জেলা

টাকার জন্য মা-ছেলে সবকিছু করতে পারে: সুভাষ

ডায়মন্ড হারবার, 20 অক্টোবর : মাধ্যমিক ফেল ছেলে অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছে ৷ দেখে চমকে গিয়েছিলেন সুভাষ হালদার ৷ তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে স্যুট-বুট পরিহিত তাঁর ছেলে এখন মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়র ৷ কিন্তু ছেলের ঝাঁ-চকচকে গাড়ি, বেশভূষা দেখে বিশ্বাসও করেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু সেই বিশ্বাসই তাঁকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিয়েছিল ৷সেবার প্রতিবেশীদের তৎপরতায় বেঁচে গিয়েছিলেন বলে দাবি সুভাষ হালদারের ৷ তিনি জানান, প্রথমে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷

 পরে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় । তিনি স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন ডায়মন্ড হারবার থানায় । মিঠু হালদার এবং দুই ছেলে ভিকি হালদার ও বিশাল হালদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ আপাতত তারা জামিনে মুক্ত ছিল ৷ তার মধ্যেই কাকুলিয়া জোড়া খুনে তাদের নাম জড়াল ৷সুভাষ হালদারের বোন মাধবী হালদার জানালেন, প্রথম থেকেই টাকার লোভ ছিল মিঠুর ৷
 আগে একবার স্বামীকে খুন করার চেষ্টা করেছে ৷ এবার দু’জনকে খুন করল ৷ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার ৷বৃহস্পতিবার সেই কথাই বলছিলেন সুভাষবাবু ৷ তাঁর স্ত্রী মিঠু হালদারকে কাঁকুলিয়ায় জোড়াখুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাঁর ছেলে ভিকিকেও পুলিশ খুঁজছে ৷ সেও এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৷ যা দেখে সুভাষবাবুর বক্তব্য, মা-ছেলে টাকার জন্য সবকিছু করতে পারে ৷কেন এই কথা বললেন তিনি ? সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শোনালেন হাড়হিম করা একটা ঘটনা ৷
 তাঁর দাবি, সামান্য জমানো টাকার লোভে মা ও ছেলে মিলে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে । কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারের একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁকে নিয়ে আসে মিঠু ও তার দুই সন্তান । খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচৈতন্য করে তাঁকে বেঁধে সেলোটেপ দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টাও করে ।

Related Articles

Back to top button