রাজ্য

সরকারি বরাদ্দ চাল পাচারের চেষ্টা, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতার বাবা।

রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল, বাজার  সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের তরফ থেকে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল ও পরিবারপিছু ১ কেজি ডাল, আলু, দেওয়ার কথা তিন মাস ধরে ,ঘোষণা করেছে মোদির সরকার । রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ছমাসের জন্য রেশনের চাল ফ্রি করে দিয়েছে।সারা রাজ্য জুড়ে এক শ্রেণীর অসাধু নেতারা, সেই চাল-ডালের মুনাফা নিয়ে, বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা অভিযোগ দীর্ঘদিনের।এর সাথে যুক্ত রয়েছে রয়েছে রেশন ডিলারা তেমনি অভিযোগ আসছিল বহুদিন ধরেই। এমনই অভিযোগ পেয়ে মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব কয়েকটি ডিলারকে গ্রেপ্তার করেছিলেন বলে, তিনি আর পুলিশ সুপার পদে বহাল থাকতে পারলেননি, এমনি কথা মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর মুখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছে ।তবে এ বিষয়ে প্রাপ্ত পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। নেতারা গরিব মানুষের খাদ্য সামগ্রী যেভাবে চোখের আড়ালে বিক্রি করছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ দমকলে তৃণমূল নেতার বাবা।অভিযোগ, গতকাল সরকারের দেওয়া ১২ কুইন্টাল চাল পাচার করছিলেন এক ব্যক্তি । গঙ্গাদাসপুরে একটি মারুতি ভ্যান আটক করা হয় । তার সঙ্গে এক ব্যক্তিকেও । পরে জানা যায়, তিনি ডোমকল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রবিশংকর পালের বাবা । ডোমকল থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর । সরব হন BJP নেতা-কর্মীরা । তাঁদের অনেকেই বলতে থাকেন, এই পরিস্থিতিতে যেখানে অর্ধেক লোক খেতে পাচ্ছেন না সেখানে এভাবে সরকারি জিনিস পাচার অন্যায় । স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, ডোমকলের অন্যান্য ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হলেও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কিছুই পাওয়া যায়নি।এবিষয়ে ডোমকল পৌরসভার চেয়ারম্যান জাফিকুল ইসলাম বলেন, “সব ওয়ার্ডে চাল বিতরণ হয়ে গেলেও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এখনও হয়নি । কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযোগ প্রমাণ হলে তৃণমূল নেতা বলে রেয়াত করা হবে না । “

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button