জাতীয়

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা পরেও কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় লকডাউনে বেতন না পেয়ে সমস্যায় খড়গপুর শিল্প তালুকের শ্রমিকেরা।

2004 সালে বামফ্রন্টের সরকারের আমলে তৈরি বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । 1139 একর জমিতে তৈরি এই বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক একাধিক ছোট বড় কোম্পানি রয়েছে ,হিটাচি ,গোদরেজ,বি.আর. জি .এ.গ্রুপ.লি,এইচপি মত নামিদামি কোম্পানির আছে এই বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে । কন্ট্রাকচুয়াল এবং পার্মানেন্ট স্টাফ মিলে প্রায় 5000 শ্রমিকেরা কাজ করেন এই বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে। সকাল-বিকেল এইখানে ট্রাকের আনাগোনা থাকতো কিন্তু লকডাউন এর জেরে শুনশান বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ।করোনা মোকাবিলায় সংক্রমণ রুখতে সারা দেশ জুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার।গত ২১ শে মার্চ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভাষণে তিনি দেশের সমস্ত শিল্প ক্ষেত্রে কলকারখানার মালিকদের কাছে মানবিক অনুরোধ রাখেন সমস্ত শ্রমিকদের কথা ভেবে। তিনি যাতে এই লকডাউনের সময় কোন শ্রমিকের বেতন বন্ধ না করা হয় তার জন্য সমস্ত শিল্পপতিদের কাছে অনুরোধ রাখেন।আর লকডাউনের একমাস পেরিয়ে গেলেও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খড়গপুর শিল্প তালুকের কলকারখানার শ্রমিকেরা। বিগত একমাস ধরে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সহ খড়গপুরের অন্যান্য শিল্প তালুকের শ্রমিকের বেতন বন্ধ। ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা । বিগত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় দিন গুজরান হচ্ছে সেই সব শ্রমিক পরিবারের। কবে লকডাউন উঠবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই আবার লকডাউন উঠলেও কাজ থাকবে কিনা তার ও নিশ্চয়তা নেই। এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্রুত কারখানা খোলার ছাড়পত্র পেতে দারস্থ প্রশাসনের। ফলে কবে এই অনিশ্চয়তার মেঘ কাটবে তাদের ওপর থেকে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বেতন না পাওয়া শ্রমিক পরিবার গুলি।

Related Articles

Back to top button