নিউজ সারাদিনের সম্পাদকের বাড়ি সহ অফিস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত, কয়েকদিন সংবাদ পরিবেশনা বন্ধ থাকবে।
দুই ২৪ পরগনার বিশেষ করে সুন্দরবন এরিয়াতে সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে। সমস্ত ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে গেছে।বিদ্যুৎ রাস্তাঘাট, পানীয় জল সবকিছু তছনছ হয়ে গিয়েছে।এখনো পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে সরকারিভাবে! একদিকে লকডাউন ফলে মানুষ অনাহারে জীবন যাপন করছিল’আর ঘূর্ণিঝড়ে পুরো শেষ করে দিয়ে চলে গেল বাংলার বেশ কয়েকটি জেলা!এক হাত থেকে রেহাই পায়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নিউজ সারাদিনের অফিস সহ এডিটরের বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।নিউজ সারাদিনের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার পরিবারের লোকজনদের ভীষণভাবে থাকার অসুবিধা হয়ে গেছে।পন্ডিত তাণ্ডবে রাত জেগে কোনরকম জীবনযাপন করছে সম্পাদকের পরিবারের লোকজন। অ্যাম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে নিউজ সারাদিনের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, যান্ত্রিক ও ক্ষয়ক্ষতির জেরে অসুবিধার মধ্যে রয়ে গেছে নিউজ সারাদিনের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নিউজ সারাদিনের খবর আপডেট আজকের রাতের পর থেকে হয়তো কিছুদিন বন্ধ থাকতে পারে। পাঠক-পাঠিকাদের কাছ থেকে নিউজ সারাদিনের সম্পাদক এই অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। অন্যদিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা শেষ হয়ে গিয়েছে। দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর সহ একাধিক অংশে কার্যত ধ্বংসলীলা চলেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, অন্তত ১০-১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সব ব্রিজ বন্ধ। ইলেকট্রিসিটি পুরো শেষ, জলের সংযোগ শেষ। কৃষি ক্ষেত্র সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত।’খারাপ পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে তিনটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রথমটা হল করোনা, দ্বিতীয়টা হল পরিযায়ী শ্রমিক ও তৃতীয় এই আমফান। এতটা ক্ষতি হবে, এমনটা আশা করেননি বলে দাবি করেম মুখ্যমন্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিকদের কোথায়, কিভাবে রাখবেন সেই উদ্বেগের কথাও প্রকাশ করেন মমতা।