জীবন এর ঝুঁকি নিয়ে ,শুধু সেবা নয়, সেবার জন্য অর্থও দান আশাকর্মীর
প্রদীপ কুমার মাইতি
নিউজ সারাদিনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করুন: ৯৫৬৪৩৮২০৩১
কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। যারই এক অন্যতম উদাহরণ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের স্মিতা চক্রবর্তী। স্মিতাদেবী পেশায় একজন আশাকর্মী। বর্তমান করোনা আতঙ্কের আবহে দিনরাত এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম মানুষকে সচেতন করে চলেছেন তিনি। কারোর মধ্যে কোন রোগ লক্ষণ দেখা দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে নিজে ব্যবস্থাও নিচ্ছেন। টিভি, পেপার- পত্রিকায় রাজ্য তথা গোটা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কোথাও তিনি জেনেছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা করতে নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সাহায্য করলেন শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের আশাকর্মী স্মিতা চক্রবর্তী।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন শতাধিক। প্রত্যেকদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ আর্থিক ফান্ড তৈরি করেছেন। তবে মহামারী করোনা রুখতে এই ফান্ড যথেষ্ট নয়। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে বহু সংগঠন এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর এই ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বহু সংস্থা ও মানুষজন। এবার মানুষের সেবার পাশাপাশি এই ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের সাইরা গ্রামের আশা কর্মী স্মিতা চক্রবর্তী। শুক্রবার তিনি শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমন মন্ডলের হাতে দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এদিন উপস্থিত ছিলেন ব্লকের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন সহ অন্যান্যরা। বর্তমানে করোনা আবহ এতোটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে দিনরাত এক করে কাজে লেগে পড়েছেন সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সঙ্গে সেবার কাজে এগিয়ে এসেছেন আশাকর্মীরাও। মানুষের সেবার পাশাপাশি এভাবে সেবার কাজে অর্থ দান করে এখন জেলার নজির স্মিতা। তিনি বলেন, “শুধু সেবাই নয়, আমাদের কর্তব্য সেবার জন্য সমস্ত বিষয়টি নজর রাখা। তাই আমি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে এই সামান্য অর্থ তুলে দিলাম।” শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুমন মন্ডল বলেন, “স্মিতাদেবীর এইধরনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমি চাই এইধরনের উদ্যোগ আরও এগিয়ে চলুক।”