জাতীয়

নিউজ সারাদিনের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার এর আত্মকাহিনী ।

মৃত্যুঞ্জয় সরদার ছোট থেকে বড় হয়েছিলাম এক রাজনৈতিক পরিবারের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এর বাড়ি থেকে। মৃত্যুঞ্জয় জ্যাঠা দুখিরাম সরদার কমিউনিস্টের নেতা ছিলেন। কংগ্রেস সরকার কে লড়াই করে হারিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গে ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ের পিতা লালু সরদার।এনাদের অনেক সাঙ্গোপাঙ্গ ছিল, ছোটবেলায় মৃত্যুঞ্জয় দেখেছেন তার বাড়িতে বিশিষ্ট বিশিষ্ট নেতাদের আনাগোনা ছিল ,পশ্চিমবাংলায় যারা দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে। মৃত্যুঞ্জয় সরদারের সপরিবারে বাংলার ভূমিপুত্র। ১৯৮৬ সালে ২ অক্টোবর মৃত্যুঞ্জয় সরদারের জন্ম হয় ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের হেদিয়া গ্রামে। মৃত্যুঞ্জয় সরদার ছোটবেলা থেকে দেখতে শুরু করেছে, তার পরিবারকে শেষ করে দিচ্ছে সিপিএমের লোকজনরা। যে দলের জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা জ্যাঠা এত কিছু করল ,সেই দলের লোকেরা মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের উপর অত্যাচার করল। মৃত্যুঞ্জয়ের সরদার এর জীবনের অভিজ্ঞতা জেনে নিন। তিনি নিজে যা বললেন, আমার বাবা , জ্যাঠা, আর মায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিল পার্টির লোকজন । তখন আমি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। বাবা ও জেলে জ্যাঠামশাই ও জেলে, আমাদের পাশে কেউ নেই, আমি বাড়ির বড় ছেলে। আমার মা-বাবা কোনদিন থানার মুখ দেখেনি, কোন কিছুই জানতো না সেভাবে আমার যেটা রাজনীতিবিদ ছিল তিনি সমস্ত কিছু পরিচালনা করতেন। জ্যাঠা মশাই ও বাবার জেলে থাকাকালীন আমি প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলাম, কিভাবে জ্যাঠা ও বাবাকে ছাড়াবো সেই থেকে শুরু হয়ে যায় আমার জীবনের পথ চলা।চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি সেই সময় আমার মাকে সঙ্গে নিয়ে, আর পাড়ার একজনকে নিয়ে আমি আলিপুর কোটে হাজির হলাম। বাবা ও জ্যাঠা মশাইকে জামিনে মুক্তি করানোর জন্য। সেই থেকে শুরু হলো কোডের বিষয় জানা। এরপর দেখেছি একটার পর একটা অত্যাচার শুরু করল রাজনৈতিক নেতারা। আমি বাবা-মাকে এবং জ্যাঠামশাই কে জামিনে মুক্ত করেছি বলে, আমাকে সহ্য করতে পারলো না রাজনৈতিক নেতারা।ছোট থেকে আমার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করল লোকাল রাজনৈতিক নেতারা যারা সিপিএম করতো সেই সময়ে। বহু দুঃখ কষ্টের মধ্যে কোনরকমে আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলাম।রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটা খারাপ এত অত্যাচার বাড়িতে থাকার মত পরিস্থিতি ছিলো না, পড়াশোনা বন্ধ করে কলকাতায় চলে আসতে বাধ্য হতে হয়েছিল। সেই সময় আমার দিদির বিয়ে হয়ে যায়। আমরা তিন ভাইবোন , আমার জ্যাঠা মশাই এর কোন ছেলে ছিল না কেউ ছিলনা। আমার জ্যাঠা মশাই আমাকেই মানুষ করেছিল, এসব কথা যাক আসল কথায় ফিরে আসি। আমার জীবনের ইতিহাস, সেই থেকে শুরু হয় আমার জীবনের চাওয়া-পাওয়ার কিছু বিষয়। আমি খুব হতাশ ভেঙে পড়েছিলাম কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সেই সময়ে আমি কম্পিউটার ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স করি। এই কোর্স করতে করতে শংকর বিশ্বাস সিনেমা ফাইটার গ্রুপে ছিলেন তার সাথে আলাপ হয়ে যায়। তারার সাথে যোগাযোগ রাখতে রাখতে আমি সিনেমা জগতের ফাইট শিখে ফেলি, শংকর ছিলেন আমার সিনেমা জগতের প্রথম গুরু।সংকর বিশ্বাসের হাত ধরে আমি টালিগঞ্জ পাড়ায় বিভিন্ন স্টুডিও ঘুরে বেড়ায় সেই সালটি ছিল ২০০১ সাল। কম্পিউটারের ডিপ্লোমা কোর্স শেষ আর সিনেমা জগতে প্রবেশ শুরু হল আমার জীবনে। আমি অনেক ধারাবাহিক এতে ছোট ছোট ক্যারেক্টারের অভিনয় করেছি, সোনার হরিণ, ইন্দুবালা। ও সিনেমা জগতে বারুদ রাম লক্ষণ, প্রেমী ,রাস্তার মতন বইতে আমি ডেমি কাজ করেছিলাম।অভিনয় আর ডিরেকশন শেখা শুরু করি দূর্গা ভট্টাচার্য্য কাজ থেকে, অভিনেত্রী মাধুরী চ্যাটার্জির স্বামী অনেকের চেনা দুর্গা ভট্টাচার্য। তিনি বিদেশি অস্কারপ্রাপ্ত ডিরেক্টরের । প্রতারক বলে একটি সিনেমার আমাকে মূল চরিত্র দেওয়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল,এই জগতের বহুৎ দালাল আছে, আমি তো সহজ সরল গ্রামের ছেলে ছিলাম ,যে যা বলতো সেটাই বিশ্বাস করে ফেলতাম।অভিনয় তো আর করা হলোনা টালিগঞ্জ পাড়ায় স্কুল সার্টিফিকেট সহ টাকা-পয়সা সব কিছু ছেড়ে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। হরিদেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি আমাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করিয়ে বাড়ি ফিরিয়েছিলেন।পুলিশ বলে দিয়েছিল কোনদিন যদি বেঁচে থাকিস আর তালিগঞ্জ পাড়ায় আসবি না, জদি আসিস তাহলে তুই খুন হয়ে যেতে পারিস। সে সময় ও আমি লিখতে পারতাম আমার প্রচুর ছোট গল্প নিয়ে বিভিন্ন শর্ট ফিল্ম হয়েছিল, আর সেখান থেকেও আমার নাম লেখক হিসেবে পরিচিত হতে চেয়েছিলাম সে নিয়ে যতসব দুর্ঘটনা ঘটে যায়। জীবনে চলে আসে আমার হতাশায় বাড়ি ফিরে আসি কলকাতা ছেড়ে, কি করবো ভেবে উঠতে পারছি না। বিভিন্ন সাংবাদিকদের কাছে বছরের-পর-বছর ঘুরেছি আমার কথা যেন, কেউ এক কলম কাগজে লেখে কিন্তু কেউ আমার জন্য একটা শব্দ খরচা করল না লেখা তো দূরের কথা। আমি তখন খুব হতাশ, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না কি করলে ভালো হয়।আমার জ্যাঠা মশাই এর এক বন্ধু এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এ চাকরি করতেন স্বপন সরদার বলে একজন। তিনি আমার সমস্ত ঘটনাটা জানেন, তিনি আমাকে একটি সরকারি লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছিল রাসায়নিক সার বিক্রেতার দোকানের জন্য, কিন্তু সেই ব্যবসা আমি করতে পারলাম না টাকার অভাবে। আমি তখনও কবিতা এবং গল্প লিখি,লিখে লিখে ওনাকে দেখাতাম উনি আমার লেখাগুলো এডিট করে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করে দিতেন। লেখার জীবনের প্রথম ওখানে আমার শুরু হয়, আরো বেশি করে কলম ধরা। বহুরাত স্বপন কাকার বাড়ি সোনারপুরে কাটিয়েছি শুধু লেখার জন্য।হঠাৎ একদিন বাসন্তী হাই এর উপরে আমঝারাতে পুলিশ কে পিসে দিল লরি বাঘের চামড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়।এ খবরটা আমি সমস্ত খবরের কাগজে লিখে জানালাম পরে দেখলাম সমস্ত কাগজে বড় বড় করে প্রথম পাতায় লেখা টি বেরিয়েছে। সেই থেকে শুরু হল আমার সাংবাদিকতা।স্বপন কাকার মাধ্যমে গালিব ইসলাম ভদ্রলোকের কাছে হাজির হলাম থেকে কালান্তরে লিখতেন বলেছিলেন, সুযোগ করিয়ে দেব কিন্তু করে উঠতে পারেননি।এরপরে কুতুব উদ্দিন শেখ ঘুটিয়া শরিফের ছেলে খুব ভদ্র আমার সঙ্গে আজও তার সম্পর্ক রয়েছে ,সে আমাকে আসার সুপ্রভাত বলে একটি কাগজে লেখার সুযোগ করিয়ে দেয়। এখান থেকে শুরু হয়ে যায় আমার জীবনের সাংবাদিকতার পথ চলা।এরপর সিপিআই পার্টির বিশ্বজিৎ মাইতি নামে একটি ছেলে খুব ভদ্র এবং নম্র ,আজও আমাকে খুব ভালবাসেন ।সেই ছেলেটি আমার লেখা পড়ে বলেছিল কাজের সুযোগ আছে তুমি বললে আমি করে দিতে পারি। উনার সুপারিশে কালান্তরে লোক নিয়োগ চলছিল, আদিবাসী মহাসভার এক হিমাংশু দাস এবং শিবু নামে দুই নেতার কাছে আমাকে পাঠালেন ।ওনারা আমার লেখালেখি বিষয়ে সব শুনে কালান্তরের এডিটর চন্দন চক্রবর্তী কে বলল এই ছেলেটিকে তোমরা বাজিয়ে দেখে নাও, যদি লিখতে পারে তাহলে লেখার সুযোগ করিয়ে দিও। কালান্তর অফিসে রীতিমতো আমাকে ইন্টারভিউ নিল চন্দনদা নিজেই। এরপর আমার কালান্তরে লেখালেখির জগতে শুরু হলো ২০০৬ সাল থেকে। লিখতে লিখতে বামফ্রন্ট বিরোধী লেখা শুরু করে দিই আর একটি মানবাধিকার কাগজের যোগাযোগ হতে। আমার উপরে অত্যাচার অবিচার অনাচার ঘরছাড়া পর্যন্ত করে দেয়।আমি একটি কাগজের লোক বলে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আইন পড়ে শিয়ালদা স্টেশনে অনাহারে দিন যাচ্ছে ,সেখান থেকে একটি লোকায়ত কে চিঠি লিখে। এরপর আমার উপরে আমার পরিবারের উপরে সিপিএমের অত্যাচার এর পাহাড় জমতে শুরু করে। আমি দীর্ঘ এক বছর বাড়ি আসতে পারিনি,তপন কুমার ঘোষ বলে এক হিন্দু নেতার ঘরে আশ্রয় নিয়েছিলাম বহুদিন, তখনও কিন্তু আমি সাংবাদিকতা করি।তিনি সমস্ত জায়গায় পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি করেছিলেন কিন্তু বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আদিবাসী সংবাদ পত্রিকায় আমাকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার ফলে, মহেশ্বেতা দেবী আমাকে ওনার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেই থেকে মহাশ্বেতা দেবীর বাড়িতে থাকার সুযোগ হয়ে ওঠে।এরপর আমার সঙ্গে আলাপ হয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার হিসেবে ২০০৮ সালে এসেছিলেন অজয় রানাডে সাহেবের সাথে। অজয় রানাডে আমাকে ঘরে ফেরার। সাহেবে সঙ্গে আমার যোগাযোগ শুরু হওয়ার পরে সমস্ত বিষয়ে উনি আমাকে সাহায্য করতেন, আজও করেন । একটার পর একটা পরীক্ষা করে নিয়েছিলেন।আমি পড়াশোনা করব, এই কথাগুলো আমি নিজে মুখে ও নাকে জানিয়েছিলাম। সেই সময় উনি আমাকে অর্থ দিয়ে নিজেই ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি করে দেয়।সেই সময় আমার পরিবারসহ আমার পরিস্থিতি অতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। আমাদের জীবন জীবিকা বলতে মাছ চাষের উপরে নির্ভরশীল ছিলাম।বারবার এই স্বপ্নে তারা আমাকে অনাহারে মারার চেষ্টা করে পুকুরে , ফিশারি বিষ বিয়ের সমস্ত মাছ মেরে দেওয়া, যাতে আমরা অনাহারে মরে যাই। অমানবিক নির্মম অত্যাচার আমার সপরিবারে মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়েছিল।
এমন বেহাল হয়ে গেলেন খাওয়া-দাওয়ার পয়সা ছিল না। দিনের পর দিন অনাহারে চলেছিল আমার পরিবারের সবার। আবার মহাশ্বেতা দেবীর কানে পৌঁছে যায় আমার অত্যাচারের কথা, নিজে থেকে ফোন করে আমার ঘরে ডেকে পাঠান এবং আমার পাশে বহুবার বহু বিষয়ে ছিলেন।মহাশ্বেতা দেবীর হাত ধরে জোয়ার নামে একটি পত্রিকার আমি জন্ম দিলাম এবং তার প্রধান সম্পাদক ছিলাম, থেকে আমার পড়াশুনোর আবার নতুন করে শুরু হয় রানাডে সাহেবের পড়াশোনার খরচা দিতেন বছরের পর বছর। এরপর আরেকটি কাগজ জন্মদিন দূরদৃষ্টি তার ও সম্পাদক আমি ছিলাম। সময় আমি আরেকটি সুযোগ পাই। আদিবাসী সংবাদ বলে একটি পত্রিকায় লেখালেখি করতে করতে, দিল্লির একটি হিন্দি পত্রিকা আদিবাসী দুনিয়া সম্পাদক মুক্তি তিরখী সাথে যোগাযোগ হয়, ওখানে চাকরি করতে শুরু করলাম ২০০৯-২০১০ সালে। সেই সময় ডি চৌহান বলে এক ব্যক্তি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন দিল্লি থেকে। আই পি এস নিউজ সংস্থা করেছিলেন, সত্য মিথ্যা যাচাই করার মতন আমার পরিকাঠামো ছিলনা। ইন্ডিয়ান প্রেস সার্ভিস সংস্থাটির ফুল ফর্ম ছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল চিপ কাজ করতে শুরু করি । সেই সময় নতুন সরকার এল ২০১১সালে, বাম বিরোধী লেখালেখির ফলে। এসে বামফ্রন্টের নেতারা একের পর এক তৃণমূলে যোগদান করলে। তৃণমূল এগিয়ে এসব নেতারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে দেয়। আমি তিনদিন মতন জেলে হাজতবাস হয়ে যাই, মিথ্যা মামলা দায়ের! সত্য খবর প্রকাশ করার পরিণতি আমার এমনই হয়েছিল। এত লোকের কাছে চাকরি করেছি কেউ সাহায্য করেনি। মহেশ্বেতা দেবী পুলিশের ডিজি নপরজিতা মুখার্জিকে একটি চিঠি করেছিল। অজয় রানাডে আইপিএস আমাকে সাহায্য করেছিলেন । আবার জীবনে হতাশ। ইতিমধ্যে আইপিএস অজয় রানাডে টাকায় গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। তেমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও। সেই সময়ে ২০১৪ সালে আত্মশুদ্ধি বলে একটি পত্রিকার জন্ম দিলাম তখনও পর্যন্ত মুক্তির কি আমার সঙ্গে রিলেশন রাখছে।ইন্ডিয়ান প্রেস সার্ভিস সংস্থা কোথায় যে পালিয়ে গেল কোন টাকা-পয়সা মাইনে কিছুই আর দিল না । সংস্থাটি যে কোথায় হারিয়ে গেল আর কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারলাম না। এরপরে আমি আত্মশুদ্ধি বলে একটি পত্রিকার জন্ম দিলাম। মুক্তি তিরখি আদিবাসী দুনিয়ার প্রতিকার সম্পাদক এমন একজনের সাথে আমার যোগাযোগ করালেন তিনি আমার জীবনের আবার সর্বনাশ ডেকে আনলেন মিথ্যা বদনাম। আমার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আলাপ বাশিরুল হক ,তিনি আবার আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন। তার ও বন্ধুর ইয়াকুব আলী সহযোগিতায় আমরা আবার নতুনভাবে জন্ম দিলেন নিউজ সারাদিন অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে। সিনেমা জগৎ ছেড়ে সাংবাদিকতা জগতের পুরোপুরি ঢলে পড়লাম। দৈনিক সংবাদপত্রের পোস্ট আমি লিখতে শুরু করলাম। ২০১৮ সালের আইনুল হক নিজের পরিচয় গোপন করে আমাকে বাপ্পা নাম দিয়ে ফোন করলো। প্রায় আমাকে ফোন করতেন যখন তখন রাতের বেলাতে বেশিরভাগ সময়ে। আমি সিনেমা জগতে ভীষণ ঘৃণা করি সে কথা ওকে বারবার শুনিয়েছিলাম,ও আমার জীবনের ইতিহাস বারবার জানার চেষ্টা করল আমি সেভাবে মুখ খুলতে রাজি ছিলাম না। তবে ২০১৯ সালে ছোট মুখে বড় কথা করার জন্য আমাকে প্রথম তার ঘরে ডেকে পাঠায়, আমি তার সঙ্গে তাকে বিশ্বাস করে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম।বাংলা খবর প্রতিদিন নামে একটি কাগজ করবে বলে RNI এর সমস্ত কাগজপত্র আমি নিজে হাতে রেডি করে দিয়েছিলাম। এক আইপিএস ম্যাগাজিন আমি নিজে হাতে প্রকাশ করি। সেই ম্যাগাজিনের RNI আমি করে দিই।সেই ম্যাগাজিনের বাপ্পাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি বাপ্পাকে সঙ্গে নিয়ে যাই আইপিএস অফিসারের বাড়িতে একদিন রাতের বেলায়। কারণ কি জানতেন বাপ্পা আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার কাগজের আমাকে রাখবে। বাপ্পাকে নিয়ে আজ এত বিতর্ক আইনুল হক তার কথাই আমি বলছি। এরপরে ছোট মুখে বড় কথা বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে সনু দাস নামে কথা বলতে শুরু করে, উনি হচ্ছেন সরস্বতী দাস।ছোট মুখে বড় কথা যা প্রতিশ্রুতি আমাকে বাপ্পা দিয়েছিল সেই কথা মতন কাজের সময় করলেন না। আমার ডিরেকশনের অভিজ্ঞতা আছে সেটা ছোট মুখে বড় কথা শুরুর আগে ,আমি তিন অবতার বলে একটি ধারাবাহিক করে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম বাপ্পাকে।বাপ্পা মাত্র উচ্চমাধ্যমিক পাস একটি ছেলে তিনি নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে, আইনুল হক আসল পরিচয়। আপনারা দেখছেন আমার জীবনের কথা। আমার নামে বদনাম করছে আত্মগোপন করা দুই ব্যক্তি সানু দাস আর বাপ্পা।কারণ কি জানেন আমার ডিরেকশনের অভিজ্ঞতার বুঝতে পেরেছে ,আর ডিরেকশন থেকে আমার নামটা বাদ দেবে সেই কারণে। ছোট মুখে বড় কথা ছবির ডিরেকশনে নাম থেকে আমাকে বাদ দিতে চায়। ভাগ্যের পরিহাস আজ আমাকে, অনেক যোজন দূরে সরিয়ে দিয়েছে এসব জগত থেকে। আজ আমি ভারতবর্ষের বিভিন্ন বাংলা দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় কলমে লেখক।

Related Articles

Back to top button