কেন্দীয় সরকারের মাত্রারিক্ত ২১ শতাংশ জিএসটি-র চাপে ধুঁকছে বিড়ি শিল্প
বিড়ি শিল্প কেন্দীয় সরকারের মাত্রারিক্ত ২১ শতাংশ জিএসটি-র চাপে ধুঁকছে।সারা ভারতে কয়েক কোটি বিড়ি শ্রমিকদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন। লকডাউনে শ্রমিকদের কর্মহীন অবস্থায় কাটাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে।পশ্চিমবঙ্গে বিড়ি শ্রমিকদের অবস্থা অারো খারাপ। রাজ্যের শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেন নিজেই বিড়ি শিল্পের অধীশ্বর। তিনি বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি অর্ধেক করে দিয়েছেন। শিল্পপতি জাকির হোসেন শ্রমমন্ত্রী হিসেবে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখার পরিবর্তে মালিকদের তল্পিবাহক হয়ে পড়েছেন।জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ ও ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কল্যাণ কেন্দ্রের কাজকর্ম বন্ধের মুখে। বিড়ি দপ্তরে ও চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার এবং অাধিকারিক ও কর্মীর অভাবে বিড়ি শ্রমিকদের ছেলে -মেয়েদের স্কলারশিপ, বাড়ী নির্মাণ অনুদান প্রদান, চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হতে বসেছে। কাঁথির বিড়ি দপ্তরে সিঅাই টি ইউ -র পক্ষ থেকে অাজ ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী রূপায়িত করতে গিয়ে দেখা যায় দপ্তরে কারোর দেখা নেই। নেতৃত্বে ছিলেন সিঅাইটিইউ নেতা হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী, মামুদ হোসেন, কানাই মুখার্জি, জয়দেব পণ্ডা, সলিল বরণ মান্না, সেক সাত্তার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সিঅাইটিইউ নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন কাঁথি বিড়ি দপ্তরে গত দু-তিন বছর ধরে কাঁথি অফিসে ডাঃ অনুতোষ পট্টনায়কের পরে অার কোন স্হায়ী চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট, দুজন নার্স,দুজন করনিক অাছেন।তাঁরা নিয়মরক্ষা করে চলেছেন। ভ্রাম্যমাণ অ্যামবুলেন্স তথা চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র ড্রাইভারের অভাবে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। করোনা ও অামফানে ক্ষতিগ্রস্ত বিড়ি শ্রমিকদের পরিষেবার কোন ব্যবস্হাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গ্রহণ করে নি।অথচ কোটি কোটি টাকা বিড়ি শিল্প থেকে জিএসটি ও সেশ অাদায় করছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিড়ি শ্রমিকদের নিয়ে নির্বিকার।সিঅাইটিইউ নেতা মামুদ হোসেন বিড়ি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৭৫০০ টাকা প্রদান করার দাবী জানিয়েছেন। বিড়ি শ্রমিকদের স্বার্থে তীব্র অান্দোলন সংগঠিত করার অাহ্বান জানান মামুদ হোসেন।