রাজ্য

লকডাউন উপলক্ষ্যে নদীয়া জেলার সর্বত্র ছিল শুনশান খোলেনি দোকানপাট ছিল পুলিশ পাহারা


শ্যামল রায় ,নদীয়া:করনা ভাইরাস ঠেকাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সপ্তাহে দুইদিন লকডাউন ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ছিল লকডাউন এর প্রথম দিন। এদিন লকডাউন কে সফল করতে নদীয়া জেলার সর্বত্র ছিল ব্যাপক পুলিশ পাহারা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়ন। জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তার জন্য দেখাতো হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তাহলেই ছাড় নইলে নয়।
নদীয়া জেলার নবদ্দীপ কৃষ্ণনগর রোড ছিল শুনশান চলেনি কোনো যানবাহন বাইক এবং মানুষজন। নবদ্দীপ রেলগেটে পুলিশ এবং সিভিক পুলিশ পাহারাছিল। এছাড়া নদীয়া জেলার কল্যাণী রানাঘাট কৃষ্ণনগর পলাশীপাড়া নাকাশিপাড়া করিমপুর কিশোরগঞ্জ কালিগঞ্জ এলাকায় ছিল কড়া পুলিশি পাহারা। লং গাউন ভঙ্গ করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদেরকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এছাড়াও মাস্ক না পড়ে কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেননি।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলেনি যানবাহন। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এই ধরনের উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।তবে দিনের-পর-দিন ধাপে ধাপে বাড়ছে করোনাভাইরাস চিন্তিত জেলা প্রশাসনের সাথে মানুষজন। তবে করোনাভাইরাস যাতে বৃদ্ধি না ঘটে তার জন্য কিন্তু সরকারের সমস্ত রকম নির্দেশের সাথে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন তবুও কেন করোনাভাইরাস বাড়ছে সরকারের দেখা উচিত বলে অনেকেই মনে করছেন।এদিন নবদ্বীপ সংলগ্ন কালনা কাটোয়া রোডেও ছিল শুনশান ব্যাপক শোডাউন। হেমাতপুর থেকে কাটোয়া যাবার রাস্তা ছিল শুনশান কোনো মানুষজন বের হয়নি ছিল মাত্র পুলিশ পাহারা। সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যুব নেতা সুভাষ গোলদার জানিয়েছেন যে করোনাভাইরাস রোদে যে ধরনের উদ্যোগ এবং তৎপরতা রাজ্য সরকার নিয়েছে নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ যেভাবে সরকারের পাশে থেকে সমর্থন এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর প্রতি ভালোবাসা এবং তার উন্নয়নের শরিক না হলে মানুষজন এইভাবে পাশে থাকেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সমাজবাদী যুবনেতা সুভাষ গোলদার। তিনি জানিয়েছেন যে পূর্ব বর্ধমান জেলা শুধু নয় নদীয়াজেলা তেও ব্যাপকভাবে করনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য মানুষজন সরকারের সমস্ত রকম নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে লকডাউন মেনে চলেছেন এদিন। এদিন নবদ্বীপ শহরের ফেরিঘাটে চলেনি যাত্রী পরিষেবা চলেনি বাস চলেনি কোনো যানবাহন ব্যাপকভাবে সফল বলে তিনি দাবি করেছেন। কালনা শহরেও ছিল ব্যাপক পুলিশ। সুভাষ গোলদার জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশের হাল খারাপ হচ্ছে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্বেষ আদর্শকে অবলম্বন করা আমাদের সকলের উচিত। সপ্তাহে দুই দিনের লকডাউন আজ ১০০% সফল।

Related Articles

Back to top button