রাজ্য

আজকে কোলকাতার সমাবেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রায় ৪৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষক

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মেকি সংখ্যালঘু দরদী মুখোশ অাজ কোলকাতার রাজপথে খুলে পড়ল। পুলিশের নির্মমতার শিকারে পরিণত হলেন রাজ্যের অনুমোদিত অথচ সরকারী অনুদান প্রাপ্ত নয় এমন ২৩৫ টি মাদ্রাসার প্রায় ২৫০০ জনেরও বেশী শিক্ষক /শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ।শান্তিপূর্ন মিছিল রক্তাক্ত হল কোলকাতার প্রেসক্লাবের অনতিদূরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে ১০ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারী অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। প্রথম দফায় ২৩৫ টি মাদ্রাসা কে সরকারী অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এই সব মাদ্রাসা ৯ বছর ধরে সরকারীভাবে অনুমোদন পেলেও অাজ পর্যন্ত শিক্ষক /শিক্ষিকা / শিক্ষাকর্মীগণ কোন ভাতা,অনুদান বা সরকারী কোন রকম সাহায্য পান নি।এই সব ২৩৫ টি মাদ্রাসা সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত অথচ অানএডেড মাদ্রাসা হিসাবে সরকারীভাবে নথিভূক্ত হয়ে অাছে।মাদ্রাসার প্রায় ৪০ হাজার পড়ুয়াদের কপালে মিড-ডে মিল, স্কুল ড্রেস, বইখাতা,সাইকেল ও সরকারী অনুদান ৯ বছর ধরে জোটেনি। শিক্ষক /শিক্ষিকা / শিক্ষাকর্মীদের বেতন বা ভাতা তো দূর অস্ত। ১০ হাজার মাদ্রাসা অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি অাজও অধরা থেকে গেল। সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ শুনতে শুনতে বঞ্চিত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নন্দীগ্রাম – ২ ব্লকের কমলপুর মাজিদ- জাহির ইসলামিয়া হাই মাদ্রাসা, ময়না ব্লকের নইমুদ্দিন সিনিয়ার মাদ্রাসা, অাবদুল মজিদ সিনিয়র মাদ্রাসা ও পাঁশকুড়া ব্লকের গুরুচাকী সিনিয়র মাদ্রাসা এই রকম ৪ টি সরকার অনুমোদিত অথচ অানএডেড মাদ্রাসা রয়েছে। উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক/যুবতীদের সব স্বপ্ন রাজ্য সরকারের সহানুভূতির অভাবে ধূলিসাৎ। অাজকে কোলকাতার সমাবেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রায় ৪৫ জন মাদ্রাসা শিক্ষক / শিক্ষিকা / শিক্ষা কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের নির্মমতার শিকারে অাহত হয়েছেন জেলারই ১০/১২ জন।গুরুতর অাহত হয়েছেন নন্দীগ্রামের মিজানুর রহমান, সেক মনিরুল, ময়নার সেক রাজ প্রমুখ। সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক / শিক্ষিকা / শিক্ষাকর্মীদের উপরে পুলিশের অমানুষিক নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অানএডেড মাদ্রাসা সমূহ কে সরকারী অনুদান প্রদান সহ পড়ুয়া ও শিক্ষক/শিক্ষিকা / শিক্ষাকর্মীদের বেতন ও ভাতা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন রাজ্য সরকারের মেকী সংখ্যালঘু দরদী মুখোশ অাজ খুলে পড়েছে। সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া মানুষের বঞ্চনা র হিসাবনিকাশ মানুষ ঠিকই বুঝে নেবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।

Related Articles

Back to top button