আন্তর্জাতিক

নাইজেরিয়া পুলিশের গোপন বাহিনী ভেঙে দেয়া হচ্ছে

নাইজেরিয়ায় পুলিশের এক বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে গত কয়েক বছর ধরে। ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরীহ লোকজনের ওপর বর্বর ও নিষ্ঠুর নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বহু অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু সম্প্রতি এই সার্স বাহিনীর হাতে নির্যাতনের প্রতিবাদে নতুন করে ফুঁসে উঠেছে নাইজেরিয়া, যাতে উত্তাল হয়ে পড়েছে সারা দেশ।

প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভ এখন নাইজেরিয়ার ছোট বড় বিভিন্ন শহর ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশেও। প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক, বার্লিন থেকে টরন্টো থেকে।

বিশ্বের যেখানেই নাইজেরিয়ানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন সেখানেই তারা এই আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করছেন।

নাইজেরিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি পুলিশের এই সার্সি বাহিনী ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সাথে যেসব পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও এই বিক্ষোভ থামেনি।

সার্স-বিরোধী সবশেষ এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর বুহারি টেলিভিশনে দেওয়া তার প্রথম ভাষণে বলেছেন, ‘সার্স ভেঙে দেওয়া পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের প্রথম ধাপ।’

কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই বাহিনীকে বিলুপ্ত করলেই নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হবে না। এজন্য তারা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার, নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুলিশের পুরো বাহিনীতে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।

তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট বুহারির বক্তব্য পর্যাপ্ত নয়। তিনি অনেক দেরি করে ফেলেছেন। তরুণ নাইজেরীয়রা এই প্রতিশ্রুতিতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘সরকার ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও এই বাহিনী ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু এবার আমরা তাদের আর এই প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করি না। এটা ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু নয়।’

Related Articles

Back to top button