বিনোদন

‘দাঁত ফাঁকা, রঙ কালো’, শাবানার মা না থাকলে নায়কই হওয়া হতো না মিঠুনের!

তিনি সুপারস্টার, তিনি মহাগুরু, কথা হচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীর। তবে শুরু থেকে সবটা এমন ছিল না। দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, নিজেকে নিয়ে চরম হতাশা কেরিয়ারের প্রথম দিকে গ্রাস করেছিল তাঁকে। আর এমন সময়েই নাকি মিঠুনের পাশে দাঁড়ান শাবানা আজমির মা, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী শাবানা জানিয়েছেন, গায়ের রঙ কালো, দাঁত ফাঁকা– এই সব নিয়েই চূড়ান্ত ভেঙে পড়েছিলেন মিঠুন। তাঁর কথায়, “আমাদের বাড়ি জানকি কুটির এমন একটা জায়গা যেখানে সব স্ট্রাগল আর্টিস্টের কাছে ছিল অবারিত দ্বার। যাদের বম্বেতে থাকার জায়গা থাকত না, আমার আব্বা ও আম্মা সেখানে তাঁদের আশ্রয় দিত। মিঠুন এমনই এক মানুষ ছিল, যে নিজের নিয়ে ভীষণ সচেতন থাকত। ও ফাঁকা দাঁত, ওর রঙ নিয়ে এতটাই সচেতন ছিল যে যখন হাসত তখন মুখ বন্ধ করে।” শাবানা যোগ করেন, “ধীরে ধীরে ওর এই হতাশা কাটতে থাকে। তবে আমার মনে হয় এই হতাশা কাটানোর নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল আমার মায়ের। তিনিই ওঁকে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন।”

এই খবরটিও পড়ুন

বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিক্ষকতা, সিবিআই-এর নজরে এবার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের শ্যালক

 

মিঠুন নিজেও জানিয়েছেন কৃষ্ণবর্ণ হওয়ার কারণে বারে বারে অসম্মানিত হওয়ার কথা। ১৯৮২ সালে বড় ব্রেক পান মিঠুন। মুক্তি পায় ‘ডিস্কো ডান্সার’। এরপর যদিও তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট। তাঁর ডিস্কো ডান্স রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেয় প্রথম সারির অভিনেতাদেরও। নিজের যোগ্যতায় মুম্বইয়ে গিয়ে সাফল্য অর্জন করেছিলেন তিনি। সেই ট্র্যাডিশ্ন এখনও চলছে। তবে নিজের শিকড় তিনি ভুলে যাননি। তাই বারেবারেই ফিরে এসেছেন বাংলা ছবিতে। তাঁকে দেখা গিয়েছে ছোটপর্দার বিচারকের ভূমিকাতেও। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল মিঠুন ও দেব অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’। ওই ছবি সুপারহিট হয়। হাতেও বেশ কিছু ছবি রয়েছে তাঁর। বাংলাদেশে বহু বছর পর এক ছবিতে অভিনয় করবেন তিনি। এ ছাড়াও হাতে রয়েছে ‘বাপ’– ওই ছবিতে মিঠুন ছাড়াও থাকবেন সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত, জ্যাকি শ্রফেরাও।

Related Articles

Back to top button