পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ভারতীয় জনতা পার্টির স্বামী বিবেকানন্দ স্মরণ।
সমগ্ৰ বিশ্বে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের যে সমস্ত বক্তৃতা গুলো আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছে, স্বামী বিবেকানন্দের চিকাগো বক্তৃতা(১৮৯৩) তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বললে অত্যুক্তি হবেনা। ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এই বক্তৃতা নিঃসন্দেহে অসীম প্রেরণার অগ্নিশিখা, বৈপ্লবিক তেজ-বাণী এবং সনাতন হিন্দু ধর্মের জাগরণী মন্ত্র।
মাত্র ৩২ বছর বয়সে, আজ থেকে ১২৭ বছর পূর্বে স্বামীজি জাগরণের যে সূচনা করেছিলেন, তার প্রাসঙ্গিকতা শেষ তো হয়ে যায়নি, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক কালে হিন্দু ও হিন্দুত্বের উপর আক্রমণ দীর্ঘ-বীভৎস-নৃশংস হচ্ছে। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। তাই নতুন করে জাগরণের সময় এসেছে।চিকাগো বক্তৃতার অতি বাস্তব প্রাসঙ্গিকতার মধ্য দিয়ে হিন্দুত্বের পুনর্জাগরণের উদ্দেশ্যে আজকের এই ছোট্ট কর্মসূচীকে “বিশ্ব বিজয় দিবস” আখ্যা দিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে স্বামীজির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হলো।বিশ্ব বিজয় দিবস’ উদযাপন ও স্মরণ উপলক্ষে আজকে কাঁথি শহরের মধ্যস্থলে স্বামীজির মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, রাজ্য নেতৃত্ব সোমনাথ রায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র, সহসভাপতি রমাকান্ত প্রধান, অমলেন্দু পাহাড়ি, কমলেন্দু পাহাড়ি, প্রভাকর চৌধুরী, বিমান জানা, বিদেশ বসু মাইতি, জয়েশ ভৌমিক, রবীন্দ্রনাথ পন্ডা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা সম্পাদক নবীন প্রধান। বিজেপির অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্য জুড়ে অপরিকল্পিত ভাবে লকডাউন ঘোষনা করছেন। আমরা মনে করি, উনি পরিকল্পিত ভাবেই এটা করছেন। আমরা দেখেছি, রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন(৫ই আগস্ট), আজকের (১১ই সেপ্টেম্বর) দিনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে যে হিন্দুত্ববাদী আবেগের বিস্ফোরণ প্রতি নিয়ত ঘটে চলেছে, তার রাশ টেনে ধরতে সমাজবিরোধী ও হিন্দুত্ব বিরোধী সম্প্রদায়কে খুশি করার এক অপপ্রয়াস। শুধুমাত্র নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি রেখে, বিজেপির অগ্ৰগতিকে রুখে দেবার ঘৃণ্য ও ব্যার্থ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার।