আপনিও সাংবাদিক

মহকুমা হাসপাতাল কোমায় আচ্ছন্ন

প্রদীপ কুমার মাইতি

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে কাঁথি (দারুয়া) মহকুমা হাসপাতাল কোমায় অাচ্ছন্ন। চিকিৎসা পরিষেবা বেহাল।করোনা এবং সাধারণ রোগী দের একসঙ্গে চিকিৎসার প্রেক্ষাপটে নার্স,কর্মী,চিকিৎসক দের অনেকেই করোনা সংক্রমণের শিকার।রোগী, অাত্মীয়স্বজন, হাসপাতালে অাসা সাধারণ মানুষের কোভিড সংক্রমণ এড়ানোর কোন পথ নেই। হাসপাতালে অাইসিইউ নেই।

নাকের বদলে নরুনের মত সঙ্কটাপন্ন রোগীর ভরসা এইচডিইউ। হাসপাতালের পরিকাঠামো বেহাল। অাবর্জনা ও জঞ্জাল স্তূপীকৃত অবস্থায় হাসপাতালে র চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। পর্যাপ্ত ডাক্তার, কর্মী, নার্সের অভাবে হাসপাতাল ধুঁকছে।

মেডিক্যাল কলেজ স্হাপন তো দূরের কথা নুন্যতম অাধুনিক চিকিৎসা অমিল।অবস্থা এমন বেহাল যে হাসপাতাল সুপার সরকারী নোটিশ দিয়ে দারুয়াতে বিশেষজ্ঞ অাউটডোর পরিষেবা ২২- ৩১ অক্টোবর বন্ধ থাকার কথা বলে দিয়েছেন। এমন কি শিশু ও মাতৃ বিভাগের অাউটডোর পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।

রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর পুজো মরশুমে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করার ঘোষণা করেছেন। ডাক্তার, নার্স ও কর্মীর অভাবে যেখানে অাউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, তখন কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা তো দুষ্কর মাত্র। গোঁজামিল দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা অার কতদিন চলবে।

সিপিঅাইএম নেতা তথা প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিকর্তা কে ই-মেইল পাঠিয়ে অবিলম্বে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স,স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ সুনিশ্চিত করে অাউটডোর পরিষেবা ও কোভিড চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন। সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন বলেন রাজ্য সরকার জঙ্গলমহল ও পাহাড়ে ভোটের রাজনীতির জন্য অাগুন নিয়ে খেলছেন।

খেলা,মেলা,মোচ্ছব, ক্লাব অনুদান, দানখয়রাত করতেই ব্যস্ত।মানুষ বাঁচলেই ভোটের রাজনীতি হবে – এই সরল সত্য বিস্মৃত হয়েছেন।হাসপাতালে রোগী র চিকিৎসা পরিষেবা উপেক্ষিত।হাসপাতালেরই চিকিৎসা অাশু জরুরী বলে অভিমত প্রকাশ করেন সিপিঅাইএম নেতা মামুদ হোসেন।

Related Articles

Back to top button