বর্ধমানের পুরাতনচকে সাংবাদিক সহ যুববৃন্দরা ত্রান দিলো তিনশো অসহায় মানুষের সঙ্গে দুস্থ স্বপন বাউলকে ।
নিজস্ব সংবাদদাতা : লক ডাউনে মানুষের কাজ নেই ,হাতে পয়সা নেই, সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে । এই সংকটের সময়ে অনেক সেচ্ছাসেবী সংস্থার মতো পূর্ব বর্ধমানের খক্করসাহেবের মাজারের সামনে পুরাতন চকের সাংবাদিক আরশাদ গনি ও ওই এলাকার যুববৃন্দ মিলে এবং অন্যান্য সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে পবিত্র রমজান মাসে প্রায় তিনশো জন অসহায় কে খাদ্য সামগ্রী দিলো । তার সঙ্গে পূর্ব বর্ধমানের দুস্থ বাউল শিল্পী স্বপন দত্তর হাতে আনন্দের সঙ্গে খাদ্য সামগ্রী ত্রান তুলে দিলো । ত্রান সামগ্রী তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ঠ রাজনৈতিক বাক্তিত্ব রব দা , সাংবাদিক ঋষি গোপাল মন্ডল , পার্থ চৌধুরী , দীপঙ্কর চ্যাটার্জী ,ও আরশাদ গনি প্রমুখ সাংবাদিক বৃন্দ। এলাকাবাসী পুরাতন চক যুব বৃন্দের সহযোগিতায় এই ত্রান সামগ্রী তিনশো অসহায় মানুষের সঙ্গে দুস্থ স্বপন দত্ত বাউলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ওই এলাকার যুব বৃন্দ দের সাধুবাদ জানায়। মাননীয় রব দা ও সাংবাদিক আরশাদ গনি বলেন উৎসব ও পরবের সময় আমরা এই রকম ত্রান সামগ্রী প্রায়ই অসহায়কে তুলে দিয়ে থাকি। কিন্তূ আজ এমন একজন বাউলশিল্পী কে আমরা খাদ্য সামগ্ৰী ত্রান দিলাম যিনি নিজে বাউলগানে ভিক্ষা করে ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দেন। ও ইফতার এ মুসলিম ভাইবোনকে ইফতার খাদ্য দ্রব্য দিয়ে পাশে দাঁড়ান বাউলগানে ভিক্ষালব্ধ অর্থ থেকে ।। হটাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বপন বাউলের কাতর কান্নাভরা আবেদন যে লক ডাউনে আমার কোনো কাজ নেই , নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে সমাজ সচেতনের বাউলগান গাই পথে পথে । সংসারে বড়ই অভাব আমাকে কেউ খাদ্য দ্রব্য দিয়ে সাহায্য করুন ।বাউলের সেই কাতর কান্না ভরা আবেদনে সাড়া দিয়ে পুরাতন চকের যুববৃন্দ ও বর্ধমানের সাংবাদিক রা একত্রিত হয়ে তার হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দিলেন। উক্ত ত্রান সামগ্রী দেওয়ার অনুষ্ঠানে স্বপন বাউল শান্তি সম্প্রতির গানে মানুষের মন জয় করেন। স্বপন বাউল তার মূল্যবান বক্তব্যে বলেন যে কিছু বাক্তিত্ব , সমাজসেবী সংস্থা , সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম আমাকে আমার এই দুঃসময়ে অভাবের দিনে মাঝে মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আমার বৃদ্ধা মা সহ সংসারের নয় জনের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন । আমার কাছে এই সমস্ত বাক্তিত্ব স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম এনারা সকলেই ঈশ্বর স্বরূপ ।নিজের লেখা কবিতার ছন্দে বলেন ।। তোমাদের কাছে আমার অনেক ঋণ । এ জীবনে আসবে নাগো কোনো পরিশোধের দিন।।