লকডাউন এর মধ্যে মাদক পাচারকারী কে হাতেনাতে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ।
যত দিন যাচ্ছে মাদক জাতীয় দ্রব্য পাচারকারীরা তাদের নিজেদেরকে বেশি বুদ্ধিমান বলে মনে করছে। কখনো গাড়ির চাকার টির মধ্যে ভিতরে ঢুকিয়ে হেরোইন পাচার করছে ,আবার কখনো মাছ কেটে তার পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে হেরোইন পাচার । পুলিশ মনে করলে সবকিছুর হদিস কয়েক সেকেন্ডে পেয়ে যেতে পারে। রাজনীতির স্বার্থে পুলিশকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে দেন না রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ, একথা শোনা যায় বহুকাল আগে থেকেই। তবে সারা বিশ্বে যখন মানুষ মা বাড়ির সঙ্গে লড়াই করছে, তখন চোরাই চালান কারি তারা নিজেদের সুবিধার্থে সবজি ব্যবসা কে কাজে লাগিয়ে হেরোইন গাঁজা মদ এসব পাচার করার সুবিধা নিচ্ছে।তবে এইসব পাচারকারীরা পুলিশের জাল থেকে রেহাই পাবে না এটা চিরন্তন সত্য, তেমনি উদাহরণ মুর্শিদাবাদের জেলাতে।একদিকে লকডাউন, আর একদিকে মানুষের আতঙ্ক। তারমধ্যেই চলছে চোরাচালানের গাজা পাচারকারী কাজ। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায় পুলিশের জালে আটক হয় একটি বলেরো পিকআপভ্যান। উদ্ধার হয় ১৫০ কেজি গাঁজা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি বলেরো পিকআপ ভ্যান কোচবিহার থেকে বহরমপুর সবজি নিয়ে আসছিল। পুলিশের নাকা চেকিং এ আটক করা হয় বলেরো পিকআপ ভ্যানটিকে। সবজির ভিতরে লুকিয়ে রেখে পিকআপ ভ্যানটি নিয়ে আসছিল গাজা। পুলিশ গাড়ি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।একদিকে করোনা আতঙ্কে মানুষ জড়োসড়ো অন্যদিকে পাচারকারীরা অসাধু ব্যবসার সুযোগ নিচ্ছে,তবে তেমনি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার নিজের দায়িত্বে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটার পর একটা মানুষকে যেভাবে সাহায্য করছে ঠিক তেমনি দুষ্কৃতীদের কে সাস্থা করে দিচ্ছে এমনই পরিস্থিতির মধ্যেও। চোরাই ভাবে মাদক পাচারকারী দুজনকে আটক করা হয় , ১) ঝন্টু বিশ্বাস (২২), পিতা রবীন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, ২) সুজন বর্মন (২৭) , পিতা-মৃত তিলেশ ওয়ার বর্মন তিলেসোয়ার,দুজনের বাড়ি কোচবিহার বলে জানা যায়।