদিকে করোনা ভাইরাস এর পাশে দাঁড়াচ্ছে বারাইপুর জেলা পুলিশ।জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তরফ থেকে বেশকিছু অষুধের দোকান/ফার্মেসিকে মাস্ক ও hand sanitisers সংক্রান্ত নির্দেশাবলী সম্পর্কে সচেতন করা হলো। অপরদিকে বকুলতলা থানার তরফ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে leaflet বিলি করা হলো। তবেই দেশজুড়ে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মারণ করোনা ভাইরাস৷ সেই কারণেই অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন৷ আতঙ্কে কেউই এখন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন না৷ এছাড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ঘোরার ক্ষেত্রে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন৷খুব প্রয়োজন না পড়লে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কেউই বাড়ি বা এলাকা ছেড়ে বাইরে যেতে চাইছেন না৷ সেই কারণেই দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে ক্রমেই কমছে যাত্রী সংখ্যা৷ যাত্রী সংখ্যা কমার জেরেই এবার দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রেলমন্ত্রক৷অন্যদিকে করনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে একের পর এক সাফল্য পেতে চলেছে বারাইপুর জেলা পুলিশ। আবার অস্ত্রশস্ত্র হাতেনাতে গ্রেফতার করল,গোপন সূত্রে তল্লাশী চালিয়ে উদ্ধার কার্তুজসহ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, ধৃত এক। ঘটনা বকুলতলা থানার মায়াহাউরী-তে। অন্যদিকে সোনারপুর-বারূইপুর এলাকায় ছুটন্ত বাইক চেপে নিরীহ মহিলাদের গলার চেন ছিনিয়ে চম্পট দেয়ার দুষ্কৃতীরা। কে বা কারা ছিনতাই করেছিল তার হদিশ চালাচ্ছিল বারাইপুর জেলা পুলিশ, সেই লক্ষ্যে সাফল্য পেল বারাইপুর জেলা পুলিশ । ধরা পড়ল দুজন Veteran চেন-ছিনতাইকারী।* সিজ করা হলো ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত বাইকটি। ধৃত দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।