ভারতবাসীরা যে এক মহা সর্বনাশের পথে ক্রমেই নিমুজ্জিত হচ্ছে।
শুভাশিস ঘোষ–বিশ্বজুরে এই মুহুর্তে করোনায় মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে।আক্রান্ত পাঁচ লক্ষ,আমাদের দেশে মৃতের সংখ্যা ৮০ ,আক্রান্ত তিন হাজার।আর সেই সময় আমরা উৎসবে মেতেছি।আত্মঘাতী জাত আর কাকে বলে।যে জাতের ভালমন্দের হুশ নেই তার কি বেঁচে থাকার আদৌ কোন অধিকার আছে!এপর্যন্ত চিত্র হল করোনা সেলিব্রেশন পালন করতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গায় মানুষের ঘরবাড়ি পুড়েছে।এরকম খবর হয়তো আরো আসবে।সবচেয়ে বড় কথা হল এভাবে নিজেদের সর্বনাশে পৃথিবীর কোন জাতি এত উৎসব পালন করেছে?যেখানে করোনা ভাইরাসে কত মানুষ মরবে এখনো সেই হিসাবটা পরিস্কার না হলেও দেশের অর্থনীতি লক ডাউনের কল্যাণে যে সর্বত্র হিমঘরে চলে গেছে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।এরকমভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে প্রচুর কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।পরিবহনে ব্যাপক ক্ষতির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।ব্যাঙ্কের ঋন নিয়ে যারা কারবার করছিলেন তারাতো ঋনের ভারে ডুবে যাবেন।সবচেয়ে করুণ অবস্হা হবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক মেহনতি মানুষদের।ব্যাপক হারে ছাঁটাই শুরু হতে বাধ্য।মানুষ তার খরচ কমিয়ে কোনভাবে বাঁচার রসদটাও যখন জোগার করতে ব্যার্থ হবে তখন তো দেশে চুরি ছিনতাই রাহাজানি বাড়বে।মানুষ মানুষকে দেখলে ছিঁড়ে খাবে।তাই বলছিলাম যে করোনার মহমারি এপর্যন্ত কত প্রাণ কারবে আমাদের জানা না থাকলেও আমরা ভারতবাসীরা যে এক মহা সর্বনাশের পথে ক্রমেই নিমুজ্জিত হতে চলেছি তা হলপ করেই বলে দেওয়া যায়।যে সময়টা আমাদের আরো সচেতন ও সুচিন্তার দরকার ছিল সে সময়টা আমরা হাল্কাভাবে উপভোগ করছি।একতা দেখার ঢং এটা নয়।তাই বলছি এখনো সময় আছে সাবধান হন।এধরনের ঘন্টা বাজানো,মোমবাতি জ্বালানো,উৎসব মেতে থাকার কর্মসুচি যে বা যারা করছেন তারা একটি বার ভেবে নিন এরপর “একতা ও ঐক্যবদ্ধ”র কথা বলে বলা হবে পেটে গামছা বাঁধুন।বলা হবে দেশের এই কঠিন সময় একবেলা খান।এক বেলা উপস করুণ।আপনার জমানো টাকায় সরকার হাত মারলেও আপনার কিছু বলার থাকবেনা কারণ আপনি নিজেই অজান্তে এটাকে মেনে নিয়েছেন।দেশে কাল জরুরি অবস্হা জারি করে আপনার সমস্ত সাংবিধানিক অধিকার কখন এভাবেই উৎসবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কেড়ে নেবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।কারণ তখন আপনি আবেগে ভেসে একজন স্বাধীন চিন্তার মানুষ থেকে একটি রাজনৈতিক দলের স্তাবকে পরিণত হয়ে গিয়েছেন।আপনার গলায় কখন কুত্তার চেন পড়িয়ে দেবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।আর সেটা যে অসম্ভব নয় তাতো প্রমাণ হয়ে গেল এই এপিলে।একদম আট থেকে আশি করোনা ভুত তাড়াতে হুশ বিহীন একটা জাতী নিজেদের সর্বনাশের মহাপ্রলয়ের সামনে দাঁড়িয়ে নেচেকুঁদে আনন্দ করে উৎসব পালন করলেন।এই সময় সেই মানুষটির কথাই বারবার মনে পড়ছে,এই মুর্খ জাতির সর্বনাশ যিনি অনেক আগেই দেখতে পেয়ে লিখেছিলেন”সাতকোটি মানুষের হে মুগ্ধ জননী,রেখেছ বাঙালী করে মানুষতো করোনি”।