কেনাকাটার ভিড় হচ্ছে তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
প্রদীপ কুমার মাইতি ঃ পূর্ব মেদিনীপুর ঃ দুর্গা পুজোর আগে যেভাবে কেনাকাটার ভিড় হচ্ছে তাতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। তাই এই সময় করোনা সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে নামার কথা বলেছিল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে অভিযান দূরে অস্ত, পুজোর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলে হয়েছে লাগামছাড়া। এ পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ১২ হাজার ২৭২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ দিন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন কাঁথি শহরের জনপ্রিয় দন্ত চিকিৎসক অমরেন্দ্রনাথ সর। কিন্তু এর পরেও কাঁথিতে কাপড় এবং জুতোর দোকানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় উপচে পড়েছে। অধিকাংশ গ্রাহকের মুখে দেখা মিলছে না মাস্কের। কাঁথি-১, দেশপ্রান, রামনগর-১, ২, খেজুরি-১, ২ ব্লকে এ ছবি একেবারে চেনা হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ফেসবুকের মত জনপ্রিয় সমাজ মাধ্যমে দেওয়াল লিখছেন বহু প্রশাসনিক আধিকারিক। কিন্তু মাঠে নেমে প্রচার শূন্যই। রামনগর-১ ব্লকের বিডিও বিষ্ণুপদ রায় বলেন, “বেশ কিছু এলাকায় সাধারণ মানুষ একেবারেই মাস্ক ব্যবহার করতে চাইছেন না। তাই তাঁরা যাতে কিছুটা সচেতন হন, তার জন্য মাস্ক ব্যবহারে প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করছি।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল অবশ্য বলছেন, “সাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেই মাস্ক সংগ্রহ করে জনসমক্ষে তা পরতে হবে। সর্বোপরি মানুষকে সচেতনও হতে হবে।” কিন্তু পুজোর মরসুমে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য বারবার সাধারণ মানুষকে বার্তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে পুলিশি শাস্তির নিয়ম। তা সত্বেও মাস্ক ব্যবহার নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে জানতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অরবিন্দ কুমার আনন্দকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।