আপনিও সাংবাদিক

রাহুল সিনহা কে সর্বোচ্চ তৃণমূল নেতার ফোন

 

পদ হারিয়ে দিশেহারা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, কিছু দিন আগে হারালেন কেন্দ্রীয় সম্পাদের পদ।

এরপর ই ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ, তোলপাড় হয়ে যায় বাংলার রাজনীতি। এই বুঝি দলত্যাগ করতে চলেছেন রাহুল বাবু। কিছুদিনের অপেক্ষার পর তৃণমূল নেতাদের ফোন পেয়ে বদলার আভাস দিয়ে রাখলেন রাহুল বাবু।

প্রশ্ন হলো বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তে রাহুল সিনহার অবদান কতখানি? কিংবা কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে থেকে কি এমন করলেন দলের জন্য? উত্তর একটাই কিচ্ছু না।

শুধু মাত্র ক্ষমতায় থেকে তার অপব্যবহার, না আছে কোন জনপ্রিয়তা,না আছে সাংগঠনিক দক্ষতা। একটা সময়ে বাস ভর্তি হয়ে কর্মী সমর্থকেরা রাজ্য অফিসে এসে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল,

সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন বনগাঁর উপনির্বাচনে কে ডি বিশ্বাস কে টিকিট না দিয়ে ঠাকুর বাড়ির ছেলে সুব্রত ঠাকুর কে টিকিট দেওয়া।

সেসময় সেখানকার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।এর কিছুদিন পরেই রাজ্য সভাপতির পদ হারান,দিলীপ ঘোষ কে সেই পদে আনা হয়।

পদ পেয়েই একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছেন দিলীপ বাবু,তার ছিটেফোঁটা ও রাহুল সিনহা করতে পারেন নি। দলত্যাগ করে রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে রাহুল বাবুর মত বিশেষজ্ঞদের।

 

এবিপি আনন্দের কাছে রাহুল এ দিন বলেন, “ফোন করেছিলেন তৃণমূলের দুই সম্মানীয় নেতা। পৃথক পৃথক ভাবে দু’জন ফোন করেছিলেন। তাঁরা জানতে চাইছিলেন, আমি কী চিন্তা করছি। আগামী দিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে, ইত্যাদি। এটুকুই আর কী!

সৌজন্য ফোন যেমন হয়, সেটাই। এমনিতে প্রচুর মানুষ এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা ফোন করেছেন। এই বিষয়টাতে যাঁর যে রকম প্রতিক্রিয়া, সেটাই জানিয়েছেন”।

তবে বিজেপিতেই থাকছেন, না কি তৃণমূলে যাচ্ছেন, তেমন প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব দেননি রাহুল।

Related Articles

Back to top button