২০২১সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কি ২০১৫ সালের মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে
কেন এই শংসয়?
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি আর নিজের দলের কর্মীদের উপর ভরসা করতে পারছে না । এরা সম্পূর্ণভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দলের ভাঙ্গনের উপর ভরসা করে আছে । কবে কোন নেতা এই দলে যোগদান করবে, এই ভরসায় পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে ।
বর্তমানে প্রায় ৮০শতাংশ একনিষ্ঠ কর্মীদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২০ শতাংশকে রাখা হয়েছে যারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে পারে ।বর্তমানে বিজেপির ভাবধারা ও দলের সংবিধানকে অমান্য করে এক রূপান্তরিত বিজেপি সংগঠন পশ্চিমবঙ্গে চলছে ।
সারা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে পরিষ্কার যে এইদলে আর ঐ লোকগুলো নেই যারা অসময়ে, বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থাতেও দলের পতাকার সম্মান রক্ষা করেছিল। কিন্তু আজ আর নেই । এটা পশ্চিমবঙ্গবাসীর নিকট একটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বিষয় ।
পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে পরিষ্কার যে , এই দল এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বি-টিম হয়ে গেছে । এখানে পশ্চিমবঙ্গবাসী প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ভোট দেবে না ।
এরা ভোট দেবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির মুখ দেখে । সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রায় ৭০ শতাংশ লোকসভার ভোট বিভক্ত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, সি পি আই এম এবং কংগ্রেসে চলে যাবে ।
যখন কোন দল স্থানীয় খেলোয়াড় নিয়ে খেলে,তখন স্থানীয় ভাবাবেগ কাজ করে ।কিন্তু যখন ভাড়া করা খেলোয়াড় নিয়ে খেলা হয়,তখন স্থানীয় ভাবাবেগ আর কাজ করে না ।
এইরূপ, পরিবর্তিত বিজেপি দলের ভোটগুলো মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনের মতো আলাদা দলের ঝুলিতে চলে যাবে বলে সংশয় প্রকাশ করছে বিজেপির কিছু নেতৃত্বরা।কারণ বিজেপি কর্মীদেরই আর এই রূপান্তরিত বিজেপি দলের উপর কোন আস্থা থাকবে না ।
সুতরাং, পশ্চিমবঙ্গের রূপান্তরিত বিজেপি দলই আবার ২০২১সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরকার গঠন করতে সাহায্য করবে । এমনই সংশয় প্রকাশ করছে একনিষ্ঠ থমক্ যাওয়া কিছু বিজেপির নেতৃত্বরা।
সামনের ২০২১শেষ বিধানসভা নির্বাচন তবু সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক কর্মসূচীর দামামা বাজবে দীপাবলীর পর,
সে সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর আর, এস, ময়দানে রামনগর বিধানসভা যোগদান মেলা করবে বিজেপি, যেখানে উপস্থিত থাকছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়,
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পঃবঃ রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সাংসদ ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চ্যাটার্জী সহ আরও অন্যান্য নেতৃত্বরা।