বাড়িতে চাল ও আলু পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ আইসিডিএস কেন্দ্রের বাচ্চাদের বাড়িতে চাল ও আলু পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কে শোনে কার কথা, বাংলার পরিস্থিতি তেমনই। রাজ্য রাজনীতিতে তরজা তুঙ্গে,মানুষের জন্য ভালো কাজ যা করছে সবটুকু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। সবকিছুতে দুর্নীতি ভরা। সেইসব রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না শাসকদলের একাংশ এমনই অভিযোগ।মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য যত প্রকল্প করেছে সব কিছুর পিছনে দুর্নীতি হচ্ছে বলে বহুদিনের অভিযোগ। ঘটনা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে শোনা যাচ্ছে।করোনা ভাইরাস এর জন্য আজ যে সাধারণ মানুষের উপকার করার জন্য বিনামূল্যে খাদ্য শস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী, সেটি সঠিকভাবে কি রাজ্যে! গ্রামগঞ্জে এমনই গুজব রটে চলেছে। সাধারণ মানুষ সব টুকু পায় না এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য দপ্তর ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি এক মিটার দূরত্ব রাখার কথা বলেছে। সেই কথা মাথায় রেখে রেশন লাইনে গ্রাহকদের এক মিটার ছাড়া ছাড়া দাঁড়ানোর নির্দেশিকা দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ডিলারদের দোকানে স্যানিটাইজার রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। লাইনে দাঁড়ানো রেশন গ্রাহকদের হাত পরিষ্কার করার কাজে তা ব্যবহার করতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলার
বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ আইসিডিএস কেন্দ্রের বাচ্চাদের বাড়িতে চাল ও আলু পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু আইসিডিএস সেন্টারে পর্যাপ্ত চাল নেই। আইসিডিএস সেন্টারে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া চাল দিলেও বহু সময় স্টক কম থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের পরে তারা অনেক সময় চাল পাঠায়। এফসিআইয়ের চাল দিতে দেরি হলে জেলাশাসকের দাবি মতো খাদ্য দফতর চাল পাঠায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বহু জেলায় এফসিআইয়ের চাল পাঠাতে দেরি হচ্ছে। সেকারণে খাদ্য দফতর চাল দেবে বলে জানিয়েছে।কোন জেলায় কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী মজুত রয়েছে তার তালিকা অফিসারদের থেকে নেওয়া হবে বলে খবর। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি ১৫ লক্ষ মানুষকে ভর্তুকিতে চাল ও গম দেয় রাজ্য সরকার। করোনা বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন জেলার রেশন দোকানে খাদ্য সামগ্রী বিলি যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে খাদ্য দফতর। সেকারণে দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন ও স্টেট ওয়ার হাউসিং কর্পোরেশনের আধিকারিকদেরও বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এই দুই দফতরের আধিকারিকদের থেকে কোন জেলায় কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী মজুত রয়েছে তার তালিকাও নেওয়া হবে।রাজ্যের সর্বত্র খাদ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত জোগান রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার আশ্বস্ত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।মন্ত্রী বলেছেন, “দিনভর বিভিন্ন বাজারে ফোন করে আমি নিজে খোঁজ নিয়েছি। সর্বত্র বিপুল পরিমাণে চাল ও গম মজুত রয়েছে। মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, করোনা ঠেকাতে অবশ্যই সতর্ক হোন, কিন্তু খাদ্যসামগ্রী জোগান নিয়ে অহেতুক ভয় পাবেন না। আমরা কোথাও কালোবাজারি করতে দেব না। কালোবাজারির চেষ্টা হচ্ছে, এমন খবর পেলেই আমাদের সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে।”