জাতীয়

করোনা ভাইরাসের থেকেও আরো মারাত্মক ভাইরাস আসছে দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে


শুভাশিস ঘোষ–বাংলা নাকি করোনা ভাইরাসের বারূদের স্তুপের উপর বসে আছে।শুনে চমকে যাওয়ারই মত খবর বটে।এখানে নাকি করোনা ভাইরাসের প্রচুর তথ‍্য গোপন করা হচ্ছে।ফলে অগনিত লাশ বেওয়ারীশ দেখিয়ে তাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।এরই সাথে গোটা বাংলা জুরে লক ডাউন পরিস্হিতি যে অত‍্যন্ত খারাপ এবং তার জন‍্য একমাত্র দায়ী এরাজ‍্যের মুসলমানরা সেটা বোঝাতেও কসুর করছেন না রাজ‍্যের রাজ‍্যপাল থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।বিশেষ করে করোনা উদ্ভুত পরিস্হিতিতে যেভাবে রাজ‍্যের বর্তমান মুখ‍্যমন্ত্রী নিজের নিরাপত্তাকে শিঁকে তুলে রেখে একদম প্রথম থেকেই করোনার বিরুদ্ধে একাই রুখে দাঁড়িয়ে এক প্রকার বুঁধির কেল্লা বাংলাকে রোক্ষা করার যুদ্ধ শুরু করেছেন তাতে যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমেই আরো বেশি করে মানুষের কাছে অপ্রসঙ্গিক হয়ে পড়ছে সেটা বুঝেই এখন শুরু হয়েছে এক লাগাতাড় কুৎসা অপপ্রচার,তৈরি করা হচ্ছে মনগড়া ফেক নিউজ,গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত।যেহেতু করোনা ভাইরাসের কারণে দেশ এখন সম্পুর্ণ গৃহবন্দী যেখানে বেশির ভাগ মানুষ গোটা বিশ্ব তথা দেশ এমনকি নিজের আত্মীয় পরিজন বন্ধুবান্ধব সবার থেকেই সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন তাই এই সময়টাকেই কেন্দ্রের বিজেপি দল এবং তার দালাল মিডিয়া তাদের আইটি সেলের মাধ‍্যমে মিথ‍্যা প্রচারকে হাতিয়ার করে নিয়েছে।বলা হচ্ছে বেশিরভাগ মুসলিম এলাকায় নাকি লক ডাউন মানা হচ্ছে না।যারই তদন্তে এসেছেন কেন্দ্রীয় দল।সম্পুর্ণ যুক্তরাষ্ট্রীয় সৃষ্টাচার বিরোধী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের এরকম অনুভিপ্রত সফরে যে রাজ‍্যের সরকার অখুশী হবেন সেটা বলাই বাহুল‍্য।যদিও এধরনের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষণ এরাজ‍্যে এই প্রথম নয়।এরকম পর্যবেক্ষক দল এর আগে বামেদের সময়ও কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়ে ছিল।আমার ভাল মনে আছে ১৯৯৯থেকে ২০০০ তখন রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রায়দিনই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর,গড়বেতাসহ বিস্তৃণ অঞ্চল।রোজই প্রায় সে সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে মানুষের মৃত‍্যুর খবর আসছিল।ফলে পরিস্হিতি এতটাই খারাপ হয়ে উঠলো যে বহু বিরোধী দলের কর্মীকে হয় মরতে হয়েছিল না হয় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল।আর এইসবেই একমাত্র অভিযোগের আঙুল ছিল ক্ষমতাসীন সিপিএমের দলের হার্মাদদের বিরুদ্ধে।বলতে গেলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সেই বীভৎসরূপ এখনো আমাদের মনে কাঁটা দেয়।সেই সময়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাঠানো একটি সংসদিয় দল পশ্চিম মেদিনীপুরে সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে কি নাকাল হয়েছিল সম্ভবত তার কোনো ধারণাই আজকে যারা বিজেপি করছেন তাদের নেই।ওই প্রতিনিধি দল পশ্চিম মেদিনীপুরের উপদ্রুত অঞ্চলে পরিদর্শনে গেলে তাদের সবকটা গাড়িতেই ব‍্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় শুধু তাই নয় সবচেয়ে উপদ্রুত অঞ্চল চমকাইতলাতে এই দলটিকে গ্রামের পুরুষ মহিলারা সম্পুর্ণ উলঙ্গ হয়ে “পোঁদ”দেখাতেও ছাড়েনি।লজ্জায় সেদিন পালিয়ে যাওয়া ছাড়া কেন্দ্রের ওই প্রতিনিধি দলের আর কোনো পথ ছিল না।বাংলায় সেদিন এমনই একটা রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিল যারা দিল্লিকে এরাজ‍্যে এভাবেই বরাবর স্বাগত জানিয়ে এসেছে।এখানেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় তথ‍্য সম্প্রচার মন্ত্রী ত‍পন সিকদার উত্তর ২৪ পরগণায় পরিদর্শনে গিয়ে সিপিএমের মজিদ মাষ্টারের হার্মাদের হাতে কিভাবে কেলানি খেয়েছিল (এখানে মারধর কথাটা না বলে কেলানি শব্দটা বললাম কারণ এখনকার বিজেপিরা সেই দিনগুলো জানেন না বলেই)যার দরুণ তার মাথায় নটা সেলাই পড়ে।একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সত্বেও।আজকে রাজভবন থেকে যে মানুষটি বিরোধী সাংসদদের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন বা যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এরাজ‍্যে বিনা নোটিশে করোনা ভাইরাস বিপর্যয় খুঁজতে চালুনি হয়ে চুঁচের ছিদ্র খুঁজতে এসেছেন তাদের সৌভাগ‍্য যে এই রাজ‍্যে এখন এক মানবিক মুখ ক্ষমতায় বসে আছেন।না হলে যে রাজনৈতিক দল একদিন বন্দেমাতারাম নাম শুনলে বান্দার মুখে জ‍্যান্ত কই ঢুকিয়ে দিত সেই দলটিরএখন মুখে কেন মাস্ক দিচ্ছে না তার খোঁজ নিচ্ছেন স্বয়ং মুখ‍্যমন্ত্রী।আর এই অত‍্যধিক সৌজন‍্য যে বিরোধীদের ক্ষেত্রে খানিকটা বাঁদরকে লাই দিয়ে মাথায় তোলার সামিল হয়ে উঠছে সেটা মাননীয়া কবে বুঝবেন তা তার ইশ্বরই জানেন।আমি বলছি না কেন্দ্রীয় এই দলটিকে অতীতের সিপিএম প্রদর্শিত মিশন”গরবেতা,কেশপুর চমকাইতলা”করা হোক।বাংলার কোনো অঞ্চলের মা বোনেরা ভাইরা তাদের পড়নের জামাকাপড় খুলে স্বাগত জানাক এটা মোটেই কাম‍্য নয় যা সৃষ্টাচার বিরোধী কিন্তু একটু ধমকে তো দেওয়া যেতেই পারে।বিশেষ করে এদের কারো কারো এ্যাজেন্ডা হল এরাজ‍্যে এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময় সাম্প্রদায়িক ভাইরাস সৃষ্টি করা।যেখানে আমার রাজ‍্যে সব সম্প্রদায়ের সম্প্রতী চোখের মণির মত রক্ষা করাটাই হল একমাত্র লক্ষ‍্য হওয়া উচিত।

Related Articles

Back to top button