জেলা

টিউবওয়েল থেকে বের হচ্ছে গ্যাস! আর সেই গ‍্যাস থেকে রান্না? আজব ঘঠনা হলদিয়ার সুতাহাটাতে

এযেন একেবারে আজব ঘটনা। গ্রামের মানুষজনের সুবিধার্থে গত দু’মাস আগে তৈরি হয়েছে একটি নতুন সাবমার্শিবাল টিউবওয়েল। আর সেই টিউবওয়েল থেকে নাকি বের হচ্ছে গ্যাস। আর সেই গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে হচ্ছে রান্নাবান্না। এমনই আজব ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটার খড়িবেড়িয়া গ্রামে। গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ইতিমধ্যে ওই গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে চলছে রান্না। তবে যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষজন। 

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা প্রত্যন্ত গ্রাম খড়িবেড়িয়া। যেখানে দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আর সেই সমস্যা মেটানোর জন্য হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাছে পানীয় জলের কলের জন্য আবেদন জানিয়েছিল স্থানীয় মানুষজন। স্থানীয় মানুষজনের আবেদনে সাড়া দিয়ে গ্রামে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে বসানো হয়েছে একটি পানীয় জলের সাবমার্শিবল কল প্রায় ১০০০ ফুট গভীর। গত দু’মাস আগে সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই কল থেকে জলের পাশাপাশি উপরি পাওনা হিসেবে মিলছে রান্না করার গ্যাস। গত দু’মাস আগে টিউবওয়েল তৈরীর কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই কলের গোড়া থেকে বের হচ্ছে এক ধরনের গ্যাস। যেখানে দেশলাই কাঠি দিয়ে আগুন ধরালে দেদার আগুন জ্বলছে। প্রথমে স্থানীয় মানুষজন সন্দেহ করেছিলেন নতুন কলের জন্য হয়তো এমন ধরনের ঘটনা ঘটছে পরে হয়ত তা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেই পর আজ প্রায় দু’মাস হতে চললো। কিন্তু কলের গড়া থেকে বের হওয়া গ্যাস দিয়ে দেদার জ্বলছে আগুন। যাকে বুদ্ধি করে গ্রামের মানুষ পাইপ এর মাধ্যম এ সদ্ব্যবহার করতে ছাড়েননি স্থানীয় মানুষজন। একেবারে পাইপ লাগিয়ে গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে চলছে রান্নাবান্না। ভাত মাছ তরকারি। টিউবওয়েলের কল থেকে এভাবে নিষ্কাশিত গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে রান্নার ঘটনায় হতবাক সকলে। ইতিমধ্যে স্থানীয় থানায় এই ঘটনার খবর জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। তবে এখন রান্নার সুবিধা মিললেও যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। গ্রামের বাসিন্দা শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, ” সাবমার্ষিবাল কল হওয়ার প্রথম থেকে এভাবে গ্যাস বের হতে দেখছি।  প্রথমে ভেবেছিলাম নতুন কলের জন্য এভাবে গ্যাস বের হচ্ছে। কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন গ্যাস বেরো হওয়াতে আমরা তার রান্নার কাজে লাগাচ্ছি।”সরকারি ভাবে পরীক্ষা করে যদি সত্যি গেস পাওয়া যায় তাহলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানচিত্রে অর্থনৈতিক বিষয় টি গুরুত্ব বাড়বে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button