রাজ্য

মদের দোকান থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠতেই বিশাল লাইন,ভীর সামলাতে প্রশাসনের হিমসীম দশা।

শুভাশিস ঘোষ-“দে দে মদ দে, মদ দে,মদ দে রে, দে দে মদ দে”-রাষ্ট্রের কাছে দেশের জণগনের এখন এটাই একমাত্র আকুতি।করোনা হঠাতে এখন দেশবাসীর সবচেয়ে জরুরী হল”মদ”।যেটা খেয়ে ঘরে বাইরে পাঁয়তাঁড়া করার ছক কষবে।এলাকায় এলাকায় সোস‍্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের বদলে সোস‍্যাল ইনজাস্টিস তৈরি করবে,পরিবারে সকলের পেটে ভাত না জুটলেও একমাত্র উপার্জনশীল মানুষটি বেহেড মাতাল হয়ে ঘরে ঢুকবে।লুটয়ে পড়বে।দেখে বাড়ির গিন্নি থেকে ছোট বড় সকলে খিল্লি উড়াবে আর আগামী ভবিষ‍্যতে দেশকে আরো বড় বড় মাতাল সন্তান দেওয়ার অঙ্গীকার করবে।করোনা ভাইরাস পৃথিবীতে না এলে আমাদের অনেক কিছুই জানা হত না।জানা হত না,সোস‍্যাল ডিস্টেন্সিংটা কি?এটা খায় না মাথায় মাখে।জানা হত না “মাস্ক”কি বস্তু।সেটা ভাইরাস আটকাতে মুখে দেওয়া হয় নাকি গণতন্ত্রের সপক্ষে মানুষের স্বর স্তব্ধ করতে ব‍্যবহার করা হয়? আবার লক ডাউন যে একটা রোগের একমাত্র প্রতিষেধক ওষুধ হতে পারে এটাও জানা হত না।যেখানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তাত্ত্বিক প্রকৃতি ব়িজ্ঞানি থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানী সবার কাপড়ই হুলুদ হয়ে যাচ্ছে সামান‍্য একটা ভাইরাসের ওষুধ খুঁজে বাড় করতে।আর এসবের মধ‍্যে বিশ্বের ২৫৩ টা রাষ্ট্রের সাড়ে সাতশো কোটি মানুষের মধ‍্যে মাত্র দুই লাখ মানুষের মৃত‍্যু সুচিত হতেই গোটা বিশ্ব ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছে।একবারেও আমরা কেউ ভেবে দেখলাম না এর থেকে বহু বেশি মানুষ আফ্রিকার দেশগুলোতে রোজ অনাহার অর্ধাহার অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে।যেখানে করোনা ভাইরাসের অতিমারি আতঙ্ক ছড়িয়ে গোটা বিশ্বের দখল নিতে চাইছে কতিপয় ধনীক শ্রেণী।এরপর লক ডাউন উঠবে।তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকার কর্মহীন হবে।তখন সস্তায় শ্রম কিনে নিজেদের পুঁজির পাহাড় আরো আরো স্ফীত করে তুলবে। আর এই চরম দুর্দিনের দিনগুলো নিয়ে আমরা যাতে ভাবতে না পারি ,পাছে দেশের আনাচ কানাচে রাষ্ট্রবিরোধী গণ-অভুত্থান না হয় সেই সম্ভাবনাকে একশো শতাংশ নির্মুল করতেই চাই দেশের মানুষকে আকুন্ঠ মাদকের নেশায় ডুবিয়ে দিতে।যারই স্টেজ রিহারস‍্যাল শুরু হয়ে গেল ৪ মে থেকে।৫৪ দিনের ঘরবন্দি নগরিক জীবন যাতে বেচাল কথাবার্তা না বলে,যাদের ভাষার সাথে অন‍্যায় বুভুক্ষা,অত‍্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষাগুলো এক হয়ে না যায় সেই দিকে নজর দিয়েই রাষ্ট্র এখন দেশের মানুষকে চুল্লু দিয়ে উল্লু করতে তৎপর।যেখানে বিখ‍্যাত সারাবি বইয়ের গানটাই এখন সবচেয়ে বেশি প্রতিপাদ‍্য বলা যায়”দে দে মদ দে,মদ দে মদ দে রে”।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button