রাজ্য

অামফান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামতী নিয়ে অাদৌ কোন হেলদোল নেই

অামফান অনুদান নিয়ে প্রশাসনিক কর্তা ও পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা খুবই ব্যস্ত।অামফান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট মেরামতী নিয়ে অাদৌ কোন হেলদোল নেই। অামফান দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাট অনেকক্ষেত্রে বর্ষাকালে কাদামাটি মাখামাখি হয়ে জলাশয় না হয় ধান রোপনের জলাজমি তে পরিণত হয়েছে। কাঁথি -৩ ব্লকের নীলপুর বাজার থেকে মশাগাঁ বরাবর ওসিসি র পাড় ঘেঁষে একটি রাস্তা রয়েছে। মোরাম বিছানো রাস্তার অনেকটাই মোরাম উঠে গিয়ে মেঠোপথের রূপ পেয়েছে। কাঁথি-৩ ব্লকের লাউদা অঞ্চলের পানভূঁই,কুসুমপুর অঞ্চলের রামপুর,কলাপুঞ্জা,নহরিয়া প্রভৃতি গ্রামের হাজার হাজার গ্রামবাসীর নীলুপুরে অাসার এই কর্দমাক্ত মেঠোপথ। স্কুল কলেজ, বাজার হাট সব জায়গায় যেতে হয় এই নরকযন্ত্রণা পেরিয়ে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কে বলে বলেও ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা কোন সুরাহা পাননি।বনমালীচট্টা হাইস্কুলে র প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মামুদ হোসেনের পথঘাট সবই চেনা।অগত্যা সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জেলাশাসক কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে অামফান দুর্যোগ ও বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ নীলপুর বাজারের লাগোয়া কর্দমাক্ত মেঠোপথের অবিলম্বে মেরামতি ও ঢালাইকরন বা পীচ করনের দাবী জানিয়েছেন।সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন গ্রামের এই রকম অনেক রাস্তাই অামফান দুর্যোগে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্ষাকালে রাস্তার খানাখন্দের রূপ পেয়েছে। সরকার ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কে অর্থ বরাদ্দ করে বেহাল রাস্তাকে সারানোর কথা বেমালুম ভুলেই গেছে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। মেলা-খেলা,ক্লাব-মোচ্ছব,অপ্রয়োজনীয় খাতে জনগণের টাকা বরবাদ না করে গ্রামীণ যোগাযোগ ও চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে সরকারের অাশু উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।

Related Articles

Back to top button