রাজ্য

বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বটকৃষ্ণ ভূঁইয়া

গত ২১শে জুলাই’২০ সকালে খেজুরী ১ ব্লকের সি,পি,আই,( এম) হেঁড়িয়া এরিয়া কমিটির লাখী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরনগর শাখার প্রবীন পার্টি সদস্য,বিক্রমনগর গ্রামের কমরেড বটকৃষ্ণ ভূঁইয়া কে ঠাকুরনগরে পাকা রাস্তায় উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা W.B 32G 9789 নম্বরের মারুতি ভ্যান গাড়িটি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেল ওরা ফিরিয়ে দেয়।সেখান থেকে পি,জি,তে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে ভর্ত্তি নেয় নি।এ হাসপাতাল, ও হাসপাতাল করতে করতে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় রাএি ১ টা ৩০ মিনিটে মারা যান। তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।মৃত্যুকালে বয়স হয়ে ছিল ৭৫ বছর।বাড়িতে একশত বছর বয়স্কা মা,স্ত্রী,এক পুএ,তিন কন্যা বর্ত্তমান।জেলে সম্প্রদায়ের খুব গরীব পরিবারে জন্ম।খেজুরী ১ ব্লক মৎস্যজীবী কমিটির সভাপতি ছিলেন। পাট্ট,বর্গা জমি ও মজুরীর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এলাকার নেতৃত্ব হিসাবে গড়ে উঠেছিলেন।বহু আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে মানুষের কাছে খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। খেজুরী অধিবাসী তথা সি,পি,আই,(, এম) রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস জানান, বটবাবু ১৯৯৬ সালে পার্টি সদস্য পান।২০০৯ সালে খেজুরীতে তৃনমূলীদের সন্ত্রাসের কবলে পড়েন।নিজে কনো রকমে বাঁচলে ও নিজের দাদা,কমরেড মদন ভূঁইয়াকে বাড়ি থেকে তুলে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলে তৃনমূলী জল্লাদেরা।তা সত্বেও তিনি গোপনে পার্টির কাজ করে গেছেন। তৃনমূলী সন্ত্রাস ও দাদার খুনের বদলা নেওয়ার জন্য পারিবার ও পাড়ার লোক জন বর্ত্তমান সাম্প্রদায়িক দলের সাথে যোগা যোগ রাখলে ও তিনি তাঁর মতাদর্শে অটল থেকে বিরোধিতা করে গেছেন।এমন কি শরীর ওস্বাস্থ্য ভেঙ্গে গেলেও তিনি লালঝান্ডার পতাকা তলে থেকেছেন। তিনি বরাবরই বলে এসেছেন লালঝান্ডার কোন বিকল্প নেই।পারলে লালঝান্ডাই মানুষের একমাএ বাঁচার পথ দেখাতে পারে।আমার দাদার হত্যাকারীদের বিচার আদালতই করবেন।সে দিনের জন্য আমরা সবই অপেক্ষা করবো।কিন্তুু তা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।এলাকার মানুষ মনে করে,যারা তাঁকে ফুল,ফুল মালা দিয়ে লাল সেলাম জানাচ্ছেন এরাই আগামী দিনে তাঁর স্বপ্ন পূরন করবেন বলে শপথ নিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন হিমাংশু দাস,পরিতোষ পট্টনায়েক,যাদবেন্দ্র সাহু,সহ জেলা কমিটির নেতৃত্বগন।এবং তাঁর বাড়িতে গিয়ে ফুল,ফুলমালা,লালপতাকা,দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গোকুল ঘড়াই,সুমিত বারিক,আসিত মন্ডল,সুজিত মন্ডল বাপি মন্ডল প্রমুখ হেঁড়িয়া এরিয়া কমিটির নেতৃত্বগন।বহু মানুষ তাঁকে চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানান।এদিকে ঐ গাড়িটিকে হেঁড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ আটক করেছে।গাড়িটির মালিক কলাগেছিয়ার প্রীতম মাইতি। পোস্টমাটাম করে নিজের গ্রাম বিক্রামনগরে শেষকৃত্ত হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button