খেজুরি তে প্রতিবন্ধী বোবা গৃহবধূকে ধর্ষণ।
, খেজুরি তে প্রতিবন্ধী বোবা গৃহবধূকে ধর্ষণ।
পার্কস্ট্রিট, কামদুনি, ধুপগুড়ি, গাইঘাটা, বালুরঘাট ,তপন, ফালাকাটার কাঁঠাল বাড়ির নবম শ্রেণীর ছাত্রী পর আবার সংযোজন খেজুরির বোগা গ্রামের এক প্রতিবন্ধী গৃহবধূ। ধর্ষণের শিকার হতে হল।
এক লম্পট তৃণমূল থেকে আসা নব্য বিজেপি নেতা শ্যামপুর গ্রামের গণেশ মাইতি এই অপকর্ম করে। এই নিয়ে চলছে আমাদের রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজত্ব।মা-বোনদের উপর ধর্ষণ, খুন, অত্যাচারের এক নির্মম অধ্যায়।
গত ২৮ শে অক্টোবর পুজোর গন্ধ যেতে না যেতেই , এক নিদারুন অত্যাচারের শিকার হতে হল,।বিজেপিতে উঠতি নেতা বাড়িতে একা পাওয়ার সুযোগ নিয়ে দুর্বল মহিলার উপরঝাঁপিয়ে পড়ে । ওই মহিলা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়ে তালপাটি উপকূল থানায় অভিযোগ করেন ।
এলাকার মানুষের চাপে পুলিশ দ্রুত ওই পাষণ্ড কে গ্রেপ্তার করে। গতকাল আদালতে পেশ করেন। কাঁথি মহকুমা আদালতের বিচারক অপরাধী কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ওই মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।কিন্তু খেজুরি তে ওই মহিলার পরিবারের উপর বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর হুমকি, ধমক, ভয় দেখানোর কাজ যথারীতি চলছে।
খবর পাওয়ার সাথে সাথে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি স্থানীয় নেত্রী প্রতিমা মন্ডল, সাগরিকা দোলাই, কল্পনা মন্ডলেরা ধিক্কার জানিয়েছেন এবং নির্যাতিতা অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন গণ আন্দোলনের নেতা হিমাংশু দাস, মৃন্ময় মাইতি, সিদ্ধার্থ দাস, শেখ মহরম প্রমুখ নেতৃত্ব গন। এবং আগামী দিনে এই ঘটনার প্রতিবাদে অপরাধীর বিচার ও যথাযোগ্য শাস্তির দাবি তে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন।
এই ঘটনায় গোটা খেজুরি জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বেএরকম বহু ঘটনা ঘটেছে কিন্তু শাসক দলের হুমকি, ধমকের চাপে মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছিল না। বর্তমানে খেজুরি তে পূর্বের পরিবেশ কাটিয়ে উঠে মানুষ জাগছেন। তাই আর মানুষ চোখ , মুখ বুজে তৃণমূল, বিজেপির অত্যাচার সহ্য করছে না।
মানুষ ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন যাহা তৃণমূল, তারাই বিজেপি। তৃণমূলের নৌকা ডুবছে জেনে বিজেপির নৌকায় লাফ দিয়ে উঠছে। তাই আগে এসব অন্যায় ঘটলেও এখন আর তা চলছেনা। তাই খেজুরীর মা-বোন থেকে সর্বস্তরের মানুষ আজকে রাস্তায় প্রতিবাদে।