প্রবল ঝড় বজ্র বৃষ্টি উপেক্ষা করে,করোনা আতঙ্ক ভূলে গ্রামবাসী ছুটে এলো ত্রান নিতে ।
হলদিয়া :::: রাজ্যজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। কলকারখানা, যানবাহন, দোকানপাট, হোটেল সমস্ত কিছু একেবারেই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। হলদিয়া য় নুতন করে ৪জন করোনা পজিটিভ পাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এবার এগিয়ে এলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া সংবাদপত্র ফোরামের সাংবাদিকগন, শিক্ষক – প্রশাসন, দূর্গাচক থানার ওসি,সিভিক, পুলিশ। কথা ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান পৌঁছাবে হলদিয়া সংবাদপত্র ফোরামের সদস্যরা ও প্রশাসন। কিন্তু ত্রান মজুত জায়গায় ছুটে এলো গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দূর্গাচক থানার এলাকার ৬টি গ্রামের দুস্থ প্রায় ২১০ জনের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ফোরামের তরফ থেকে। সরকারি নিয়ম মেনে হাতে স্যানিটাইজার মুখে মাক্স পরিয়ে,এদিন খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়। স্থানীয় প্রধান শিক্ষক ও ফোরামের অন্যতম তপন জানা বলেন, প্রকৃতির এতো বড় দূর্যোগ ও করোনা আতঙ্ক উপেক্ষা করে মানুষ ত্রান নিতে এসেছে। লকডাউনের নিয়ম মেনে পরস্পর সহোযোগিতায় একাত্ব হলাম। বিতরনের জটিলতাকে সহজ করে ত্রান নিল গ্রামবাসী,।
দূর্গাচক থানার অফিসার নির্মল প্রধান বলেন, “লকডাউনের সময় খেটে খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেট রোদ বৃষ্টি মানে তার প্রমান চোখের সামনে এল। হঠাৎ বজ্রবিদ্যুৎ, ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে গ্রামবাসী ছুটে এসেছে ত্রান গ্রহন করতে।এমন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষদের হাতে হলদিয়া সংবাদপত্র ফোরামের সহোযগিতায় আমরা খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলাম। তবে সাংবাদিক ও পুলিশের যৌথ প্রয়াসের মানবিক উদ্যোগকে খুবই প্রশংসাকে করে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা।