জাতীয়

সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার এর মুখোমুখি রাষ্ট্রপতির আশীর্বাদ ধন্য স্বপন দত্ত বাউল

কলম ধরার জন্য জীবনে তার কিনা হয়নি শত অত্যাচার, অবিচার, অনাচার সহ্য করেও নীরবে নিশিতে লিখে চলেছে। তার কলমকে স্তব্ধ করতে পারিনি,সারা ভারতবর্ষের বুকে এইরকম সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক আমি আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি।সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার সৎ নির্ভীক ও নিষ্ঠাবান সাহসিক সাংবাদিক।সত্য কথা বলতে তিনি ভয় পায় না। তাই তার জীবনে যত রকম অত্যাচার তার পরিবারের উপরে আজও বয়ে চলেছে।হেদিয়া গ্রাম থেকে উৎখাত করার চেষ্টা বহুদিন ধরে চালিয়ে আসছে এক শ্রেণীর স্বার্থনেশি মাতব্বররা।

স্বপন দত্ত বাউল

বাইরের চেহারা টা দেখে যেমন শিল্পীকে চেনা যায় না প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের কথায়। ঠিক তেমনি একজন মানুষকে ও একজন সাংবাদিক কেও বাইরের চেহারায় তাকে চেনা যায় না ।। বাইরের চেহারার মাঝেও ভিতরে তার বুকে কত জ্বালা সেটা জানতে গেলে, বুঝতে গেলে, খুব সতর্ক ভাবে নিজের সুবুদ্ধি কে কাজে লাগিয়ে মানুষের সঙ্গে গভীর ভাবে না মিশলে কখনোই তার ভিতরের চেহারার স্বরূপ ধরা পড়বে না। আমি আপনাদের স্বপন দত্ত বাউল আমার আরও একটা পরিচয় আমিও একজন সাংবাদিক । আমি একজন সাংবাদিক ও শিল্পী রূপে এমন ই একজন মানুষের সাথে আজ মুখোমুখি হয়েছি যিনি একজন সৎ নিষ্ঠাবান নির্ভিক সাংবাদিক নাম মৃত্যুঞ্জয় সরদার ।। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের হেদিয়া গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় বাবু জন্মস্থান । তার ছেলেবেলা খুব দুক্ষ কষ্টের রঙে মাখা । দারিদ্রতা ছেলেবেলা থেকে আজও পর্যন্ত পিছু ছাড়ে নি । রাজনৈতিক নেতারা পরিবারের উপর অত্যাচার করে উৎখাত করার চেষ্টা করছিল গ্রাম থেকে। মৃত্যুঞ্জয় সরদারের জ্যাঠামশাই দুখিরাম সমাজের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়েছিলেন, তার পরেও অত্যাচার, অবিচার, এবং উৎখাত করার মতন সাহস দেখালেও রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ। সেই থেকেই নিত্য অভাব অনটনের মাঝে খুব কষ্টের মধ্যে জীবন সংসার চালিয়েও তিনি শত বাধা এলেও কখনো লেখা লেখি থেকে লক্ষ্য ভ্রষ্ট হন নি ।।তিনি বিশিষ্ট লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর সামনে তার আশীর্বাদ ধন্য এক হতদরিদ্র লেখক। কিশোর যৌবনে তার বিবেক চেতন মন সবসময়ই প্রতিবাদী হয়ে উঠে ধরেছে কলম । মৃত্যুঞ্জয় এর কথায় বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ রা রাজনীতির জালে জড়িয়ে ছিলেন । রাজনীতি তে বড় নোংরামি , হানাহানি আর খাওয়া খায়ী , কে কত আত্মসাৎ করতে পারে কে কত মেরে মুড়ে লুটে পুটে গুছিয়ে নিতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলে । এই সমাজে এই নোংরা রাজনীতির খেলার প্রতিযোগিতার আঙিনায় তার পরিবারের লোকজনের সাথে একশ্রেণীর অসৎ মানুষ তাদের সংসারে নানাভাবে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে । এইসব মানুষগুলো সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত।তাই ছোট থেকেই সমাজের কাছে নানাভাবে দুক্ষ কষ্ট লাঞ্ছনা গঞ্জনা পেতে হয়েছে এমনকি বিনা দোষে তাকে জেল ও খাটতে হয়েছে সমাজের দুষ্ট চক্রের ফাঁদে তাকে মিথ্যা করে কষ্ট দিয়েছে অসৎ অমানুষের দল ।। এক সময় নুন আনতে যার পান্তা ফুরাত সেই মৃত্যুঞ্জয় অনেক কষ্টে কলকাতায় লেখাপড়া করেন সহৃদয় আইপিএস অজয় রানাডে সাহায্য পেয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছে , এছাড়া তিনি কম্পিউটার ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিপ্লোমা কোর্স করেছেন । শিক্ষিত বেকার হয়েও ভাগ্যে জোটে নি কোনো কর্মযোগে চাকরি, তাই লেখালেখি কেই কর্মযোগে বেছে নিয়ে বহুদিন আগেই ধরেছিলেন প্রতিবাদী কলম হাতে ।দীর্ঘ ১৬ বছর সাংবাদিকতা জীবনের অত্যাচার-অবিচার এবং খুনের পরিকল্পনা থেকে রেহাই পাইনি সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার। ছোট থেকেই বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফ্রীলান্স এ লিখতেন নানা খবর ।সকলেই ছাপ তেন কিন্তূ কিছুই অর্থ উপায় হত না । হটাৎ একদিন বাসন্তী হাই এর উপরে আমঝাড়াতে পুলিশ কে পিষে দিলো একটা লরি বাঘের চামড়া নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ।সেই খবর তৈরি করে মৃত্যুঞ্জয় বাবু অনেক পেপার কে লিখে জানায় তার পর দিনই পেপারের হেডলাইন মৃত্যুঞ্জয় সরদার এর লেখা খবর তার সাংবাদিক জীবনের দরজা খুলে দিলো । মৃত্যুঞ্জয় বাবু বলেন আমাকে সাংবাদিক রূপে চেনানো মানুষের মাঝে এ যেন বন বিবি দেবীর আশির্বাদ । তার পর থেকে পয়সা পেলেও বা কি নাপেলেও শুধু লিখে চলেছেন কখনো খবর ভিত্তিক , আর্টিকেল , সম্পাদকীয় কলমে আমার প্রতিবাদী ভাষার অলংকারের ঝংকারে কলম ধরে নানা বিষয়ে আর্থিক লিপি , দুরন্ত বার্তা , সকাল সকাল ও বহু নামি দামি পত্রিকায় কখনো নিজের নামে আবার সংবাদ দাতা হয়ে ।। সাংবাদিক হিসাবে তিনি একজন সমাজ সচেতনের নিষ্ঠাবান সৎ ব্যাক্তি । সমাজের নানা অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী লেখা লিখে সবসময়ই তাকে জীবনে বেঁচে থাকতে হয় তার চলার পথে স্বার্থে ঘা লাগা মানুষেরা হুমকি দেয়, কেউ আবার প্রাণ নাশের হুমকি দেয় । তবু লেখা থেকে তিনি সরে যান নাই।।ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর্স এসোসিয়েশনের জাতীয় সম্পাদক ও নিউজ সারাদিন পোর্টালের এর সম্পাদক হয়ে সাংবাদিক জীবনে সব সময় মৃত্যুঞ্জয় সরদার সৎ ভাবে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করে সমাজ সচেতনের ভূমিকা নিয়ে চলেছেন। ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের জন্মদাতা তিনি। সাংবাদিক দের সুখ-দুঃখ পাশে রয়েছেন সর্বদায় তিনি।সাংসারিক জীবনে স্ত্রী ও কন্যা এবং বৃদ্ধা পিতা মাতা ও ভাই ও ভাইয়ের সংসার নিয়ে যৌথভাবেই অতি কষ্টে জীবন যাপন করেন । ঘর বাড়ির অবস্থা ভগ্নদশা তবু সরকারি আবাস যোগনায় তিনি আজও নতুন বাড়ি তৈরির সুযোগ পান নাই। অভাব অনটনের মাঝেও তার শারীরিক অসুস্থতা তাকে বড় কষ্ট দেয় । মৃত্যুঞ্জয় বলেন ভাতের জোগাড় করব না ওষুধের জোগাড় করব। আমি অসুস্থ ,আমার বৃদ্ধা পিতা মাতা অসুস্থ সকলের চিকিৎসা ওষুধ জোগাড় করতেই হিম সিম খেতে হয় । এই ভাবেই চলছে একজন লড়াকু প্রতিবাদী সাংবাদিক এর জীবন । সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার আর এক অন্য রূপে তার নিজস্ব প্রতিভায় তিনি চলচিত্রের জগতে অনেক আগে থেকেই টুকি টাকি ছোট খাটো অভিনয় করেছেন ।অনেক ধারাবাহিক এ ছোট ছোট চরিত্রে যেমন সোনার হরিণ, ইন্দুবালা, তে অভিনয় করেছেন এছাড়া তিনি বলেন সিনেমা জগতে বারুদ, রামলক্ষন ,প্রেমী, রাস্তার মতন ছবিতে ডেমি কাজ করেছিলেন, এছাড়া সিনেমা জগতে ফাইটিং শেখা, অভিনয় ও ডিরেকশন এর কাজ শেখা তার খুব প্রিয় ছিলো । টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় ঘুড়ে ঘুড়ে অনেক কিছুই শেখেন ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন । এই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কে পাথেয় করে বর্তমানে তিনি তথ্যচিত্র তৈরি করতে ডিরেকশন দিয়ে কাজ শুরু করেছেন । শীগ্রই সুন্দরবনের মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে তার তথ্যচিত্র মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এবং মৃত্যুঞ্জয় সরদার একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা বলে মানুষের মনের ঘরে স্থান পাবে বলে তিনি আশা বাদী। সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রর পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় সরদার কে তার কলমের খোঁচায় সংবাদপত্রে লেখালেখি তে যতই প্রতিবাদী মনে হোক না কেনো আসলে সাদা মাঠা এই মানুষটি একেবারে মাটির মানুষ। তার সঙ্গে একান্ত ভাবে মিশে তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করলে তার ঘরবাড়ি , আর্থিক অভাব অনটন , শাররীক কষ্ট দেখলে বলতেই হবে বাইরের চেহারাটা দেখে সাংবাদিক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা মৃত্যুঞ্জয় সরদার কে চেনা যায় না। তার বুকে ভিতরের জ্বালা কত কষ্ট বোঝা যায় না।। মুখো মুখী কথোপকথনে এবং তার বাড়িতে ও তার সংসারের সকলের সঙ্গে কয়েকদিন কাটিয়ে আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রসংশিত ও আশির্বাদ ধন্য, মহামান্য রাজ্যপাল এবংমাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসিত ও পুরস্কার প্রাপ্ত স্বপন দত্ত বাউল মৃত্যুঞ্জয় সরদারের সৎ ও নিষ্ঠা ,সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ, ও সমাজ সচেতনের জন্য কলম ধরতে দেখে একটা কথাই বলি প্রতিবাদী মানুষের জন্য যাদের স্বার্থে ঘা লাগবে তারাই সবসময় প্রতিবাদী সৎ মানুষের কর্মকান্ড তে পিছু লাগবে নিন্দা করবে ।। তবে যতই পিছু লাগুক না কেন সত্যের জয় হবেই । সেই আদি অনাদি কাল থেকেই মিথ্যার পরাজয় সবসময় হয়ে আসছে সত্য জয়ী হয়েছে।।

Related Articles

Back to top button