মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি করেছেন কেন্দ্র, এমনই অভিমত ডাঃ শান্তনু সেনের
ঝুম্পা দেবনাথ, কলকাতা: বাংলার আকাশ থেকে করোনা ভাইরাসকে সরাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মুখ সফরে নেমেছেন। কিন্তু তার উল্টোদিকে মানুষের জীবন নিয়ে রাজনীতি করে চলেছেন কেন্দ্র- এমনই অভিমত জানালেন IMA- র রাজ্য সভাপতি, সাংসদ তথা কলকাতা কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডাঃ শান্তনু সেন। এই ব্যাপারে ডাঃ শান্তনু সেনের সাথে আমরা কথা বলি। উনি আমাদেরকে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কোনোরকম ভাবেই চিকিৎসক সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করছেন না। চিকিৎসক সংগঠনের কোনো এক চিকিৎসকের প্রতিবেদনে রাজ্যসরকারের বিপক্ষে মনে হওয়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুধু মাত্র সেই চিকিৎসকের সাথেই কথা বলেন। এছাড়াও তিনি আরও জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট হয় ৪ ঘন্টা ধরে করোনায় মৃত ব্যক্তি ওয়ার্ডে পড়ে আছেন। মৃতদেহ ওয়ার্ডে পড়ে থাকা দেখে তর্কের খাতিরে প্রশ্ন উঠেছে মৃত ব্যক্তিকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়নি কেন? কিন্তু সত্যতা বিচার করলে দেখা যাবে। একজন মৃত ব্যক্তিকে ৪ ঘন্টার আগে মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া যায় না। কারণ ৪ ঘন্টা আগেও মৃত ব্যক্তির শরীরে প্রাণের সঞ্চার আসতে পারে। সুতরাং এই ব্যাপারে আইনিভাবে প্রশ্ন তোলা উচিৎ নয়। আবার, তিনি জানান কেন্দ্র থেকে আগত রাজ্যে যে করোনা পরীক্ষার টেস্ট কিট এসেছিল তা খারাপ হওয়ায় টেস্ট বন্ধ রাখতে হয়। এখন প্রশ্ন হল, যেসমস্ত মানুষের শরীরে পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল, সেই সমস্ত মানুষের শরীরে যদি করোনা পজিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস, তার দায় কি নেবেন কেন্দ্র ?
করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে IMA ও API-র যৌথ প্রচেষ্টায় আজ শহরতলির সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে FFP3 মাস্ক , যা N9F -র থেকে অনেক ভালো ও PPE পরীক্ষার কিট তুলে দেওয়া দিলেন। 300 থেকে 350 টির মতো FFP3 মাস্ক ও 20 থেকে 25 টি PPE পরীক্ষার কিট তুলে দিয়েছেন ডাক্তারদের হাতে। আজ সাগরদও হাসপাতাল, আর.জি.কর, এন.আর.এস , মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ, এস.এস.কে.এম, স্কুল.অফ.ট্রফিক্যাল.মেডিসিন, রামকৃষ্ণ মেডিসিন সেবা প্রতিষ্ঠান, কে.পি.সি মেডিক্যাল কলেজে দেওয়া হয় মাস্ক ও পরীক্ষার কিট।
তাছাড়াও আমরা জানি, তিনি শুধু আইএমএ-র রাজ্য সভাপতিই নয় কলকাতা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা। তিনি তাঁর ওয়ার্ডের মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের দিকে যেমন নজর দিয়েছেন, তেমনি যেসমস্ত অসহায় মানুষেরা খাবারের অভাবে অভুক্ত হয়ে আছেন সেইসমস্ত মানুষের কাছে ওয়ার্ডের কর্মীদের নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। বেলঘড়িয়া ঘিঞ্জি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যে একটি মেডিকেল টিম তৈরী করে র্যাপিড টেস্ট করেন এবং তাঁর তত্বাবধানে সম্পূর্ণ অঞ্চলকে স্যানিটাইজা করা হয়। এইভাবেই তিনি মানুষের পাশে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথকে পাথেয় করে চলেছেন।