গ্রামের পাতায়

করোনার প্রভাবে ফুল চাষিদের মাথায় হাত।

পাঁশকুড়া: – করোনার প্রভাবে ফুল চাষিদের একপ্রকার মাথায় হাত। আর কোনো উপায় নেই অগত্যা চাষের ফুল গাছ থেকে তুলে ফেলে দিচ্ছেন চাষিরা।ব্যাপক ক্ষতির মুখে থেকেও একটু স্বস্তি পেলো পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বেশকিছু ফুলচাষিরা। যদিও আসল দাম নেই, তবু কিছু কিছু অর্ডার আসতেই মহামারীর ফলে লকডাউনের বাজারে চাষিরা ফুল তুলে গাঁদার মালা গেঁথে সাথে দোপাটি, আকন্দ, বেলফুল এবং অল্প গোলাপ পাইকারিদের হাতে তুলে দেয়। যে ফুল বিক্রি হোতো তিনশত থেকে চারশো টাকায় সেখানে মহামারীর মহা সংকটময় সময়ে কুড়ি পিস মালা পঁচিশ টাকায় পাইকারিরা কিনতে চাইলে তাতেই আশার আলো দেখছে চাষিরা। এমনিতেই করোনার প্রভাবে নেই বিক্রিবাটা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘীর শাঁকটিকরি, জানাবাড় সহ বিস্তির্ন এলাকায় বিঘার পর বিঘা ফুল নষ্ট হতে থাকে। আর তাতেই চাষির মাথায় হাত, ফুল চাষেই জীবিকানির্বাহ করেন এলাকার চাষিরা। বুকফাটা কান্না নিয়ে মেহনৎ করা চাষের ফুল গাছ থেকে তুলে ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাঁরই মাঝে অর্ডার আসতেই একটু স্বস্তি পেলো চাষিরা। করোনার প্রভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার ফুল বাগানেই নষ্ট। নিলামকেন্দ্র বন্ধ যাঁর ফলে চাষিদের হাজার হাজার ফুল নষ্ট। বেশিরভাগ চাষিরা বর্তমান পরিস্থিতির শিকার। তাঁর মাঝে অর্ডারের ফুল পাইকারিদের দ্বারা ব্যক্তিগত গাড়িতে রাঁচি, তারকেশ্বর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে ফুলের অর্ডার আসে। পাইকারিরা বলেন অর্ডারের ফুলের গাড়ি নিয়ে যেতে গিয়ে বহুবার পুলিশের নাকাচেকিংয়ের মধ্যেও পড়তে হয়। ভিনদেশে বা ভিনরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ফুল দুরপাল্লার ট্রেনে যেত, কিন্তু করোনার প্রভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সে কারনে খেটে খাওয়া চাষিদের বাঁচাতে কিছু কিছু ফুল বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button