বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার জন্য অসংগঠিত শ্রমিকদের স্বস্তির আলো দেখছে গ্রাম-গঞ্জে।
মৃত্যুঞ্জয় সরদার:বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক যেভাবে মানবিকতা দেখাচ্ছে ,সেটা বিশ্ব ইতিহাসে একটা উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।অসংগঠিত শ্রমিক হতদরিদ্র গরীব মানুষের কথা মাথায় রেখে যেভাবে রাজ্যে বিড়ি শ্রমিক এবং ফুল চাষীদের ছাড় দিলেন তাতে কয়েক লক্ষ মানুষের রুটি রোজগারের সম্ভাবনা দেখা দিল লকডাউন এর সময় ও।ফুল ও পান পচনশীল বস্তু যা বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যায় না, ফলের লকডাউন এর কারণে ফুল ও পান চাষীরা বিবস্ত্র ক্ষতির মুখে পড়ে গেছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে অসংগঠিত শ্রমিক ও চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিলো, ভারতবর্ষের ইতিহাসে বিরলতম মুখ হিসেবে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে তানার নামটি স্বর্ণ করে লেখা থাকবেই। অসহায় অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এভাবে মানবিক দেখাবে এটা অনেকেই ভাবতে পারিনি।মানবিকতা যে সব সময় সব কিছুর ঊর্ধ্বে আছে তার প্রমাণ করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিড়ি শ্রমিকরা অসংগঠিত কিন্তু প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে ছোট ছোট কুটির শিল্প হিসাবে গড়ে তুলেছেন, এই কুটির শিল্পের উপর নির্ভর করে কয়েক লক্ষ রাজ্যের অসংগঠিত বিড়ি শ্রমিকদের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয়। সেই কারণে লকডাউন থাকার সত্বেও,দুধচাষিদের মতো ফুল নষ্ট হোক সরকার তা চায় না। তাই ফুলের ব্যবসায়ীদের ও এবার পণ্য পরিষেবার মধ্য়ে দেওয়া হল। আগামীকাল থেকে ফুলের বিক্রেতাদের ফুল আনা-নেওয়ায় পুলিশ কোনও বাধা দেবে না। এখানেই শেষ নয়। মুখ্য়মন্ত্রীর ছাড়পত্রের তালিকায় রয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরাও। আপাতত তারাও একসঙ্গে সর্বোচ্চ সাতজন ঘরের ভিতর বিড়ি বাঁধতে পারবেন। কিন্তু এই সব কিছুই তাদের সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং মেনে চলতে হবে। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, লকডাউনের জেরে অসংগঠিত শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সেকারণেই বিড়ি শ্রমিকদের লাকডাউনে ছাড় দেওয়ার সিদ্দান্ত নিয়ে পাজ্য় সরকার।তবে কোনওভাবেই সরকারের গাইড লাইনের বাইরে গিয়ে কিছু করা যাবে না। রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, লকডাউনের জেরে অর্থনৈতিকভাবে খারাপ পরিস্থতির মুখে পড়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা। রাজ্য়ে সবচেয়ে বেশি বিড়ি শ্রমিক মুর্শিদাবাদেই দেখা যায়। যানবাহন বন্ধ থাকায় একেবারে থমকে গিয়েছে বিডি়র ব্যবসা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বহুবার জানিয়েছে বিড়ি কোম্পানির মালিকরা। সোশ্য়াল ডিস্ট্য়ান্সিং বজায় রেখেই কাজ করতে চেয়েছেন তারা। এদিন তাদের সেই আবেদন মেনে নিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। নবান্নে প্রেস কনফার্ন্সেই জানিয়ে দিলেন ফুল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বিড়ি বাঁধতে পারবেন তাঁরাও। অসংগঠিত শ্রমিকদের ইতিহাস দীর্ঘদিনের,১৯৭৭ সাল বিড়ি শ্রমিকরা
প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় এলেও পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ (প্রায় ১৯ লক্ষ) বিড়ি শ্রমিকের পিএফ চালু হয়নি৷ ফলে তারা পেনশন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত৷ অনেক আন্দোলনের ফলে ১৯৭৬ সালে বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ আইন লোকসভায় পাশ হয় এবং ১৯৭৮ সাল থেকে তা কার্যকরী হয়৷ এই প্রকল্পের কোনও সুযোগ পেতে হলে প্রয়োজন সরকারি বিড়ি শ্রমিক পরিচয়পত্রের৷ এ রাজ্যে এখনও ৮ লক্ষাধিক বিড়ি শ্রমিক সরকারি পরিচয়পত্র পাননি৷ কল্যাণ প্রকল্প চালু হওয়ার পর যতটুকু সুযোগ বিড়ি শ্রমিকরা পেতেন আজ তাও তাঁরা পাচ্ছেন না৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহ নির্মাণ প্রকল্প থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন৷ বিভিন্ন প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ বাস্তবে বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ দপ্তরের গুরুত্ব লঘু করে দেওয়া হচ্ছে৷ বিড়ি শিল্প থেকে জিএসটি–র মাধ্যমে ওঠা টাকার খুবই সামান্য পরিমাণ কল্যাণ প্রকল্পে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ রাজ্য সরকার কিছুই প্রায় দিচ্ছে না৷ সম্মেলনে দাবি ওঠে, বিড়ি শিল্প থেকে জিএসটি–র মাধ্যমে ওঠা টাকার ৫০ শতাংশ টাকা বিড়ি শ্রমিক কল্যাণে খরচ করতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে৷দীর্ঘদিনের করে আসছিল বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় তা অনেকের কাছে অজানা।তবে বিড়ি ভিতরে যে মসলাটি থাকে তার আরেক নাম তামাক,তামাক গাছের আদি নিবাস উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় । তামাক গাছের শুকানো পাতাকে তামাক বলা হয়। তামাক গাছ ১২-১৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। তামাক অত্যন্ত নেশাদায়ক পদার্থ । তামাকে আগুন দিয়ে সিগারেটের বিড়ি চুরুট অন্যান্য ধূমপানের মাধ্যম প্রস্তুত করা হয়। ধুমপান ছাড়াও তামাক নানা রকম ভাবে ব্যবহার হয়, যেমন চিবিয়ে (, জর্দা যা পানের সাথে খাওয়া হয়), অন্যদিকে
ধূমপানের জন্য তৈরি শুকনা তামাক পাতা দিয়ে পাকানো একটি ক্ষুদ্র শলাকা। শতাব্দীকাল ধরে গ্রামীণ এলাকায় সিগারেটের এই দেশজ বিকল্প ছিল জনপ্রিয়। উনিশ শতকের শেষদিকে ব্রিটিশরা কাগজে মোড়া সিগারেট ভারতে নিয়ে আসে। সম্ভবত ডব্লিউ. ডি অ্যান্ড এইচ.ও উইলস বাংলায় বাজার পাওয়া প্রথম বিদেশি সিগারেট কোম্পানি হিসেবে ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে সিগারেটের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করে। কিন্তু আমদানিকৃত এই বিলাসদ্রব্য বাংলার সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে ছিল। কৃষকরা নিজেই ঐতিহ্যগতভাবে তামাক পাতা দিয়ে গৃহে বিড়ি তৈরি করে থাকে। এখানে বিড়ি তৈরির অসংখ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প রয়েছে।বিড়ি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের আগে ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যাপক পরিমাণে বিড়ি তৈরি হতো না। বিড়িসেবীরা নিজেরাই ঘরের মধ্যে বিড়ি তৈরি করত। সুপারি উৎপাদনের এলাকাগুলিতে খুই কাগজ নামে পরিচিত সুপারি পাতার বহিঃস্তরের আবরণকে শুকনা ও চূর্ণ তামাক পাতার মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
বিড়িশিল্পের মূল কাঁচামাল বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপন্ন তামাক পাতা। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত তিন বছরে তামাক পাতার বার্ষিক গড় উৎপাদন ছিল ৪০,৬৮৯ টন এবং বিড়ি ও তামাকের অন্যান্য সামগ্রীর গড় উৎপাদন ছিল ১০,৮৪০ টন। ১৯৭৯-১৯৮২ বছরগুলিতে এই সংখ্যা ছিল ৪৫,৯৯৭ টন ও ১৪৮৩৮ টন।অন্যদিকে আরেকটি উদ্ভিদ হচ্ছে পান, পানচাষিরা একটা সময়ের মধ্যে পানের বরজ কেটে দিয়ে বাজারে বিক্রি করে দিতে হয়। সেই সময় অতিক্রম করলে নিজে থেকেই পচন ধরতে শুরু করে পানের,আর সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পান চাষীদের জন্য মানবিকতা দেখিয়েছেন লকডাউন এর মধ্যেও।পান, যার বৈজ্ঞানিক পরিচিতি পাইপার বিটল, সংস্কৃত ভাষায় ভূজঙ্গলতা পত্র। অহমিয়া ভাষায় এর নাম তাম্বুল, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় পান বলে পরিচিত। সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮ কোটি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় পানের চাষ হয়। আর ভারতবর্ষে পানের উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশ হয় পশ্চিবঙ্গে। এ ছাড়াও, ওড়িশা, অসম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু রাজ্যে পানের চাষ হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৯০০০ হাজার হেক্টর এলাকায় পানের চাষ হয়। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৩২৭০ হাজার হেক্টর, হাওড়া জেলায় প্রায় ২৫০০ হাজার হেক্টর পান চাষ হয়। এ ছাড়া হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলায়ও পানের চাষ হয়। আর স্থানীয় ভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি সহ বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ জেলাতেও কিছু কিছু পানের চাষ হয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পূজাপার্বণ থেকে ওষধি তৈরিতে পানের প্রয়োজন রয়েছে। পুরাণ অনুসারে দেবতা ও অসুর সমুদ্র মন্থন করার পর যখন অমৃত উঠে আসে তখন কয়েক ফোঁটা অমৃত পাতালে নাগরাজ্যে গিয়ে পড়ে আর সেখান থেকে এক লতার জন্ম হয়। যে কারণে এই লতাকে পুরাণে ‘নাগবল্লী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ধন্বন্তরি ‘পান’ পাতার ওষধি গুণ জানতে পারেন। পরবর্তী কালে ওই লতার পাতাই ‘পান’ পাতা হিসাবে পরিচিত।পান চাষ পদ্ধতি এক বিশেষ রকমের যা ‘বরজ’ নামে পরিচিত। এই বরজ হল ভালো ভাবে ঘেরা ও উপরে ছাউনি দেওয়া বিশেষ ভাবে প্রস্তুত একটি ঘর। আর এই ছায়া ঘন পরিবেশের মধ্যে পানের চাষ যথেষ্ট সংখ্যায় ও উপযুক্ত মানের হয়। আর এ কারণেই ওই বিশেষ ধরনের ঘর ‘বরজ’-এ পান চাষ করাই সাধারণ রেওয়াজ। তবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা সহ অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতে সাধারণ ভাবে সুপারি গাছকে অবলম্বন করে ছায়ায় বরজ ছাড়াই পান চাষ করা হয়। এই সকল অঞ্চলে বছরের বেশির ভাগ সময়ই বৃষ্টিপাত হয়। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ও বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি থাকে। যে কারণেই এই গাছে পান চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যদিও এই পদ্ধতিতে চাষ খুব একটা লাভজনক নয়।পান চাষেও অন্যান্য ফসলের ন্যায় বিশেষ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল সংরক্ষণজাত সমস্যা, বর্ষার সময় অতিরিক্ত ফলন ও তার বিক্রয়জনিত সমস্যা। এ ছাড়াও বিপননজনিত সমস্যা আছে। সর্বোপরি বিশেষ কয়েকটি রোগের আক্রমণজনিত সমস্যা, যদিও পানের ভালো বাজার মধ্য প্রাচ্য সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে রয়েছে এবং আমাদের রাজ্য সহ দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে ওই সমস্ত দেশে রফতানি হয়।অন্যদিকে বাংলার প্রায় সব জেলাতেই পান ও ফুল চাষ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে, প্রত্যন্ত সুন্দরবনের পান ও ফুল চাষে অনেকেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।বিশ্বে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পান ফুল এবং বিড়ি শ্রমিক দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত শিকার হয়েছিলেন অনেকেই অনাহারে দিন কাটিয়েছে ।মুখ্যমন্ত্রীর মানবী মুখের কারণে রেহাই পেল বাংলার ফুল চাষী ও পান চাষী এবং অসংগঠিত বিড়ি শ্রমিকরা। সে কারণে বাংলার সমস্ত জেলা তথা সুন্দরবনের ফুলচাষীরা স্বস্তির মুখ দেখছে, সৌন্দর্য ও লাবন্যের প্রতীক গোলাপ। এটি একটি শীতকালীন মৌসুমী ফুল । তবে বর্তমানে গোলাপ সারা বছর ধরেই চাষ করা হচ্ছে। বর্ণ, গন্ধ, কমনিয়তা ও সৌন্দর্যের বিচারে গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয়। পুষ্প প্রেমীদের সবচেয়ে প্রিয় ফুল গোলাপ। এটি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জলবায়ুতে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে বলে পৃথিবীর সব দেশেই সারাবছর কমবেশি গোলাপের চাষ হয়। গোলাপ সাধারণত কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে, বাগান, লন, কেয়ারী, বারান্দা সাজাতে গোলাপের জুড়ি নাই। আতর ও সুগন্ধি শিল্পেও গোলাপের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।শুধু সুগন্ধিয়া সৌন্দর্য জন্য মানুষ ফুল চাষ করে না, বাংলায় ব্যাপক পরিমাণ অর্থ ফুলের মাধ্যমে আসে সাধারণ মানুষের কাছে।২০০৭-০৮ থেকে ২০১১-১২ সাল অর্থাৎ পাঁচ বছরে ৭৪০ কোটি কাটাফুল উৎপাদন ও সরবরাহ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। শুধু ২০১১-১২ সালে রাজ্যে ফুল উৎপাদনের হার বেড়েছে ১৪ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া ইত্যাদি জেলা ফুল চাষে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।তবে ২০০৮ সালে রাজ্যে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষ করা হত। ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪ হাজার হেক্টরে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ফুল চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। ফুলের পাশাপাশি তা থেকে তৈরি জৈব সারের চাহিদা বেড়েছে চাষের কাজে। এই মুহূর্তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে অন্তত দু’লক্ষ লোক ফুল চাষে যুক্ত। এতগুলি লোককে রুটি-রুজি জোগাচ্ছে ফুল! রাজ্য থেকে ফুল যাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, মুম্বই ইত্যাদি জায়গায়। এমনকী, বাংলার ফুল সিঙ্গাপুর, দুবাই, কাঠমান্ডুতেও রফতানি হচ্ছে। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, পদ্ম, সূর্যমুখী, অপরাজিতা ইত্যাদি ফুলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।