জেলা

রক্তদান করে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে “লাইফ ডোনারস ফ্যামিলি”

বিশ্ব জুড়ে করোনা আতঙ্কে লকডাউন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। অন্যান্য বহুবিধ সমস্যার পাশাপাশি বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের।এই মুহূর্তে হাসপাতালের রক্ত ভান্ডার শূন্য। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত অথবা প্রসূতি মা বা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনে সরাসরি রক্তদাতা সাথী পাঠিয়ে রক্ত দিয়ে সকলের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছেন “লাইফ ডোনারস ফ্যামিলি”। পাশাপাশি এই অসময়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আপৎকালীন ধারাবাহিক রক্তদান কর্মসূচি। আজ থ্যালাসেমিয়া শিশু দের জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রক্তদাতা নিয়ে গেলে এক মায়ের কান্নায় চোখ যায় সেদিকেই। জানতে পারা যায় সুস্মিতা নস্করের হিমোগ্লোবিন 5.1 এ নেমে গেছে। হাসপাতালে ঐ মুহুর্তে ও পজিটিভ রক্ত নেই। তাদের সাথে রক্তদাতাও নেই।সমূহ বিপদে একটা মা কান্না ছাড়া আর কি করতে পারেন।সাথে সাথেই ফোন করা হয় অমিতকে।
ক্যানিং যুব সমাজ এর সহযোদ্ধা লাইফ ডোনারস ফ্যামিলির সাথী” প্রতি ঘরে রক্ত ভান্ডার” এর প্রচারক অমিত চট্টোপাধ্যায়কে যোগাযোগের অল্পসময়ের মধ্যেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে নিজের ও পজিটিভ রক্ত দিয়ে ছোট্ট সুস্মিতার রক্তের প্রয়োজন মেটায়।রক্তের অভাবে আর একটিও মৃত্যু নয়” বাস্তবায়িত করতে অনড় সংগঠনের সমস্ত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সাথী। আজকের দিনে ক্যানিং “সন্ধি “র কর্ণধার পুষ্পেন্দু সরদার এর ভূমিকা ছিল অসাধারণ।ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য। এই মহান কাজ সত্যি এখন প্রয়োজন।

Related Articles

Back to top button