করোনা মোকাবিলা অনেকটা এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যুঞ্জয় সরদার: করোনাভাইরাস বনাম মানুষের যুদ্ধে পরাজিত হতে চলেছে বাংলাতে করোনাভাইরাস, যত দিন যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনের অন্তরালে!সত্যি কি ১৪ এপ্রিল ভারত বর্ষ তথা বিশ্ব থেকে ভাইরাস মুক্ত হবে প্রশ্ন বিশ্বজুড়ে, কেনইবা প্রশ্ন মানুষের মুখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছে। ভারত বর্ষ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে,তবে গ্রামগঞ্জে মানুষের ধারণা ১৪ এপ্রিলের মধ্যে করোনা হাত থেকে মুক্তি পাবে গ্রাম-বাংলা। কেউ অসহায় হয়ে খিদের জ্বালায় লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে গ্রাম গঞ্জের একাধিক মানুষ!অনেকেই হতাশ বিরক্ত লকডাউন এর ফলে যেন তাদের অন্নসংস্থানের পরিস্থিতি নেই, তবে লকডাউন এর ফলে ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে আজও করোনা হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে এমনই মত বহু বিশেষজ্ঞদের। তবে বিশ্ব জুড়ে কর্নার পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে লকডাউন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বের একাধিক দেশ। অন্যদিকে
দেশে ভাইরাস উৎপত্তি হয়েছিল সেই চীন করোনা ভাইরাসের হাত থেকে প্রায় মুক্তি পেতে চলেছে।
চিনের হুবেই প্রদেশে ২৩ জানুয়ারি শুরু হয় লকডাউন। যা উঠবে আগামী ৮ এপ্রিল। অর্থাৎ মহামারী মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউন যে কার্যকর হবে না, সে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (BCG) রিপোর্ট। এছাড়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নতশীল দেশগুলিতে আগস্ট মাস পর্যন্ত লকডাউন চলতে পারে বলে জানাচ্ছে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (BCG) রিপোর্ট। তবেই গত ২৪ ঘণ্টাতেই শুধু মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজার মার্কিন নাগরিকের। গোটা বিশ্বে ১১ লক্ষেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত। মারা গিয়েছেন ৬২ হাজারের উপর। সব চেয়ে বেশি মৃত্যু ইটালিতে। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি। দ্বিতীয় স্থানে ইউরোপের আর এক দেশ স্পেন। ১১,৭৪৪ জন মারা গিয়েছেন সেখানে। কিন্তু আমেরিকায় যে গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে তারা সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে বলে ভয় পাচ্ছে প্রশাসন। এই মুহূর্তে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার সংক্রমিত আমেরিকায়। সংক্রমণ কমারও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের সরকার গত কাল থেকে ঘোষণা করছে, অবশ্যই মাস্ক পরুন। না থাকলে মুখে স্কার্ফ জড়ান। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ’-এর প্রধান অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘‘সম্প্রতি যা তথ্য এসেছে আমাদের হাতে, তাতে শোনা যাচ্ছে, হাঁচি-কাশিও নয়, কথা বললেই ভাইরাস ছড়াতে পারে।’’ তবে বাতাসে ছড়ানোর যুক্তি নিয়ে এখনও সন্দিহান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যত দিন যাচ্ছে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ততই বাড়ছে মানুষের মনে।কেউ কেউ ভাবছে হয়তো করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাব, তবে এতদিন জীবন জীবিকা নির্ভর করব কিসের উপরে এমনই পরিস্থিতি রাজ্য তথা বিশ্বের গরীব মানুষের, অনাহারে মরতে হবে হয়তো বহু মানুষের। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের অনাহারে মরতে দেবে না তেমনি ভাবেই পরিকল্পনা করছে রাজ্য জুড়ে, ইতিমধ্যে গরিব মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে তার সুব্যবস্থা করছে প্রত্যন্ত গ্রামেও। রাজ্যের সমস্ত জেলায় দেওয়া শুরু হয়েছে গরিব মানুষের জন্য, তবে সবটুকু সম্বল আদুবি কি গরিব মানুষের হাতে উঠবে এ নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে অসহায় আদিবাসী অনাদিবাসী মানুষগুলো।তবে তাদের মধ্যে অনেকে বলে ফেলে ১৪ এপ্রিলের পর থেকেই আমরা আবার স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-যাপন করতে পারব। এ প্রশ্ন হয়তো বিশবাঁও জলে তলিয়ে যাবে, সত্যই কি ঘটতে চলেছে এখনো অজানা সারা বিশ্বজুড়ে।এই জানা-অজানা পৃথিবীর মাঝে নানান মুনির নানান মত অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ জনগণের। তবে করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ে জয়ী হবে সেই উদ্যোগ মানুষের মনে আবির্ভূত হয়েছে। গ্রামগঞ্জে প্রত্যন্ত এলাকায় মোকাবিলা নিয়ে অনেকেই সচেতনতা অবলম্বন করছে, অন্যদিকে এই পেটের দায়ে বউ মানুষ লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়ছে। তবে অনেকের প্রশ্ন সত্যিই কি ১৪ এপ্রিলের পর রেহাই মিলবে?এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে বেরিয়ে পড়লো চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা রাজ্য তথা দেশের মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।একদিকে মানুষ করোনা ভাইরাসের যুদ্ধেই জয়ী আশায় বুক বেঁধে বসে রয়েছে, অন্যদিকে মার্কিন সংস্থা বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (BCG) রিপোর্ট অবশ্য অন্য কথা বলছে। যা নিঃসন্দেহে চিন্তা ও আশঙ্কা দ্বিগুণ করে দিচ্ছে ভারতীয়দের।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার পর গত ২৪ মার্চ এদেশে শুরু হয় লকডাউন। শুক্রবার তার ১৩ দিন। আর এর মধ্যেই BCG-র সমীক্ষা রিপোর্টে নতুন করে কপালে ভাঁজ পড়ল দেশবাসীর। কারণ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ভারতে লকডাউন চলতে পারে। কীসের ভিত্তিতে এ কথা বলা হচ্ছে? লকডাউনে চিনের পরিস্থিতি এবং ভারতের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। BCG-র দাবি, ভারতের জনসংখ্যা এবং অনুন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যই এত তাড়াতাড়ি লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব হবে না। তা অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়াবে। শুধু তাই নয়, তাদের সমীক্ষা বলছে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে করোনাভাইরাস এর আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তবে যদি এরপর প্রশাসন লকডাউন তোলার কথা চিন্তা করে, সেক্ষেত্রে গৃহবন্দি দশা কাটতে পারে জুনের শেষ সপ্তাহে। স্বাভাবিকভাবেই এমন রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তবে আর যাই হোক না কেন করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগণ। সারাবিশ্বের পরিসংখ্যানের এখনো কিছুটা স্বস্তির মুখে ভারত বর্ষ,তবে বাংলার মানুষ এতটাই সচেতন যা করনা মোকাবিলায় রুখে দিতে পারে। এখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষে অন্যান্য রাজ্য থেকেই পশ্চিমবঙ্গ করো না মোকাবিলায় যুদ্ধে অনেকটাই এগিয়ে।সাধারণমানুষ আরো কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরে লকডাউন এ যদি শামিল হয় পশ্চিমবাংলায় করোনাভাইরাস কে রুখে দিতে পারবে বাংলার মানুষ। আগামী দিনগুলো অপেক্ষায় অনেকেই, তবে টানা লকডাউন-সহ অন্যান্য সতর্কতা সত্বেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনও ভাবেই রোখা যাচ্ছে না। গত ৪৮ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ। এমনটাই তথ্য দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হফকিন্স ইউনিভার্সিটি।করোনা সংক্রমণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৬২,৭৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। মোট আক্রান্ত ১১,৫৩,১৪৩। শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬০,৩৭৯ জনের। সেরে উঠেছেন ২,৪০,১৯০ জন। অন্যদিকে বেহাল ইতালি। সেখানে ১৪,৬৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। আক্রান্ত ১,১৯,৮২৭। রোগীদের বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তাররা। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মারা গিয়েছেন এদেশে ৭০ জন। এর মধ্যে ভারেস শহরের একটি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে রোবট। তারাই এখন চিকিৎসকদের পরম বন্ধু। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালে ঘুরছে ৬টা রোবট। রোগীদের পরিচর্যা করছে। তাদের জ্বর মাপছে, নাড়ি দেখছে। একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। রোগীরাও খুশি। তবেই পেছনেই স্পেন। একদিনে স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৮০৯ জনের। শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু ১১,৭৪৪ জনের। আক্রান্ত ১,২৪,৭৩৬, ইতালির চেয়েও বেশি। হাসপাতালে রোগীদের জায়গা হচ্ছে না। অবস্থা সামাল দিতে মাদ্রিদের কনফারেন্স সেন্টারই ফিল্ড হাসপাতাল। মাদ্রিদ বিমানবন্দর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে রয়েছে এই হাসপাতাল। রয়েছেন ১,০০০–এর বেশি রোগী। ওদিকে ফ্রান্সেও করোনা রোগীদের ভিড় বেড়ে চলেছে হাসপাতলে। মৃত্যু হয়েছে ৬,৫০৭ জনের। আক্রান্ত ৮২,১৬৫। লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করার বিষয়ে আলোচনা করছে ফ্রান্স সরকার। বেহাল দশা ব্রিটেনের। লন্ডনের এক্সসেলে শুক্রবার চালু হয়েছে ৪,০০০ শয্যার একটি হাসপাতাল। ৯ দিনে তৈরি হয়েছে হাসপাতালটি। করোনায় ব্রিটেনে মৃত ৪,৩১৩। আক্রান্ত ৪১,৯০৩। বেগতিক বুঝে করোনা মোকাবিলার পদ্ধতি সম্পর্কে বিরোধীদের মতামত জানতে চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী সপ্তাহে। প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা, চিফ মেডিক্যাল অফিসাররাও থাকবেন। বরিস জনসন নিজেও করোনায় আক্রান্ত। এখন আইসোলেশনে। মানুষকে আরও কিছুদিন ঘরবন্দি থাকতে বলেছেন জনসন।প্রতিটা মুহূর্তে কেমন যেন মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যাচ্ছে, এ কেমন মহামারী যারা হাত থেকে আজও রেহাই পাচ্ছেনা বিশ্বের মানুষ। তবে সত্যিই কি ভগবান অসন্তুষ্ট হয়ে বিশ্বকে ধ্বংস করে দিতে চলেছেন, তাহার মহিমা বোঝা বড় দায়। তেমনই ভরসায় হয়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। একটি করে ঘন্টা পেরোলেই মানুষের মনের মধ্যে সংশয় কাজ করছে, কি হতে চলেছে এ বিশ্বে।চিন, ইতালির পর এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৭,৯৬৫। অন্যদিকে, স্পেনে এই সংখ্যা ১,১৯,৮২৭ জন। ইতালিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪,৬৮১ জনের। স্পেনের পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে সেথানে হাসপাতালগুলিতে রোগীদের জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু বয়স্ক মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমদিকে রোগটিকে পাত্তা নিয়ে এখনও সমস্যায় পড়েছে । সেখানে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭,১৬০।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা বেশ শোচনীয়। জন হফকিন্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সেখানে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪০০ জনের। শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬২ জনের। প্রতি আড়াই মিনিটে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অন্যদিকে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৭৪। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭২ জন। মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৬৭ জন।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৫। অন্য দিকে, দিল্লিতেও প্রতি দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৫।
আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং দিল্লির পর রয়েছে কেরল(৩০৬), তার পর তেলঙ্গানা(২৬৯), উত্তরপ্রদেশ(২২৭), রাজস্থান(২০০), এবং অন্ধ্রপ্রদেশ(১৬১)। মৃত্যুর নিরিখেও শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সবচেয়ে বেশি ৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে কেরল থেকে। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯। মৃতের সংখ্যা ৩। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯।তবে অন্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে এখনো স্বাচ্ছন্দে রয়েছে, বাংলার মানুষ আরো সজাগ হলেই এই সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে বলে ধারণা। তবেই গত ২৪ ঘণ্টার আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন তাঁদের মধ্যে কালিম্পঙের একই পরিবারের ৬ জন সদস্য রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে।১০৪০ জনের পরীক্ষা হয়েছে।
শুক্রবার ১৩ হাজার পিপিই হয়েছে।আইডি হাসপাতাল থেকে ছুটি হচ্ছে ৪ জনেরমাত্র ২ জনের চিকিত্সার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। তাঁদের অন্য সমস্যা ছিল। বাকি সবাই সুস্থ রয়েছেন।আরও পাঁচ জন সুস্থ হয়েছেন, রাজ্যে ৫১৬ টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার রয়েছে
কোভিড হাসপাতাল ৫৯টি তৈরি রয়েছে
২৬২৬ সরকারি কোয়ারেন্টাইডনড রয়েছে
মুখ্যসচিবের কথায় বায়োলজি নিজের নিয়মে চলে। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবই। সাধারণ মানুষকে লকডাউন মেনে চলার আবেদন করেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের আদিবাসী আদিবাসী সব মানুষের কথা মাথায় রেখেই, অর্থনৈতিকবিদ অন্য পথ অবলম্বন করার কথা বলছেন।পশ্চিমবঙ্গ পুরোপুরি করো না মুক্ত করতে গেলে যে পথ অবলম্বন করতে হবে তা উল্লেখ করেছেন অর্থনীতিবীদ ড. অমর্ত্য সেন।নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন। কথা মতন একই পথে ভাবছেন তঁার উত্তরসূরি ড. অভিজিৎ ব্যানার্জি। তিনিও মনে করছেন, লোকে যদি ভাতের খেঁাজে রাস্তায় বেরোতে বাধ্য হয়, তা হলে লক ডাউনের সুফল পাওয়া যাবে না। অভিজিতের সঙ্গে সহমত এস্থার ডুফলো। যে লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা করা করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্যেই জরুরি। অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর জোরাল বক্তব্য, যঁারা বলছেন, আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা জিতে নিই, জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে পরে ভাবা যাবে, তঁারা ঠিক বলছেন না। বললেন দেশের এবং বিশ্বের চার ক্ষুরধার অর্থনৈতিক মস্তিষ্ক। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের আলোচনায়।‘যদি গোটা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত সফল করতেই হয়, তা হলে গরিব মানুষের হাতে টাকা তুলে দিতেই হবে। তা নাহলে মানুষ শুধু খাবারের খেঁাজেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে! শুধু রেশন বা বিনামূল্যে খাবার দিলেই হবে না। তাঁদের আরও কিছু চাহিদা থাকে। সেগুলোও যাতে তাঁরা পূরণ করতে পারেন, তার পরিসর তৈরি করে দিতে হবে। তাঁদের হাতে এমন কিছু তুলে দিতে হবে যাতে তাঁরা এই লকডাউনের সময়ে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে।’ চলতি পরিস্থিতিতে পরামর্শ নোবলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জির।
একই বক্তব্য সহ নোবেল বিজয়িনী এবং অভিজিতের গবেষণাসঙ্গী এস্থার ডুফলোর। তিনিও বললেন, ‘তিন সপ্তাহ পরও যদি মানুষের হাতে টাকা না থাকে, খাবার না থাকে, মানুষকে ঘরে আটকে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে। তার ফলে যেটা হবে, করোনার মোকাবিলা করতে যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাই ব্যর্থ হবে। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষ যদি ঘর থেকে বেরতে শুরু করে, তাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। লকডাউন অবশ্যই জরুরি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তখনই সফল হবে, যখন তা মানুষের প্রাণরক্ষা করতে পারবে। করোনা পরবর্তী সময়ে যদি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে হয়, সেক্ষেত্রে এখন থেকে তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’