বিদ্যুৎ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সুন্দরবন বাসিরা
ইচ্ছাকৃত হয়রানি করছে বিদ্যুৎ দপ্তর অভিযোগ সুন্দরবনের বাসন্তী আমঝাড়া হেদিয়া ও সহ বিভিন্ন গ্রামে বাসিন্দাদের।সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে জানিয়েছিল একটি ট্রান্সফরমার বিদ্যুৎ সংযোগ করবে বিকাল পাঁচটার মধ্যে। কিন্তু কাজে আর কথায় সম্পূর্ণ অন্যরকম দেখা গেল। ক্যানিং ডিভিশন ম্যানেজার বারবার একটার পর একটা অজুহাত দিয়ে কাজগুলোকে স্তব্ধ করে রেখেছে।কখনো বলছে কাজ চলছে, কখনো বলছে দু একদিন টাইম দিন ,আবার কখনো বলছে করোনা হয়েছে তাই এলাকায় কাজ করতে যাচ্ছে না ।আবার বলেছিলেন যে বিকেল পাঁচটার মধ্যে হেদিয়াতে বিদ্যুৎ দিয়ে দেয়া হবে। একটার পর একটা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মানুষকে হয়রানি করাচ্ছে তেমনি অভিযোগ হেদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের। সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদারের বিদ্যুৎ দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে ফোন করতে তিনি বলে সবার বাবা মা অসুস্থ, তাতে কি করা যাবে । সাংবাদিক বলে আলাদা প্রাধান্য দিতে পারব না কাউকে।দীর্ঘ ১৫ দিন হয়ে গেল আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে এইসব এলাকায় আজও পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য দফায় দফায় বিভিন্নভাবে পথ অবরোধ হয়েছিল ।তবে ডিভিশন ম্যানেজার ক্যানিং হেদিয়া ছয়টি পোল ভাঙ্গা আছে বলে জানিয়েছে হাইটেনশন লাইনের।গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ তালদা হেদিয়া রাস মাঠের নতুন ট্রান্সফর্মার কাছে কোন পোল ভাঙ্গা নেই, ভিতরের দিকে হাইটেনশন লাইনের পোল ভাগ আছে। এই লাইনটা সম্পূর্ণ ঠিক আছে।তাহলে এই লাইনটি কেন তাহলে বিদ্যুৎ দিচ্ছে বা। যে লাইনগুলো পোল ভেঙে আছে সেগুলো পরে দেবে, ভালো লাইনগুলোর বিদ্যুৎ এখন দিয়ে দেওয়া উচিত । তবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? সেই কারণে সুন্দরবনের যেসব এলাকায় আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, রাগে ,ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষরা । আগামী দিনে শাসকদলের বিরুদ্ধে এইসব ভোটাররা চলে যেতে বাধ্য করছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেছে আজও সুন্দরবনের প্রায় অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা স্পষ্ট স্বীকার করেছে যে সুন্দরবনের অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ কাজ সম্পন্ন হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য তাহলে যেসব এরিয়ায় জলে ডোবা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না দিলেও মানুষের তেমনই ক্ষোভ হয়তো দানা বাধ্য না ।কিন্তু যেখানে ক্ষয়ক্ষতি হলেও বিদ্যুতের তেমনি ক্ষতি হয়নি, নদীর জল ঢোকেনি তেমনই এরিয়ায় বাসন্তীর তালদহ, হেদিয়া সহ অন্যান্য গ্রামগুলিতে আজও বিদ্যুৎ আসেনি এখনো পর্যন্ত। হেদিয়া তালদা রাস মাঠের গায়ে নতুন ট্রান্সফর্মার এখানে বিদ্যুৎ এর তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, সেই ট্রান্সফর্মার তে আজও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। এইসব এরিয়ায় অনেকেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গরমে হাঁসফাঁস করছে, রাতের ঘুম ছুটেছে ,যেকোনো মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে মারাও যেতে পারে আর এর জন্য দায়ী হয়ে যাবে বিদ্যুৎ দপ্তর তেমনি অভিযোগ এলাকাবাসীর কাছ থেকে।এই এলাকায় সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদারের বাড়ি আজও পর্যন্ত সাংবাদিক পরিবারের সহ তার আশেপাশে বাড়িগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়নি। সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার বিদ্যুৎ দপ্তরে সর্বোচ্চ সঙ্গে কথা বলে বলে হতাশ হয়ে পড়েছেন।এইসব এলাকার মানুষকে মূল্যহীন চোখে দেখছে তেমনি, অভিযোগ এলাকাবাসীর কাছ থেকে। বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে হয়রানি শিকার এলাকাবাসীরা। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার বলেন আমি সত্যি কথা বলি বলে খুন হয়ে যেতে পারি। বিদ্যুৎ মানুষের প্রয়োজন আর বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে হয়রানি করছে, বিদ্যুৎ দপ্তরে অফিসাররা। একথা প্রকাশ হওয়ার পরে আমার উপরে ছড়া হতে পারে একাংশ সমাজবিরোধীরা। আমাকে খুন করতে পারে, জোর জুলুম চালিয়ে যেতে পারে বিদ্যুৎ দপ্তরে অফিসারদের ইঙ্গিতে। এর আগে বিদ্যুৎ দপ্তরে জোর জুলুম করে আমার কাছ দিয়ে, বিল করে টাকা আদায় করেছে। আজও পর্যন্ত আমার সপরিবারের কোন নিরাপত্তা নেই। তবে এ বিষয়ে আগামী দিনে আমাদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশন পথে নামতে বাধ্য হবে।