শুক্রবার কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিনই রামনগর থানার শ্যামপুজা কমিটির ৬৪তম বর্ষের খুঁটিপুজো অনুষ্ঠিত হল
জেলার প্রতিটি থানায় হয় শ্যামাপূজা। প্রতিবছর ঘটা করে যাঁকজমক করে পূজো হয়, এমনকি কোথাও কোথাও খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ, অন্ন প্রসাদ বিতরন, এবং নানান অনুষ্ঠানও হয়, কিন্তু করোনা বছরে তেমন অনুষ্ঠান না করলেও প্রতিটা থানায় শ্যামাপূজার আয়োজন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার রামনগর থানার উদ্যোগে শ্যামাপুজার আয়োজন শুরু হয় খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে।
আতসবাজী ও মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে ৬৪তম বর্ষের শ্যামাপুজার শুভারম্ভ হয় রামনগর থানায়।
সোশ্যাল দূরত্ব বজায় রেখে, বার বার স্যানিটাইজেশনের মধ্য দিয়ে খুঁটি পূজা সম্পন্ন হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে নারকেল ফাটিয়ে খুঁটি তুলে কালিপুজার মণ্ডপ তৈরির শুভারম্ভ করলেন রামনগর বিধানসভার বিধায়ক অখিল গিরি।
খুঁটি পূজোয় উপস্থিত বিশেষ অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরন করা হয়, এবং উপস্থিত সকল মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক খুঁটি পূজার অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন সভাপতি নিতাই চন্দ্র সার।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির সি. আই. সুজয় কুমার মুখার্জী, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র , রামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুদীপ্ত চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য অশোক বিশাল, বিশিষ্ট সমাজসেবি উত্তম গিরি সহ আরও অন্যান্য ব্যক্তিত্ব গন। পাশাপাশি দীপাবলীর শুভেচ্ছা বার্তা দেন
রামনগর থানার শ্যামা পূজা কমিটি সম্পাদক দীপক সার ।
খুঁটি পূজার উদ্বোধনে এসে বিধায়ক রামনগর থানায় একরাশ উপহার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে তিনি এবছর না পারলেও পরের নতুন বছরে রামনগর থানায় একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
রামনগর থানার উদ্যোগে নানান সমাজসেবার মতো কাজকর্ম হয়। পূজার্চনার সাথে রক্তদান, বস্ত্রদানের মতো মহৎ কাজ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বিধায়ক রাজ্য সরকারি ফান্ড থেকে ২৫০ শীতবস্ত্র,ও শাড়ি থানার উদ্দেশ্যে তুলে দেবেন।,,যাতে পুলিশ আধিকারিকরা সেই বস্ত্র দুঃস্থ মানুষদের হাতে তুলে দিতে পারে।
এবং তালগাছাড়ি শিবমন্দিরের পাশের দোতলা ক্লাব তৈরির জন্য নিজের বিধায়ক ফান্ড থেকে দেড়লক্ষ্য টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এবং প্রতি বছর রামনগর থানার কালীপূজোয় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি করোনা আবহের মধ্যে সামাজিক বিধিনিষেধ মানার কথা ঘোষণা করেন।