রাজ্য

করোনা লক ডাউন হয়ে স্বপন দত্ত বাউলের দুমুঠো ভাত খাবার জন্য আয় উপায় সব কেড়ে নিলো

করোনা লক ডাউনে স্বপন দত্ত বাউলের পাশে কলকাতা টিভি ও বর্ধমানের বিশিষ্ট সমাজসেবী শান্তনু পাঞ্জা । এবং আরো কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধু ও দুটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ও বর্ধমানের কাঞ্চন কাজী দা এনারা সকলেই দু একদিন করে খাদ্য দ্রব্য দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলো ভগবানের মত। এ নাদের সকলকেই স্বপন দত্ত বাউলের প্রনাম ।। কিন্তূ এত দীর্ঘ লক ডাউনে মানুষ কে কদিনই বা রোজ খাদ্য দ্রব্য দেবে বলুন তো। চাইতেও বড় লজ্জা লাগে ভিক্ষা করি নিজের জন্য নয় ভবঘুরে অনাথ ভিক্ষক ও খুদার্ত মানুষদের জন্য সেখান থেকেই তাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছি লক ডাউনে । লক ডাউন থেকেই আজ পর্যন্ত আমি স্বপন দত্ত বাউল একেবারে বেকার ।কোনো কাজ এখুন ও পর্যন্ত জোগাড় করতে পারি নি ।সমাজ সচেতনের বাউলগান গেয়ে কোনো পয়সা তো নিনা। শুধুমাত্র ছবি আঁকা তবলা ও গান , আবৃত্তি , হস্তশিল্প ছেলে মেয়েদের শিখিয়ে যে যা অর্থ দেয় আমার কোনো রকমে জীবন চলে ।তার মধ্যেও অসহায় অনাথ প্রতিবন্ধী ও সত্যিকারের দুস্থ ছেলেমেয়েদের বিনাপারিশ্রমিকে শেখাই সবাই জানে। কিন্তূ সেই প্রথম লক ডাউন থেকে এখুন ও পর্যন্ত কেউ শিখতে আসে ও না বা বাড়িতে শেখাতে যেতে বলেও না করোনার ভয়ে ।অনেকের কাছেই কিছু মাইনে পেতাম তারা আর সেটাও দিলো না । তাই কোনো ইনকাম নেই ইনকামের জন্য কখনো আলাদা কিছুই করি নাই ।চাকরিনাই বাবানাই জমিজায়গা নাই ব্যাবসা নাই ব্যাংক ব্যালান্স নাই । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাসে 1000 টাকা লোক শিল্পীর ভাতা পাচ্ছি আর মাসে শুধুমাত্র 5 কেজি চাল , ডাল তো দেয় না আর কিছুই কখনো পাই নাই । আমি অতি কষ্টে বর্ধমানে অনেকদিন বছর ধরেই গোলাহাটে মাটিরবাড়ি তে টালির চালে থাকি বাঁদর হুনুমানে বাড়ির চাল সবসময় ভেঙে দেয় খুব কষ্ট আমার। ঘরে জলের কল চুরি হয়ে গেছে নতুন করে জলের কল করতে পারি নি । প্রধানমন্ত্রী র ও মুখ্যমন্ত্রী র আশির্বাদ ধন্য শিল্পী হওয়া সত্বেও sdo ও পৌরসভা অফিসে বারবার বলা সত্বেও কেউ আমার পাকাবাড়ি করে দিলো তো নাই ঘরে পৌরসভা কে লিখিত ও বার বার বলা সত্বেও আমার ঘরে পৌরসভার একট জলের কল আজও দিলো না ছাত্রছাত্রী রা ছবি আঁকা ,গান ,তবলা শিখতে এসে জল খেতে পায় না ।। রাজনীতি পছন্দ করি না তাই মিটিং মিছিলে হাঁটি না কিন্তূ সবসময় নিঃস্বার্থ বিনাপারিশ্রমিকে সরকারের নানা প্রকল্প নিয়ে মানুষকে সচেতন করি । মিটিং মিছিলে যাই না বলে সরকারের পাশে দাঁড়ানো সত্বেও এই স্বপন বাউলের নাকি কোনো দামনেই । যারা মিটিং মিছিলে ঘোরে হম্বি তম্বি করে দাদা গিরি দেখায় তাদের সব হয়ে যাচ্ছে । কিন্তূ মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানীত স্বপন বাউলের এত কষ্ট দেখে সাধারণ মানুষ ও কষ্ট পান কিন্তূ তাদের কিছুই করার নেই। এমত অবস্থায় সবসময় ভাত জোগাড় করা তো দূরের কথা কোনো টিফিন খাওয়া তো দূরের কথা এককাপ চা কিনে খাব সে পয়সাও নেই ।সম্প্রতি কানের ভিতরে ময়লা জমা নিয়ে সমস্যা হয়েছে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে চশমা করাতে হবে ডাক্তার দেখাতে হবে ।মোবাইল পড়ে গিয়ে ভেঙে সব নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তূ হাতে পয়সা নেই , কি করব ।। আগে যেমন মানুষ বাড়িতে গেলে খেতে দিতো এখুন কেউ বাড়িতে ডাকেই না খেতে দেওয়া তো দূরের কথা করোনার ভয়ে ।কারণ বর্ধমানে আমার গোলাহাট পাড়াতেই আমার বাড়ি থেকে 5 মিনিট হেঁটে গেলে একজনের করোনা হয়েছে। তাই খুব কষ্টে আছি জানিনা আবার আগের মত ঘুড়ে দাঁড়াতে পারব কি না বেঁচে থাকব কিনা ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button