মানুষ উন্নয়নের থেকে রাজনীতি বেশী পছন্দ করেন।
শুভাশিস ঘোষ
পাঠকের মতামত সম্পূর্ণ নিজস্ব এর জন্য সম্পাদকমন্ডলী দায়ী নয়
বামেরা উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়ন ৩৪ বছর করেনি তার কারণ ওখানকার মানুষ উন্নয়নের থেকে রাজনীতি বেশী পছন্দ করেন।আমি দীর্ঘদিন শিলিগুড়ি থেকেছি।২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত।তখন যা রাস্তাঘাট জল আলোর অবস্থা ছিল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অংশে এখন সে তুলনায় চিত্র অনেকটাই বদলেছে। যা আমি সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্সের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে দেখেছি।কিন্তু তা সত্বেও এখানে তৃণমুলের ভোট নেই।কারণ মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতিটা করেননি।তিনি ভেবে ছিলেন উন্নয়নই শেষ কথা বলে।কিন্তু সেটা যে কতবড় ভুল সেটা এখন তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।।কি দরকার ছিল উত্তরকন্যা করে মিনি মহাকরণ বানানো?জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুর দুয়ারকে ভাগ করে আলাদা জেলার তকমা দেওয়া?দরকার কি পড়েছিল এখানে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ করে এখানকার মানুষকে কলকাতা যাওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়ার।বরং এগুলো নিয়ে উনি রাজনীতি করলে অনেক সফল হতেন।যেমন সিপিএম করেছে।উন্নয়নের মেওয়া ঝুলিয়ে দুপক্ষের লড়াই বাধিয়ে দিয়ে মাঝখান দিয়ে ভোটের ফয়দা লোটা।এই উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এ রোজ গন্ডগোল হত।মানুষ মরতো।সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হত।আর সেইগুলো নিয়ে পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্র ভাষার ভাষনে মানুষকে চার অক্ষর করে কেল্লা ফতে করতো।মুখ্যমন্ত্রী আপনি সত্যি বোকা।আরে উলঙ্গদের উলঙ্গই রাখতে হয়।প্রয়োজন যেটা তা হল ওদের চোখের সামনে রাজা সাজার জরির পোষাকটা ঝুলিয়ে রাখা।যেটা দেখে আমোদ করে সবাই পড়ার জন্য দৌড়বে।নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারপিট করে মরবে।কথাটা কি ভুল বলছি?মনে নেই বাম আমলের সেই বংশীবদনদের কথা।যাদের মারে একজন একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নৃশংসভাবে খুন হয়েছিল।এরকম ঘটনা গত আট নয় বছরে কেন দুচারটে ঘটালেন না।মাননীয়া দিদি আপনি কি শোনেননি সেই প্রবাদটা”ভুত হয়ে ধরা আর ওঝা হয়ে ঝাড়া”র গল্পটা।যদি এটা আপনার না জানা থাকে তহলে অবশ্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাইয়ের থেকে শিখুন।দেখুন কি সুন্দর ১৫ লাখ একাউন্টে দেওয়ার গল্প শুনিয়ে মানুষকে চার অক্ষর বানিয়ে রেখেছেন।আরে এদেশের রাজনীতিতে তো এটাই চলে।অন্য কিছু ভাবাটাই তো অপরাধ বোকামি।