রাজ্য

মুর্শিদাবাদ রেশন দুর্নীতি দমনে স্মরণীয় নাম অজিত সিং যাদব।

লকডাউন এর আগে থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার ছিলেন অজিত সিং যাদব। তিনি কড়া হাতে দমন করেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার দুষ্কৃতীদের।এনআরসি আগুন জ্বলছে, ঠিক তখনই অজিত সিং যাদব কে এই এলাকায় শান্ত করতে পুলিশ সুপার পদে নিয়ে এসেছিল।অত্যন্ত ধৈর্যশীল ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধি এবং সাহসিকতা দেখিয়ে এলাকাকে শান্ত রেখেছিল সেই সময়।অজিত সিং যাদব কোনদিন দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেনি ,দুর্নীতির বিরুদ্ধে সব সময় তিনি আইনি কাজ চালিয়ে গেছেন। নিজের জীবন বাজি রেখে বারবার বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করেছেন তিনি। গোর্খাল্যান্ড উত্তপ্ত নিজের সাহসিকতায় ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে গোর্খাল্যান্ডকে শান্ত করে দিয়েছে অজিত সিং যাদব। আই পি এস অফিসার হওয়ার আগেই তিনি এয়ারফোর্স অফিসার পদে নিযুক্ত ছিলেন। আইপিএস জগতের ধৈর্যশীল এবং কঠোর তিনি,কোন কিছুর মূল্যে তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপস আপস করেননি দীর্ঘ ২২টা বছর চাকরি জীবনে। বাংলার সবচেয়ে সাহসী এবং তাৎক্ষণিক বুদ্ধিসম্পন্ন আইপিএস অফিসার অজিত সিং যাদব। হাওড়া কমিশনার অফ পুলিশ হেডকোয়ার্টার থাকাকালীন বোমার আঘাতে ঘায়েল হয়েছিলেন, তবুও তিনি পিছপা হননি নিজের দায়িত্ব কাজের প্রতি। মুর্শিদাবাদের রাজনীতি ছত্রছায়ায় থাকা রেশন দুর্নীতি কারীদের নির্মূল করার চেষ্টা করেছিল অজিত সিং যাদব। আর সেই কারণেই মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার পদে থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একথা মুর্শিদাবাদ জেলাবসীর মুখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছে, তবে অজিত সিং যাদব পুলিশ সুপার থাকাকালীন মুর্শিদাবাদ জেলায় এভাবে মানুষ রেশন দুর্নীতির জন্য, ক্ষোভে ফেটে পড়েননি। চিরকালই যোগ্য অফিসাররা যোগ্য পদে বহাল থাকতে পারেন না এমনই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যত দিন যাচ্ছে বাংলায় সব থেকে ভালো ভালো অফিসার গুলো, পুলিশের মেন পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হতে হচ্ছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপে। এ কথাগুলো স্বীকার করে নিয়েছে বিরোধী দলের একাংশ নেতারা।

এদিকে লকডাউন এর কারণে যত দিন যাচ্ছে রেশন দুর্নীতি ততই সামনে আসছে। রাজ্যে কিছু রেশন দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। এই অভিযোগ চলে আসছে লকডাউন শুরু থেকে। বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ নিয়ে। তবুও যেন পিছু ছাড়ে না। কোথাও যেন একটা গাফেলতি থেকেই যায়। সাধারণ মানুষ আজ লকডাউন এর কারণে গৃহবন্দী এবং কর্মহীন। ঠিকমতো খাবার জোগাড় করতে মরিয়া এবং খাচ্ছে হিমশিম। চেয়ে আছে কারোর দিকে। আবার কোথাও লাইনে দাঁড়িয়ে। এ দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে, করোনা ভাইরাস গরিবদের জন্য, ধনীদের জন্য নয়। মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে রেশন দুর্নীতির কারণে। আবার কোথাও তৃণমূল নেতাদের ঘেরাও করে দেখাচ্ছে বিক্ষোভ। কিন্তু দিন দিন বেড়েই চলেছে এই সমস্যা। মানুষ গৃহবন্দি হয়ে আজ অসহায় লক ডাউন এর কারণে। আবার অনেকের উপার্জন বন্ধ। মানুষ কোথাও কোথাও ত্রাণ পাচ্ছে আবার কোথাও ঠিকমতো পাচ্ছে না। আর যদিও পাচ্ছে তা গুটিকয়েক। তার উপর রাজ্যে কিছু রেশন ব্যবস্থা পরিকাঠামো অত্যান্ত বেহাল দশা। এবার সেই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাগন তাদের অভিযোগ
জলঙ্গী ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলের সাইদুল ইসলাম রেশন দোকানে মাল কম দিচ্ছে । এই ঘটনায় রেশন দোকান বন্ধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে জলঙ্গী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। যদিও এলাকা বাসির অভিযোগ বিডিও না আশা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রেশন বণ্টন ব্যবস্থা। রাজ্য সরকার এতো ঘোষণা করার পরও কি ভাবে রেশন দোকানে মাল কম দেয়? এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ খেতে পাচ্ছে না। আর রেশন দোকানদার নিজে মাল আত্মসাৎ করেছেন।
এমন কি যে ৪০ কিলো পাবে তাকে তাকে ৩৫ কিলো করে চাল দিচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বিডিও সাহেব ও মহকুমার শাসক এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ তুলে দিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button