রাজ্য

বেলডাঙ্গা ব্লক প্রশাসনের উদ্দ্যোগে করোনা নিয়ে জনগণকে সচেতন।

বাশিরুল হক

সারা বিশ্বজুড়ে চলছে এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। যা মানুষের মনকে রাতদিন কুরে কুরে খাচ্ছে । পৃথিবীর প্রতিটি দেশে চলছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে রাতদিন সচেতনতা এবং মাইকিং প্রচার । ভাইরাসের দাপট আজ অত্যন্ত পরিমাণে বেড়েই চলেছে ৷ দেশের সাধারণ মানুষ থেকে জন প্রতিনিধিরাও আক্রান্ত এই করোনা ভাইরাসে ৷ এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয় আমেরিকায়। এই রোগের কোনো ওষুধ এখনো আবিস্কার হয়নি। সাবধানতাই হলো এখন এর প্রতিকার। সেই কারণে শুরু হয় লকডাউন। তার মধ্যে চলছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার একের পর এক সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ। সরকারের মূল উদ্দেশ্যেই হলো যে কোনো ভাবে মানুষকে করোনা হাত থেকে রক্ষা করা। সেই কারণেই মুর্শিদাবাদ জেলায় দিনরাত সচেতনতায় চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ জেলায় চার ব্যক্তির করোনা পজিটিভ থাকার ফলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে সচেতনতা জনগণের উদ্দেশ্যে।

এই রকম পরিস্থিতিতে মানুষ আজ অসহায়। , কারণ তাদের নেই কোনো উপার্জন এখন । তবুও সরকার রেশন দেওয়ার মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অসহায় পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা । সাধারণ মানুষও সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী লক ডাউন মেনে চলার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে এখন সচেতনতা এবং মাইকিং প্রচার। কিভাবে এই মারণ রোগের মোকাবিলা করা যায়! তার যুদ্ধ। থেমে নেই মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা ব্লক প্রশাসনও। লক ডাউন এর শুরু থেকে বিডিও বিরুপাক্ষ মিত্র এবং বেলডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জামাল উদ্দিন মন্ডল যে ভাবে বেলডাঙ্গার মানুষদের পাশে থেকে সচেতন করে তুলছেন, তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। চোখে না দেখলে বোঝাই যাবেনা এই দুই হিরোর হিরো গিরি। হিরো তারাই হয় যাদের সব ধরনের কাজ করার ধক্ষতা থাকে। বিডিও বিরুপাক্ষ মিত্র এবং বেলডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জামাল উদ্দিন মন্ডল ঠিক সেইভাবেই দক্ষতা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তবে সহযোগিতায় রয়েছেন আর একজন মানুষ। তিনি হলেন ডি এস পি জীবনেস রায়। এই তিন অফিসার, যারা রাতদিন কাজ করে বেলডাঙ্গার মানুষদের পাশে সব সময় থাকছেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে কখনো রেশন দোকানে হানা। আবার রুট মার্চ করে বাজারে অনবরত মাইকিং প্রচার। থানায় ইমাম মোয়াজ্জেম এবং পুরোহিতদের ডেকে তাদের বোঝানো যে মসজিদ, মন্দিরে ভিড় না করা। তিন অফিসার বেলডাঙ্গায় যুদ্ধ বিমানের মতো রাতদিন কাজ করেই চলেছেন। তবে যে কোনো অভিযোগ বিডিও এবং বেলডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, উনাদের নজরে এলেই তৎক্ষনাৎ সমাধান করার ব্যবস্থা করে দেন। প্রথম দিকে লক ডাউন এর সময় যে ভাবে জামাল উদ্দিন মন্ডল সাধারণ গরীব মানুষের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন, তা নজির বিহীন। মানুষের অজান্তেই তিনি খাবার তুলে দিয়েছিলেন বেলডাঙ্গার গরীব, ও অসহায় অনেক পরিবারের মুখে। এছাড়াও অনেক বিধবা মহিলাদেরও সাহায্য করেছিলেন। বেলডাঙ্গা ব্লক প্রশাসনের এই দুইজন মহামানবিক অফিসার দিনের বেলায়, রাতের অন্ধকারের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। ছবি বা ভিডিও তুলে কোনো সাহায্য নয়, চাই মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানুষকে বাঁচাতে, এটাই বেলডাঙ্গা বিডিও এবং বেলডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এর মূল লক্ষ্য। আর সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে চলেছেন বেলডাঙ্গার বুকে ডি এস পি জীবনেস রায়, বিডিও বিরুপাক্ষ মিত্র এবং ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জামাল উদ্দিন মন্ডল। সোমবার সকাল থেকেই বেলডাঙ্গার প্রতিটি কোনে কোনে এবং বাযার ঘাটে মাইকিং করে সচেতন করে তুললেন বেলডাঙ্গার মানুষদের। এবং কিকি করনীয় আর কি কি করা যাবেনা, এই সব বিধি নিষেধ গুলো জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন আজ বেলডাঙ্গায়।

১. সকাল ১০.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টা অবধি দোকান খোলা রাখা যাবে। সন্ধ্যা ৬.০০ টার পর কেবল মাত্র খুব প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা রাখা যাবে।

২. মাস্ক ব্যাবহার না করলে জরিমানা হতে পারে।

৩. রাস্তায় থুথু ফেললে জরিমানা হতে পারে।

৪. ক্রেতা মাস্ক পরে না এলে বিক্রেতা কোন দ্রব্য বিক্রি করবেন না।

৫. দোকানে এক সাথে ২ জনের বেশী ঢোকানো যাবে না। বাকীরা বাইরে অন্তত ৬-৭ ফুট ব্যবধানে দাঁড়াবেন।

৬. টোটো তে কোন ভাবেই ২ জনের বেশী নেওয়া যাবে না, এক পরিবারের হলেও।

৭. অযথা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করা যাবে না। যথাযথ কারণ দর্শাতে না পারলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে তাদের বিরুদ্ধে।

Related Articles

Back to top button