করোনার আক্রান্ত হতে পারে অ্যামাজনের আদিবাসীরা।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লকডাউনে একমাত্র ঔষধ ।। সেই কারণেই আমরা সবাই ভাবছি করোনা থেকে পরিত্রানের উপায়,এই চক্র্যব্যুহ থেকে উত্তরণের পথ৷করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অক্ষরে-অক্ষরে মানতে হবে। জঙ্গলে থেকে এসবের কোনো তথ্যই নেই তাদের কাছে, তারানা বোঝে ভালো করে বাংলা না বোঝে ইংলিশ না বোঝে হিন্দি।নিজের মাতৃভাষা ছাড়া তারা আর কিছুই জানেন না।জঙ্গলে এই আদিবাসীরা তারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে এখবর সঠিকভাবে পাচ্ছে না, সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা তারা অবাধে চলছে জঙ্গলের মধ্যে ঘোরাফেরা, আদিবাসী একাধিক সংগঠন অভিমত এরা যেকোন সময়ে করনা আক্রান্ত হতে পারে । তেমনি আশঙ্কা করছে আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠনের কর্তাব্যক্তিরা। পৃথিবীর রহস্যময় জঙ্গলের মধ্যে একটি হলো অ্যামাজনের ঘন জঙ্গল।সরকারিভাবে এদেরকে আরও সচেতন করা খুবই দরকার বলে মনে করছে আদিবাসী বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশরা । আশঙ্কা করা হচ্ছে অ্যামাজনের বাসিন্দারা করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হলে মারাত্মক আকারে নিতে পারে । তাদের কাছে বড় সমস্যা হলো চিকিৎসা। এই ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা নেই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অ্যামাজনের আদিবাসীরা প্রায় সকলেই মৃত্যর দিকে এগিয়ে যাবে, সেই কথা কেউ জানতেও পারবে না। তেমনি মত প্রকাশ করেছেন আদিবাসীদের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।এদের সাথে ব্রাজিল সরকারের সহমত পোষণ করতে পারে নাই বহুকাল ধরেই।ব্রাজিল সরকার এখানকার আদিবাসীদের ভালো চোখে দেখেনা, যদি তাদের মধ্যে কোনোভাবে সংক্রমণ ঘটে তাহলে তাদের চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু ছাড়া কোনো গতি নেই। জানা গিয়েছে, ওই আদিবাসীরা শহরের সাথে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে যোগাযোগ একদম নেই বললেই চলে, সেদেশের সরকারও তাদের কোনো খবর নিতে চাইছে না। জানা গিয়েছে, অ্যামাজনের আদি বাসিন্দারা নিজেরাই ছোট ছোট গোষ্ঠী বানিয়ে সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে চাইছে । এ বিষয়ে অল আদিবাসী সাদরি সুসার অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক স্বপন সরদার মুন্ডা সবার সহযোগিতাও সহমত নিয়েে সারা বিশ্বের আদিবাসীদের পাশে থাকবেন তেমনই অঙ্গীকার করেছেন।