পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বেঁউদিয়া মিলন তীর্থের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ
ভগবানপুরের বেঁউদিয়া মিলন তীর্থ সংঘের দুর্গোৎসব ১৭ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাঁদের উদ্যোগে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিতরন করা হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে মন্ডপের বাইরে ব্যারিকেট করে।
যাতে কোনো দর্শনার্থী মন্ডপের মধ্যে ভিড় জমাতে না পারে, সেদিকে নজর রেখে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে বেঁউদিয়া মিলন তীর্থ সংঘ। তাঁরা এবছর মন্ডপের থিম হিসেবে চল্লিশ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ তৈরি করে তাক লাগিয়েছে ভগবানপুরবাসীর কাছে।
এই ক্লাবে প্রতি বছর নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ দুঃস্থদের বস্ত্র দানের ব্যবস্থা থাকে,যেখানে প্রতি বছর খরচের বাজেট প্রায় ১২ লক্ষ্যের ওপর থাকে, কিন্তু এবছর ২০২০ তে করোনা মহামারীর প্রকোপের ফলে বাজেট তিন লক্ষ্যের মধ্যে রেখে দুর্গা পূজার ব্যবস্থা করে ।যাঁর মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০০০ মাক্স সহ স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। ক্লাবের সদস্যরা প্রতিমা দর্শনার্থীদের হাতে মাক্স তুলে দেয়। অচেতন কিছু মাস্কহীন দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিয়ে তাঁদের সচেতন করেন মিলন তীর্থের সভাপতি অমর ভট্টাচার্য।
এবং ক্লাবের সদস্য অভিমন্যু দাস বলেন আমরা প্রতিটা প্রতিমা দর্শনার্থীদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দিচ্ছি, প্রত্যেকের হাত স্যানিটাইজ করিয়ে ব্যারিকেডের বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন করার সুযোগ করে দিয়েছি। তবে এবছর কোভিড সংক্রমণের ফলে প্রায় পূজো মণ্ডপ ফাঁকা দেখা যাচ্ছে, দুর থেকে প্রতিমা দর্শন করে ফিরে যাচ্ছে দর্শনার্থীরা।
এবং অষ্টমীর মহাপুজোতে যাতে ভিড় করে কেউ পূজো দিতে না পারে সে ক্ষেত্রে মিলন তীর্থ মহিলাদের জন্য মন্ডপের বাইরে ফাঁকা মাঠে পাঁচজন পাঁচজন করে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করে, এবং প্রত্যেককেই গোটা ফল পুজো দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় মাস্ক বিতরন, চলবে দশমী পর্যন্ত।