করোনার প্রকপে ফুলচাষ বিশ বাঁও জলে গেছে।বিকল্প হিসেবে বাঁচতে ফুলচাষীরা চীনেবাদাম চাষ করেছিল।তাও সমূলে নষ্ট হয়ে গেল আমপান ঝড়ের কবলে পড়ে ।
প্রদীপ কুমার মাইতি:ফের মুখ থুবড়ে পড়ল চাষিরা। একের পর এক চাষে বাধা সৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপাকে পূর্ব মেদিনীপুরের ফুল ,চীনেবাদাম চাষীরা।কিছুদিন আগেই ফুলচাষে বসেছিল করোনার থাবা, যাঁর ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি চাষিদের বিধ্বস্ত করেছিল।চাষ আঁকড়ে বাঁচার উপায় হিসেবে অধিকাংশ ফুলচষীরা বাদাম চাষ করেছিল।তাও আমপানের প্রভাবে বিপর্যস্ত বাদাম চাষেও। ঝড়ের সাথে ব্যাপক হারে বৃষ্টি হওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া,কোলাঘাটে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষের জমিতে হাঁটুসমান জল জমে নষ্ট মাঠের পর মাঠ বাদাম চাষ। চাষিদের কথায় এমনিতেই এই বছর বাদাম চাষে ফলন কম, তাঁর ওপর অল্প সময়েই জলের তলায় পচন ধরে বাদাম নষ্ট, আবার জলের তলায় ফলনসই বাদামে অঙ্কুর হতে শুরু হয়, ফলে লাভের পরিবর্তে লোকসানে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। এই বাদাম চাষের পেছনে প্রত্যেক চাষি প্রায় 25 থেকে 50 হাজার টাকার ওপরে খরচ করে বাদাম চাষ করেন, তাঁর ওপর জমি ভাগে নিয়ে চাষ করে বহু চাষি।সে কারনে জমির মালিকের লিজের চাপ। সবমিলিয়ে একপ্রকার মাথায় হাত পড়ল চাষিদের। এর আগে নস্করদিঘীর শক্তিপদ মান্না নামে এক চাষি ফুল চাষ করেছিলেন ,তিনি বলেন লকডাউনের কারনে বিক্রি নেই নষ্ট ফুল, তবু বাদাম চাষে অল্পবিস্তর লাভের আশায় চাষ করেছিলেন তাতেও ক্ষতির মুখে পড়তে হল,এমন দুর্ভিক্ষে হয়তো আত্মহত্যা করতে হবে আগামী দিনে সংসার চালাতে না পারলে। আর এক চাষি দিলীপ মিশ্র বলেন ফুলচাষের ক্ষতিপূরণ পাইনি, তাই বাদাম চাষেও ক্ষতিপূরণ আদৌ পাবে কিনা তা সন্দেহ আছে, আমরা চাষআবাদ করছি কিন্তু একের পর এক নষ্ট, সংসারে অনটন শুরু হয়েছে, রোজগার নেই, না খেতে পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় দেখছি না। অন্যান্য বছর গোছা গোছা বাদাম হোতো ,কিন্তু এই বছর একে করোনা সাথে আম্ফান ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাত চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বিপর্যস্ত চাষআবাদ ।