রাজ্য

পুলিশ সুপার এর উদ্যোগে রক্তদান শিবির বেলডাঙ্গায়

আমরা জানি রক্তদান জীবন দান। রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্তদান প্রক্রিয়া। যা মানুষকে বাচিঁয়ে তুলতে পারে। অনেক রোগীর পরিবার রক্তের প্রয়োজনে অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। ছুটতে থাকে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে রক্তের প্রয়োজনে। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়। উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, এবং তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। কিন্তু দরিদ্র দেশগুলোতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা কম বললেও চলে। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিত লোকদের প্রয়োজনে রক্তদান করেন । তবে অনেকে সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন । আবার কিছু মানুষও পেশাদার। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। মানুষ যেমন প্রয়োজনে রক্তের জন্য ছুটাছুটি করে ,ঠিক সেই রকম তার উল্টো ছবি ধরা পড়লো মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তৎপরতায়। কারণ রক্তের জন্য মানুষ ছুটাছুটি করছে, অপরদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসন মানুষের রক্তের চাহিদা মেটানোর জন্যও জেলা জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রক্তদান শিবিরের আয়োজনের মাধ্যমে। যাতে সাধারণ মানুষ রক্তের জন্য অসহায় হয়ে না পড়ে। আর সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে রবিবার
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং মানব বন্ধনের সহযোগিতায় বেলডাঙ্গা থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত হলো এক রক্তদান শিবির। এদিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডি আই জি শ্রী মুকেশ ( মুর্শিদাবাদ রেঞ্জ) , জেলা পুলিশ সুপার কে সবারি রাজকুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিস সরকার সি আই অমিত নন্দি, বিডিও বিরুপাক্ষ মিত্র, বেলডাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জামাল উদ্দিন মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, এম এল এ রবিউজ্জামান, বিভিন্ন আধিকারিকগন সহ নেতানেত্রী ও পুলিশ কর্মীগন এবং জনসাধারণের অনেকেই। বর্তমান বিশ্বে এই ভয়াবহ দিনে ভীষণভাবে রক্তের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে অর্থাত্‍ সামাজিক দূরত্ব, মুখে মাস্ক ও সেনিটেশন এবং যা যা নিয়ম-কানুন রয়েছে সমস্ত কিছুই নিয়ম মেনেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । সেই সঙ্গে রবিবার বেলডাঙ্গা থানায় একটি আলোচনাসভা কক্ষ এবং অতিথি ঘরের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন ডি আই জি শ্রী মুকেশ। শ্রী মুকেশ বলেন, রক্তের ঘাটতি মেটাতে আমরা অবিরত কাজ করে চলেছি। যাতে বিভিন্ন রোগী কোনভাবেই রক্তের অভাব না পড়ে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, একটি অতিথি ঘরের উদ্বোধন করা হলো কারণ অনেক সময় দূর দুরান্ত থেকে অনেক পুলিশ অফিসার বা পুলিশ কর্মী আসেন, যাদের থাকা নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, তাছাড়া তাদের পরিবারকেও অনেক সময় অতিথি ঘরের সমস্যায় পড়তে হয়। সেই জন্যই অতিথি ঘরের প্রয়োজন।

Related Articles

Back to top button