ওঁ জয়ন্তী মঙ্গলাকালী,ভদ্রকালি কপালিনী। বাংলার মা দুর্গার এখানে অন্য রূপ !
উল্টোডাঙা সোচ্চার পত্রিকার সদস্যদের সাথে শিশির ভেজা শহুরে শরৎকাল ছেড়ে ফ্রেজারগঞ্জ পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শেষতম অংশ মৌসুনি দ্বীপে অচেনা এক শারদীয় শরতকে ছুঁয়ে এলাম। কাছেই বালিয়াড়া সৈকত, যেখান থেকে দৃশ্য পশ্চিমবঙ্গের শেষতম বিন্দু জম্বুদ্বীপ।
নেই কাশফুল বা শিউলির গন্ধ, নেই রাশি রাশি প্যাণ্ডেল আর পুজোর থীমের লড়াই, নেই নতুন নতুন ফ্যাশনদুরস্ত জামাকাপড়ের বৈভব।
এখানে ত্রিনয়নী দুর্গা মা কে রক্তে-মাংসে গড়া দুগ্গা রূপে দেখলাম, তারা সংখ্যায় অনেক! তারা পায়ে কাদা মেখে, খাওয়া-পরার লড়াই করে, ইস্কুলের পাঠ শেষ করে যখন দু হাত প্রসারিত করে মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে সামান্য একটি নতুন জামা নেবার জন্য সামনে এসে দাঁড়ালো, মনে হল, আমার মাতৃআরাধনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান সমাপ্ত হল।আমার চেনা শারদীয় পরিবেশ ছাড়িয়ে বঙ্গপোসাগরের তীরে এই শান্ত বালিয়াড়ির সীমানায় এসে অনেক অনেক দূর্গার মনমোহিনী রূপ চাক্ষুষ করলাম। আমার এবছরের সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা দেখা সাঙ্গ হল।(গত বছরের ফাইল চিত্র)