আত্মাশুদ্ধি

জানা-অজানা

স্বামী সবর্সুখানন্দ

জন্মের পর কেউ কিছুই জেনে আসে না সংসারে।
সম্বন্ধ-পরিচয় হয় ধীরে ধীরে,নিজের-ই ব্যবহারে।।

পরিবার সমাজ স্কুল-কলেজ থেকেই,যা হয় জানা।
এর বাইরে ও অনেক কিছুই থেকে যায় অজানা।।

বয়সের সঙ্গে জানতে থাকে সংসার
কিভাবে চালাতে হয়।
কেবল অর্থোপার্জন আর সঞ্চয়,
ভবিষ্যতের সুখ,অন্য কিছু নয়।

যে যেভাবে বড় হয়েছে গ্রামে বা শহরে,
সে ততটুকু শিখেছে জেনেছে।
আসক্তি আর ভোগ শিখেছে ইহলোকে,
কারণ তারা ভোগীদের সঙ্গে মিশেছে।

“কোহম্”আমি কে?নিজেকে কখনো প্রশ্ন ক’রে নাই।
স্ত্রী-পুরুষ,নাম-রূপ,সেই নিয়ে বাঁচে ,জানে সবাই।।

পরলোক বা আত্মার স্বরূপ,থেকে যায় অজানা ‌।
বাবা মা-ই,জানেনা,কে জানাবে,চোখ থেকেও কানা।

জন্ম হয়েছে সবার,কিন্তু জানে না জন্মের উদ্দেশ্য।
অর্থ মান যশের জীবন,অজানা জন্ম মৃত্যুর রহস্য।।

সামান্য সাংসারিক ব্যবহারিক জ্ঞানে, থাকে ভয়।
আধ্যাত্মিক-তত্ত্বজ্ঞানেই,কেবল হতে পারে নির্ভয়।।

ক্ষুদ্র জীবনে সব যায় না জানা, শেষ নেই জানার।
জানতে গেলে,পথ চলতে হবে,রাস্তা নেই থামার।।

হ’লে শরণাগত বিনম্র,সরলতায় তাঁকে যায় জানা।
তাঁকে জানা হ’লে, আর কিছুই থাকে না অজানা।।

তত্ত্বদর্শীগণে করি প্রণিপাত, সন্তুষ্ট করলে সেবায়।
জিজ্ঞাসু হয়ে প্রশ্ন করলে,গুরু বলে দেন সে উপায়।।

হরি ওঁ তৎ সৎ।(১৫/১০/২০২০)

Related Articles

Back to top button