পূর্ব বর্ধমান খাজা আনোয়ার বেড় হাই স্কুলে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টারে আপত্তি এলাকাবাসীর ।
স্বপন দত্ত: -পূর্ব বর্ধমানের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড খাজা আনোয়ার বেড় শহীদ হাই স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিক দের নিয়ে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টারে আপত্তি জানালো ও আজ বিক্ষোভ মিছিল করলো খাজা আনোয়ার বেড় এলাকা বাসি । এলাকাবাসী নাকি কোনো সূত্রে জানতে পেরেছে যে এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বেড় হাই স্কুলে নাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার হবে। তাই তারা পুরুষ ও মহিলারা একত্রিত হয়ে একটি আপত্তির দরখাস্ত লিখে সকল কে দিয়ে সই করিয়ে প্রতিবাদী শ্লোগান দিতে থাকে যে বেড় হাই স্কুলে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার করা চলবে না চলবে না ।। এলাকাবাসীর বক্তব্য সোমা দাস , দেবব্রত দত্ত ,ও সুতীর্থ সামন্ত ও স্কুল সংলগ্ন মুচিপাড়ার অনেক মা বোনেরা বলেন যে পূর্ব বর্ধমানে মানুষের করোনা ছিলো না। বাইরে থেকে সব লোক বর্ধমানে এসেই করোনার আক্রান্ত হয়েছে তাই আজ করোনার ভয়ে বর্ধমানের মানুষ আতঙ্কে কাঁপছে। আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যদি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এসে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার করে রাখা হয়, কে বলতে পারে আমাদের এলাকাতেও করোনা ছড়াবে না ? তখন তার দায় কে নেবে ? যেহেতু পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকেই চারিদিকে করোনা ছড়াচ্ছে সেহেতু আমরা আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাতে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার না করাহয় তারজন্য আমরা বিকক্ষোভ মিছিলে সামিল হয়েছি ।আমরা এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করছি ।যদি আমাদের বিক্ষোভ মিছিলেও না কাজ হয় আমরা বৃহত্তর আন্দলনে নামবো তবু আমাদের এলাকার মানুষের আমরা ক্ষতি হতে দবো না ।। এপ্রসঙ্গে এলাকাবাসী কেউ কেউ বলেন করোনা এমন একটা রোগ যতই বলুন ভয় খেও না আতঙ্কে ভুগবে না আতংক ছড়াবে না সেটা কি করে সম্ভব মানুষ তো প্রতিদিন খবরে দেখেই আতঙ্কে ভুগছে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা চারিদিকে আসার পরই বর্ধমানে করোনা আক্রান্ত হু হু করে দিন দিন বেড়ে চলেছে । সুতরাং আমরা এলাকাবাসী নিজেরাই এই সেন্টার বন্ধ হোক এই আপত্তি জানিয়ে বর্ধমানের প্রশাসনের কাছে জমা দিচ্ছি । বর্ধমানের প্রশাসনই একমাত্র পারবেন আমাদের খাজা আনোয়ার বেড় এলাকাকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে রক্ষা করতে, পরিযায়ী শ্রমিক দের নিয়ে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার বেড় হাই স্কুলে আমাদের এলাকায় না করে ।। বিকক্ষোভ কারীদের বক্তব্য জেলা প্রশাসন আপনি খাজা আনোয়ার বেড় হাই স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোয়ারেন্টটাইন সেন্টার যেন খুলবেন না এটা এলাকাবাসীর অনুরোধ।।