মতামত

মানুষের ঊর্ধ্বে রাজনীতি নয়, মহামারী দিনে মানবিক হওয়া উচিত।

:মৃত্যুঞ্জয় সরদার:

ধ্বংসের পেছনে সৃষ্টির ইতিহাস লুকিয়ে আছে প্রাচীন কাল থেকে,যুদ্ধ-বিগ্রহ হানাহানি খুনোখুনি মারামারি সবকিছুর শেষ অধ্যায় শান্তি। সর্বোদয় মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে চাই।শান্ত মনে শান্তিতে থাকার মত তেমন কোনো পরিস্থিতি আজ আর নেই।করোনাভাইরাস মানুষকে নতুন করে সৃষ্টির অধ্যায় দেখিয়ে দিয়ে গেছে, নতুন করে বাঁচার ইচ্ছা আরো প্রবল  দৃঢ়তা করে যাচ্ছে মানুষকে,শুধু জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সামিল হয়েছে বিশ্বজুড়ে মানুষ।একাকী একঘেয়েমি জীবনটা সবার থেকে কেমন যেন, একটু দূরে সরে যাচ্ছিল। বউ-বাচ্চা বাবা-মা পরিবারের সবার সঙ্গে   সময় দেওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। কর্মজীবনের সবাই যেন খুব ব্যস্ততা কেউ কাউকে মান্যতা দিত না । ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিনে আমরা সম্মুখীন হয়েছি, এক অজানা শক্তি মানুষকে যেন কেমন পরাস্ত করে দিচ্ছে।কভিড ১৯  এসে বিশ্বজুড়ে মানুষকে যেন ঘরবন্দি করে দিয়েছে, মানুষ মানুষের জন্য নয়, তেমনি প্রমাণ করিয়ে দিয়েছে।একদিকে কভিড ১৯  হাত থেকে রেহাই পাওয়ার আতঙ্ক  অন্যদিকে লকডাউন  মধ্যে পড়ে মানুষ যেন ব্যতিব্যস্ত পরিবার সবার  সাথে থাকতে থাকতে দিশাহীন হয়ে যাচ্ছে, সময় কাটানোর পরিস্থিতি নেই এই মুহূর্তে।ঘর বন্দী থাকতে থাকতে সবার যেন কেমন একটা  অসহায় মনে হচ্ছে, তবে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই বাধ্য হচ্ছে সব কিছু মেনে নিতে।একদিকে রুটি রোজগার নেই অন্যদিকে ঘরের বাইরে বেরোনোর তেমনি কোনো পরিস্থিতি ও নেই।এভাবে থাকতে থাকতে বহু মানুষ মানসিক রোগগ্রস্ত হয়ে পড়বে, অনেকেই আত্মহত্যা করবে, সব থেকে বেশি অনাহারে মরে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে উঠছে।সমাজের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি আছে যারা পাঁচ কেজি চাল ,দুই কেজি আলু, এক  কেজি তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একশ্রেণীর মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের দেওয়ার মতো কেউ নেই, বেশিরভাগ মানুষ তাদের অভাব যেন ধীরগতিতে এগিয়ে আসছে। এদের জন্য বেঁচে থাকার অধিকার টুকু হারিয়ে ফেলেছে। যতদিন এগিয়ে আসে সঞ্চয় করা টাকা থেকে ভাঙিয়ে খেতে খেতে সমস্ত অর্থ শেষের দিকে। শেষ হচ্ছে ব্যাংকের জমানো সমস্ত অর্থ,আর সে কারণে দেশের অর্থনীতি আরো বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। তাহলে এদের শেষ পরিণতি আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে ।এসব কথা ভাবার কে আছে এই যুগে।অনাহারে মারা যাবার পরিস্থিতিটা ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ংকরতম ভাবে এগিয়ে আসছে। আর সেই কারনে একটা রাত শেষ হতে না হতেই, মানুষের মধ্যে গভীর চিন্তায় চিন্তিত হয়ে পড়ছে। অর্থ সংকটের হবে মানুষের মৃত্যু অনিবার্য।তেমনই কিছু কারণ উল্লেখ করেছে এক সমীক্ষার রিপোর্ট। গৃষ্ম কাল এর এই গরমে আর লকডাউন এর ফলে অর্থ অভাবে অনেকে চিন্তা করতে করতে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে। দেশের সমস্ত পরিস্থিতি আজ তেমনই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, সমীক্ষা রিপোর্টে এ কথা বলা হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্তরা সবথেকে বেশি বিপদগ্রস্ত।এমনই পরিস্থিতিতেই সত্যি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে সহানুভূতির দেখাবে।এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দেওয়ার মতো কেবা আছে।তবেই দেশের অর্থনৈতিক কেমন  বিশবাঁও জলে  তলিয়ে গেছে।একদিকে পৃথিবী তে মৃত্যুর রব, আর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মানুষ শুধু রাজনীতি করতে ব্যস্ত।তেমনই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে মানুষের ঊর্ধ্বে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়। এখন যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে অজানা শক্তির সাথে মানুষ যেন যুদ্ধ করছে। এই সময়ে সমস্ত মানুষকে মানবিক হওয়া উচিত, তা না হলে মানুষ আরো ধ্বংসের মুখে পড়ে যাবে।তেমনি পরিস্থিতি বাংলা গ্রাম গঞ্জে শহরে সর্বত। বাংলার গ্রাম থেকে শহরে কেমন যেনো নিস্তব্ধতা, রাস্তাঘাটে জনহীন শূন্য। একা একা রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় গা ছমছম করছে ।মনের ভিতর কি যেনো আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে, কোন কিছুতেই মন কে বোদ দিতে পারছি না। একা চলার যে অনুভূতি টা আমি পেয়েছি সে কথাটি না লিখলে এই লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। নির্জন নিরালায় রাস্তাঘাটে কুকুর বিড়াল আর পাখি ছাড়া তেমন কোন সাধারণ মানুষের দেখা নেই । কিছুটা জাওয়ার পরে মনের ভেতরে যেন ভয় করছে ।কোন এক অজানা শক্তি যেন আমাকে আক্রমণ করতে পারে, বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে কলকাতার দিকে রওনা হয়েচি। গ্রাম থেকে শহরের দিকে যত একটু একটু করে বাইকটা নিয়ে এগিয়ে চলেছি চারিদিক ঝাঁ ঝাঁ  করছে রোদ্দুর, দোকানপাট সব বন্ধ,  রাস্তায় মাঝেমধ্যে একটা-দুটো পুলিশের গাড়ি ছাড়া কেউ নেই, মনে হচ্ছে যেন পৃথিবী জনশূন্য হয়ে পড়েছে।রাস্তার মোড়ে মোড়ে  পুলিশ যেন অবাক ভাবে আমাকে দেখছে, আর কিছু ভাবছে কিন্তু তো ওদের কিছু বলার নেই, আমি যে বাইকটা চলে যাচ্ছি তার সামনে তো প্রেস শব্দটি লেখা আছে।আজ যেন মনে হচ্ছে সাংবাদিকদের পূর্ণ সম্মানটুকু রয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার কাছে। গ্রাম্য রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে তেমনি ভাবে সাংবাদিকদের সম্মানটা কোনদিন পাইনি ,কিন্তু কলকাতার বুকে আজ যেন আমাকে সবাই স্যালুট করছে।করোনাভাইরাস এসেছেন আজ সাংবাদিকদের কে সম্মান দিতে শিখিয়ে গেছে ,এই বাংলার পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদেরকেও। তবে করোনা যুদ্ধের প্রচার এর মূল সৈনিক সাংবাদিকরা, সে ছোট হোক, আর বড় হোক, তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই,না কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার । আজকের দিনের পড়ও সাংবাদিক পরিবারের জন্য তেমন ভাবে কেউ ভাবি নি। এদিকে করোনাভাইরাস এর কবলে পড়ে অনেক সাংবাদিক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অনেকেই, কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে। তবুও সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব পালনে পিছপা হচ্ছে না সাংবাদিকরা। এরপরেও বিশ্বে জুড়ে এই কঠোর পরিস্থিতির মধ্যেও রাজনীতির মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সর্ব সময় বাংলায় বিরোধীর রাজনীতি রাজনৈতিক বাতাবরণ দেখতে পাওয়া যায়, মানুষ যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তখনও  রাজনীতিতে ব্যস্ত কেন এই বাংলার নেতা-নেত্রীরা। বাংলার চিরাচরিত ইতিহাসে নোংরা রাজনীতি, নিজেদের পিঠ বাঁচাতে একই নেতা বারবার দল পরিবর্তন করে।এরা কোনদিন বাংলার মানুষের ভালো চায় না,,রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রমাণ গ্রাম বাংলার রাজনীতিতে তার উদাহরণ।একে অপরের দোষ চাপিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ফেলে রেখে নিজেরা ফায়দা লোটে , এটাই রাজনৈতিক নেতাদের কৌশল এই বাংলা তে।একটু ভয়াবহ দুর্যোগ এবং মহামারীর কঠিন পরিস্থিতি হলে গ্রাম বাংলার এক শ্রেণীর নেতাদের হাত পায়ে কে।তখন নিজেদের পেট ভরাতে যত অর্থ আসে সরকারি ভাবে, সেই অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করে এমনই অভিযোগ ভরি ভরি এই বাংলাতে।আজ যেসব মানুষগুলো সত্যিকারে প্রাপ্য তাদেরকে ছিটেফোঁটা দিয়ে, নিজেরাই গাড়ি,বাড়ি করে নিয়ে ,বাহাদুরি দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসি গাড়ি করে। এমনি মহামান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দেশের একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী, গ্রাম্য রাজনীতির ধারক-বাহক , এদের শেষ বিচারের দেশের মানুষ আজ নির্বাক। এদের হেলানিতে চলে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এমনই তথ্য ফুটে উঠছে এই বাংলাতেই, মহামারীর দিনেও বাংলার রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠেছে। এই বাংলায় যত যাচ্ছে ততই তথ্য গোপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমনই অভিযোগ ভুরি ভুরি আসছে। এই সময় রাজনীতি করছেন তিনি। মালদহ জেলায় পর্যাপ্ত কিটস থাকলেও পরীক্ষা করা হচ্ছে না রোগীদের। রাজ্য এবং জেলায় কত মানুষ করোনা আক্রান্ত সেই তথ্যও লুকাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মঙলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ তুললেন উত্তর মালদহ কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।তবেই
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে কোরোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ১১০  । মৃতের সংখ্যা ছিল ৭ । পাশাপাশি ২৭৯৩  জনের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে । এদিকে গতকাল কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, রাজ্যে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫২ জন । এরপরই ফের কেন্দ্র ও রাজ্যের কোরোনা পরিসংখ্যান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় । বিরোধীদের একাংশ অবশ্য কেন্দ্রের তথ্যকেই মান্যতা দিচ্ছে । তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের নিজেদের মধ্যেই বিভ্রান্তি রয়েছে । আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা স্পষ্ট করতে চাইছে না সরকার । দিন দুয়েক আগেও রাজ্যের তরফে কোরানা আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়েছিল  ৮৯ । অন্যদিকে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছিল ১১৬। প্রতিবার তথ্য প্রকাশের এই ফারাক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের চিকিৎসদের বিশেষজ্ঞ দল ও স্বাস্থ্য দপ্তরের অ্যানালিসিস সেল নিয়ে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে একটি COVID-19 ডেটা অ্যানালিসিস সেল গঠন করা হয়েছে । এই সেলে কমিউনিটি মেডিসিন,এন্ডোক্রিনোলজি, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক সহ মোট ন’জন সদস্য রয়েছেন । কিন্তু তথ্যে এই ফারাকের পর প্রশ্ন উঠেছে এই সেলের ভূমিকা নিয়ে । বিরোধীদের একাংশ বলছে তাহলে কি সঠিক ডাটা অ্যানালিসিস করছে না এই সেল ।দিন কয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ছ’জন নয় রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল । প্রশ্ন উঠেছিল, একের পর এক হাসপাতালের তরফে যখন ছজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল, তখন মমতা বলছেন, মাত্র তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশেষজ্ঞ দলের তরফেও একই দিনে দুটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল । যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল ।চিকিৎসক সংগঠনের একাংশ থেকে বিরোধী সকলেই রাজ্য ও কেন্দ্রের এই তথ্যগত ফারাক নিয়ে সরব হয়েছে । তাদের কথায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কোথাও যেন সঠিক বার্তা পাচ্ছে না মানুষজন । বারবার বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে । এর একটি স্থায়ী ও সঠিক সমাধান করা উচিত রাজ্য সরকারের ।সেই লক্ষ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন  , কলকাতা পুরসভার সব কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি–‌বাড়িতে গিয়ে কেউ অসুস্থ কি না তা দেখতে হবে। বিশেষ করে বস্তি এলাকায় যে–‌সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার কর্মীরা কাজ করেন, তঁারাও যুক্ত হবেন। শুধু সর্দি, কাশি, জ্বর এবং করোনার উপসর্গ দেখা গেলেই নয়, যে–‌কোনও অসুস্থ মানুষের সম্পর্কে খেঁাজখবর রাখতে হবে। অসুখের বিস্তারিত তথ্যের সঙ্গে অসুস্থ ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নিয়ে রাখতে হবে। এই সব তথ্য–‌সংবলিত নথি দিতে হবে ওয়ার্ডের ডেপুটি ম্যানেজারকে। তঁারা বরোর ম্যানেজারকে দেবেন এই নথি। বরো ম্যানেজার ফোনে অসুস্থদের অবস্থা সম্পর্কে খেঁাজখবর নেবেন। প্রয়োজনে তঁারা পুরসভার চিকিৎসকদের দেখানোর ব্যবস্থা করবেন। সম্ভব হলে বাড়িতেই চিকিৎসা করা হবে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলে পুরসভাই অ্যাম্বুল্যান্সে করে সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে দেবে। এই ব্যবস্থা রাজ্যের সব পুরসভাতেই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

Related Articles

Back to top button