নদীয়ার শান্তিপুর শহরের সিপিআইএম শাখাপার্টি অফিসে, শাখা সম্পাদক ও এক সক্রিয় নেতৃত্ব মৃত্যুর হুমকি দিয়ে পোস্টার
বিগত 2000 সালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মতন নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা পার্টি অফিসে থাকতো লালপতাকায় মোড়া। নদীয়া শান্তিপুর শহরে লাইব্রেরীর সামনে মূল পার্টি অফিস থাকলেও জনআধিক্যের ফলে প্রায় প্রত্যেক ওয়ার্ডে গড়ে উঠেছিল একটি-দুটি করে সিপিআইএম শাখা পার্টি অফিস।
তবে সরকারের ক্ষমতা বদলের সাথে এধরনের ওয়ার্ড ভিত্তিক দলীয় কার্যালয়গুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রায় বন্ধ থাকে বললেই চলে বিশেষ কোন অনুষ্ঠান ছাড়া। তবে শান্তিপুর হাসপাতাল সংলগ্ন 4 নম্বর ওয়ার্ড সিপিআইএম শাখা অফিসটি কিন্তু নিয়মিত কর্মীদের মধ্যে আলাপ আলোচনা, আগামীর কর্মসূচি সবটাই আলোচিত হয়।
ঠিক তার সংলগ্ন একটি ফাঁকা জায়গায় একটি জলের কল বসানো হয়েছিলো ওই অঞ্চলের সমস্ত ব্যবসায়ীদের , পথচলতি মানুষের, এবং হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবার বর্গের কথা ভেবে। হাসপাতাল কোয়াটার সংলগ্ন স্থানীয় এবং বহিরাগত কিছু সদস্যদের দ্বারা গঠিত “হ্যাপি ক্লাব” এর কিছু সদস্য গত 11 ই অক্টোবর ওই জলের কলটি তুলে, কিছুটা সামনে বসায় ক্লাব ঘরের জায়গা তৈরি হবে বলে।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সিপিআইএম দলের 4 নম্বর ওয়ার্ড শাখা সম্পাদক বিদ্যুৎ দত্ত। তাৎক্ষণিক শান্তিপুর থানার প্রশাসন এসে বসানো কল পুরনো জায়গাতেই প্রতিস্থাপন করে দিয়ে যান বলে জানা যায় দলীয় সূত্রে।
আজ সকালে পার্টি অফিসের দরজায় হ্যাপি ক্লাবের পক্ষ থেকে পোস্টার পড়ে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব অমল নন্দি এবং শাখা সম্পাদক বিদ্যুৎ দত্তর প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে। এমনকি ওই স্থানে দুজনকে দেখা গেলে খুন করা হবে বলে লেখা থাকে ওই পোস্টারে। গত 11 তারিখের লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী অমল বাবু এবং বিদ্যুৎ বাবুর দাবি গত কালকের ঘটনায়ও হ্যাপি ক্লাবের সদস্য স্থানীয় কৃষ্ণ নাগ, এবং খোকন দাস সরাসরি জড়িত এ ঘটনার সাথে।
আগে দুবার এর মতন গত কালকের ঘটনায় আজ আবারো থানায় অভিযোগ জানাবেন। তবে হ্যাপি ক্লাবের সদস্য কৃষ্ণ নাগ জানান, এটা তৃতীয় কোন ব্যক্তি হ্যাপি ক্লাবের বদনাম করার জন্য এ দুষ্কর্ম করেছে। অন্যদিকে দুই অভিযুক্ত খোকন দাস জানান তিনি সেদিন বা গতকাল দু’দিনই কাপড় বিক্রি করতে হাটে গিয়েছিলেন, ওই ক্লাবের সাথে তিনি কোনভাবেই যুক্ত নন।